বর্ষার সময়ে সবচেয়ে বেশি জল জমে, শহরের এমন ২০টি এলাকা চিহ্নিত করেছে পুরসভা। সেই সব জায়গার কোথাও নিকাশি নালা মেরামতি, কোথাও গালিপিট এবং কার্ভ চ্যানেল সংস্কার করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে নিকাশি নালায় জমা পলি তোলার কাজও শুরু হয়েছে। যে ২০টি জায়গাকে বিশেষ ভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে খিদিরপুরের ময়ূরভঞ্জ রোড, মধ্য কলকাতার মহাত্মা গাঁধী রোড, পঞ্চাননতলার কাঁকুলিয়া এলাকা, উল্টোডাঙা প্রভৃতি। পুরসভার নিকাশি বিভাগের কর্তারা জানিয়েছেন, শহরে ২০টি জায়গায় বিশাল পরিমাণ জল জমে। তা নামতেও অনেকটা সময় লেগে যায়। এর সবগুলি বড় রাস্তাকে ঘিরে। এ ছাড়াও ছোট-বড় মিলিয়ে শহরে ১০০টি পয়েন্টে জমা জল সরতে যথেষ্ট সময় নেয়। বিগত বর্ষার অভিজ্ঞতা থেকে কলকাতা পুরসভা এলাকাগুলি চিহ্নিত করেছে। শুখা মরসুমে সেই সব এলাকার নিকাশি ব্যবস্থার সমীক্ষা করে প্রয়োজনীয় সংস্কারের রূপরেখা তৈরি হয়েছে। কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। কলকাতা পুরসভার নিকাশি দফতরের মেয়র পারিষদ রাজীব দেব জানান, জওহরলাল নেহরু ন্যাশনাল আর্বান রিনিউয়াল মিশন (জেএনএনইউআরএম) প্রকল্পে ব্রিক স্যুয়ারের কাজের সুফল পাওয়া গিয়েছে বিগত বর্ষায়। কিন্তু সব জায়গায় ওই কাজ করার পরিকল্পনা ছিল না। তাই যে সব এলাকায় জেএনএনইউআরএম প্রকল্পে ব্রিক স্যুয়ারের সংস্কার করা সম্ভব হয়নি, তার মধ্যে কিছু এলাকা সংস্কার করবে কলকাতা পুরসভা। এখন ময়ূরভঞ্জ রোডের নিকাশি নালা নতুন করে তৈরি করার কাজ শুরু হয়েছে। সেখানকার হাল এমনই যে জরুরি ভিত্তিতে কাজ করতে হচ্ছে। পাশাপাশি ঠিক হয়েছে, গোটা শীতকাল জুড়ে শহরের নিকাশি নালাগুলিকে পলিমুক্ত করার কাজও চলবে।
|
রাস্তা বন্ধ করে মণ্ডপ তৈরির অভিযোগ উঠল এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের বিরুদ্ধে। রবিবার, বেলঘরিয়া থেকে নিমতা যাওয়ার পথে এমবি রোডে। ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে এ দিন হরদয়াল বয়েজ স্কুুলের মাঠে গণবিবাহের আয়োজন করা হয়। এই উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চটি তৈরি হয় এমবি রোডের উপরে উদয়পুর মোড় বন্ধ করে। এর জেরে অরবিন্দ নগর ও অন্য রাস্তা দিয়ে ঘোরানো হয় যানবাহন। ছাড় পায় কেবল জরুরি পরিষেবার গাড়ি। সংগঠনের সভাপতি প্রদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “যথাযথ অনুমতি নিয়েই মঞ্চ করা হয়েছে। কোনও গাড়ি বন্ধ করা হয়নি। দুর্ঘটনা এড়াতে গাড়িগুলোকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে শুধু।” বাসিন্দাদের প্রশ্ন, কী ভাবে রাস্তা বন্ধ করে মঞ্চ গড়ার অনুমতি দিল প্রশাসন? ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসক অজয় পাল বলেন, “মণ্ডপ তৈরির জন্য রাস্তা বন্ধ করা বেআইনি। এ বিষয়ে অনুমতিও ওঁরা নেননি।” বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে পুলিশ জানায়। তবে যানজট নিয়ন্ত্রণে স্বেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি পুলিশকেও দেখা যায়।
|
সকাল থেকে দীর্ঘক্ষণ শিয়ালদহ স্টেশনের সাবওয়ে বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়লেন সাধারণ মানুষ। যাত্রীদের অভিযোগ, রবিবার এ ভাবে সাবওয়ে বন্ধ থাকার বিষয়ে আগাম বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। ফলে ‘পার্কিং লট’ পেরিয়ে রাস্তায় উঠতে সমস্যায় পড়েন তাঁরা। যাত্রীদের একাংশের আরও অভিযোগ, সাবওয়ে কেন বন্ধ, সে বিষয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকেও সদুত্তর মেলেনি। প্রচুর লোক ‘পার্কিং লট’ দিয়ে হেঁটে যাওয়ায় গাড়ি চলাচলেরও অসুবিধা হয়েছে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সমীর গোস্বামী জানান, এ দিন সকালে আকস্মিক ভাবে সাবওয়ের শাটারে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় তা খোলা যায়নি। বিকেলে ত্রুটি মেরামত হয়। |