|
|
|
|
|
|
|
খেলার ম্যানেজমেন্ট |
আমাদের প্রায় প্রত্যেকেরই কোনও না কোনও খেলার প্রতি আকর্ষণ রয়েছে। ক্রিকেট, ফুটবল, লন টেনিস, হকি, বাস্কেটবল এক একজনের এক এক রকম পছন্দ। সরাসরি খেলার সঙ্গে যুক্ত হতে না পারলেও খেলার সঙ্গে যুক্ত অনেক ক্ষেত্রেই এখন ভবিষ্যৎ গড়ারও অনেক সুযোগ রয়েছে। আর এমনই একটা সুযোগ করে দিচ্ছে স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট। বর্তমানে আন্তর্জাতিক স্তরের বিভিন্ন খেলাধূলায় ভারতীয়রা যে ভাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করছেন তাতে আগামী দিনে এই পেশাটি যে ছাত্রছাত্রীদের নজর কাড়বে, এতে কোনও সন্দেহ নেই। কলকাতায় জর্জ গ্রুপ অব কলেজেস-এ (www.georgecollege.org) স্নাতক স্তরে ৩ বছরের পূর্ণসময়ের স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট পড়ানো হয়। ডব্লিউ বি ইউ টি-র অধীনে এই স্নাতক কোর্সে মোট আসন ৩০টি। উচ্চ মাধ্যমিক বা সমতুল উত্তীর্ণ হওয়ার পর ভর্তির জন্য আবেদন করা যায়। জানুয়ারি মাসে ভর্তি শুরু হচ্ছে। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সোশাল ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট-এ (www.iiswbm.edu) এই বিষয়ে একটি স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা কোর্স আছে। মেয়াদ ১ বছরের। যোগ্যতা: যে কোনও বিষয়ের স্নাতক বা সাম্মানিক স্নাতক। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এই ডিপ্লোমাটি দেয়। এ ছাড়া, মুম্বইয়ের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট-এ এই বিষয়ে এক বছরের স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা কোর্স রয়েছে।
• উচ্চ মাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষায় পাশ করেই এই কোর্সে ভর্তি হওয়া যায়।
• কোনও কোনও প্রতিষ্ঠানে প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে এই কোর্সে ভর্তি হতে হয়।
• বিভিন্ন নামজাদা ক্লাব, বড় বড় হোটেল বা রিসর্ট, যেখানেই স্পোর্টস সেন্টার আছে সেখানেও কাজের সুযোগ রয়েছে স্পোর্টস ম্যানেজারদের। |
|
বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। ভবিষ্যতে আর্কিটেকচার নিয়ে পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক। এই বিষয়ে ভারতবর্ষে কোথায় কোথায় পড়ার সুযোগ আছে এবং ভর্তির পরীক্ষাগুলি সম্বন্ধে বিস্তারিত জানালে বাধিত হব। তমাল সরকার, ঘোষপাড়া
পশ্চিমবঙ্গে আর্কিটেকচার বা স্থাপত্যবিদ্যা নিয়ে ডিগ্রি স্তরে তিনটি প্রতিষ্ঠানে পড়া যায়। পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রান্স দিয়ে ভর্তি হতে হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটি শিবপুরে (বেসু)। আর আই আই টি জয়েন্ট এন্ট্রান্স দিয়ে খড়্গপুর আই আই টি-তে পড়া যায়। তবে, যাদবপুর ও বেসু-র ক্ষেত্রে (এমনকি সর্বভারতীয় স্তরে যে-কোনও সরকারি, সরকার স্বীকৃত ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বেসরকারি, ডিমড ইউনিভার্সিটি ইত্যাদি) ন্যাশনাল অ্যাপ্টিটিউট টেস্ট ইন আর্কিটেকচার-এর (নাটা) স্কোর গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর ‘নাটা’-র পরীক্ষায় বসা যায়। কলকাতার কাছাকাছি কটক, গুয়াহাটি এবং মুঙ্গেরে নাটা-র সেন্টার আছে। পশ্চিমবঙ্গে নাটা-র সেন্টার উলুবেড়িয়ায় (০৩৩-২৬৬১৩৩৬৬/ ২৬৬১৩১৭৯)। নাটা-র ফর্ম ওয়েবসাইট থেকেও ডাউনলোড করা যায় http://www.nata.in/www/default.aspx। নাটা-র পরীক্ষার জন্য ফি লাগে ৮০০ টাকা। যত বার খুশি নাটা-র পরীক্ষায় বসা যায়। ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বছরের যে কোনও কাজের দিনে নাটা-র পরীক্ষায় বসা যায়। দু’ভাগে পরীক্ষা হয়। ২ ঘণ্টার একটি ড্রইং পরীক্ষা থাকে একটি পেপারে এবং এস্থেটিক অর্থাৎ নান্দনিক বিষয়ে অনুভূতির পরীক্ষা থাকে অন্যটিতে। নিয়ম অনুযায়ী বি আর্চ পড়তে গেলে নাটা-র অন্তত ৪০ শতাংশ স্কোর আবশ্যক।
ভারতের নানা প্রতিষ্ঠানে আর্কিটেকচার পড়া যায়। তার মধ্যে উল্লেখ্য ১) স্কুল অব প্ল্যানিং অ্যান্ড আর্কিটেকচার (www.spa.ac.in), সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল প্ল্যানিং অ্যান্ড টেকনলজি (www.cept.ac.in), স্যর জে জে কলেজ অব আর্কিটেকচার (www.sirjjarchitecture.org), বিড়লা ইনস্টিটিউট অব টেকনলজি, মেসরা (www.bitmesra.ac.in)।
একটি সরকারি ডেন্টাল কলেজে বিডিএস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। দ্বিতীয় বর্ষের বিষয়গুলিতে মাইক্রোবায়োলজিও (১০০ নম্বরের) অন্তর্ভুক্ত। বি ডি এস পাশ করার পর আমি কি রাজ্য বা রাজ্যের বাইরে থেকে মেডিকেল মাইক্রোবায়োলজি-তে এম এসসি করতে পারি? কাজের সুযোগ কেমন? জাবেদ আল মাসুদ, বসিরহাট
আমাদের রাজ্যে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মেডিক্যাল মাইক্রোবায়োলজি’ পড়ানো হয় না। তবে, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় (www.du.ac.in), কুরুক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয় (www.kuk.ac.in), কস্তুরবা বিশ্ববিদ্যালয় (www.manipal.ecu/kmcmnglore), গুরু নানক দেব বিশ্ববিদ্যালয় প্রভৃতিতে এই বিষয়ে এম এসসি করা যায়। বি ডি এস পাশ করার পর এই বিষয়ে অবশ্যই মাস্টার্স ডিগ্রি করা যায়। এই বিষয়ে আমাদের দেশে গবেষণার সুযোগ এখন কিছু তৈরি হলেও, বিদেশে এ ক্ষেত্রে গবেষণার সুযোগ অনেক বেশি। গবেষণা ছাড়া হাসপাতাল, ক্লিনিক, ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি, কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণাকেন্দ্র এবং শিল্প-কোম্পানিতে পরিবেশ, স্বাস্থ্য এবং কৃষি বিষয়ক প্রাথমিক গবেষণার ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ রয়েছে। |
|
|
ফোকাস
সৈকত সিংহ রায়
শিক্ষক, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় |
|
স্নাতক স্তরে অর্থনীতি নিয়ে পড়ছি। ভবিষ্যতে কী ধরনের বিষয় নিয়ে গবেষণা করতে পারি?
অমিত রায়, বারাসাত
বর্তমানে ফিনানশিয়াল ইকনমিক্স যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কর্পোরেট সেক্টরে এর চাহিদা থাকায় গবেষণার ক্ষেত্রেও বিষয়টিতে অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন। ‘গেম থিয়োরি’, ‘পাবলিক গুড’-এর তত্ত্ব নিয়েও কাজ হচ্ছে। ‘গেম থিয়োরি’ আর ‘পাবলিক ইকনমিক্স’কে ব্যবহার করে ‘মেকানিজম ডিজাইন’ হল আর এক নতুন শাখা, যা নিয়ে চলছে আধুনিক গবেষণা। সোশ্যাল চয়েস থিয়োরি আর একটি ক্ষেত্র। আইন এবং অর্থনীতির কোথায় যোগ, তা ধরে তার তত্ত্ব ও প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা চলছে গত দশ বছর ধরে। জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, উইমেন্স এমপাওয়ারমেন্ট ইত্যাদি নিয়েও চলছে গবেষণা। আছে বিহেভিয়ারাল ইকনমিক্স অথবা এক্সপেরিমেন্টাল ইকনমিক্স যেখানে সাইকোলজি আর ইকনমেট্রিক্সের মেলবন্ধন হয়েছে। সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে নীতি গ্রহণ করে, অর্থনীতিরর ওপর তার কী প্রভাব পড়ছে, তা বিশ্লেষণ করা করা হয় ইমপ্যাক্ট ইভ্যালুয়েশন-এর মাধ্যমে। |
|
দেশের ভিতরে পড়াশোনা, ট্রেনিং-এর নানান সুযোগসুবিধের
বিষয় জানানো হবে এই কলামে। এ বিষয়ে প্রশ্ন পাঠাও।
খামের উপর লেখো:
হোম পেজ, প্রস্তুতি,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
এ বি পি প্রাঃ লিঃ,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|