কামারহাটিতে নির্মাণ ঘিরে বিক্ষোভ তৃণমূলের
নিজস্ব সংবাদদাতা |
শিল্পের জমিতে শিল্প না করে প্রোমোটারির ‘অনুমতি’ দেওয়ায় বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল। রবিবার, বেলঘরিয়ায় ১৪ নম্বর বি টি রোডে নির্মীয়মাণ বহুতলের সামনে। তৃণমূলের অভিযোগ, এর জন্য দায়ী কামারহাটির পুর-প্রশাসন। যদিও পুর-কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আইন মেনেই তৈরি হচ্ছে ওই বহুতল। পুলিশ জানায়, এ দিন সকালে কয়েক জন তৃণমূল সমর্থক ওই জায়গায় বিক্ষোভ দেখান। হাজির ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর দেবযানী চক্রবর্তী-সহ কামারহাটি পুরসভার আরও পাঁচ তৃণমূল কাউন্সিলর। কামারহাটি পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবযানীদেবীর বক্তব্য, “নতুন সরকারের ঘোষিত নীতি হল, শিল্পের জমিতে শিল্প হবে। ওই জমিতে আগে কারখানা ছিল। তাই সেখানে কারখানা ছাড়া অন্য কিছু হতে পারে না।” তিনি জানান, ওই জমিতে সাতটি ১৪তলা বহুতল গড়ে উঠছে। তার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই। দেবযানীদেবীর আরও অভিযোগ, “পুরোপুরি বেআইনি ভাবে ওই নির্মাণকাজ চলছে। চেয়ারম্যানের কাছে ওই বহুতল গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে চেয়েছিলাম। তিনিও দেখাতে পারেননি। অথচ বলা হচ্ছে, চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়েই কাজ চলছে।” তবে ওই নির্মাণকাজ আইন মেনেই হচ্ছে বলে দাবি সিপিএম পরিচালিত কামারহাটি পুরসভা কর্তৃপক্ষের। পুরসভার ভাইস-চেয়ারম্যান প্রবীর মিত্র বলেন, “সরকারের প্রকল্প অনুযায়ী ওই জমিতে কাজ হচ্ছে। বেআইনি কিছু হচ্ছে না।” নির্মীয়মাণ ওই বহুতল সংস্থার এক কর্তা আদিত্য হরলালকা বলেন, “সরকারি আইন মেনেই নির্মাণকাজ হচ্ছে।” |
ঝুপড়িতে আগুন, চারটি ঘর পুড়ে ছাই |
সম্বল সামান্যই। আগুনে পুড়ে তাও শেষ। রবিবার সুমন বল্লভের তোলা ছবি। |
আগুনে পুড়ে গেল একটি ঝুপড়ির চারটি ঘর। রবিবার, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের কাছে। এই ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। পুলিশ জানায়, বেলা বারোটা নাগাদ একটি বহুতল আবাসনের পাশের ওই ঝুপড়িতে আগুন লাগে। সেখানে কেউ না থাকায় বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন যায়। তবে ওই আবাসন থেকে জল দেওয়ায় দমকল পৌঁছনোর আগেই আগুন নিভে যায়। প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের কাছে একটি সরু গলির ভিতরে ওই ঝুপড়িটি। ফলে দমকল ঘটনাস্থলে গিয়েও প্রথমে কাজ শুরু করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত দমকলকর্মীরা বাধ্য হন আবাসনের ভিতর থেকে কাজ করতে। প্রাথমিক তদন্তে দমকলের অনুমান, শর্ট সার্কিটের জেরে এই আগুন। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ঝুপড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বেআইনি ভাবে নেওয়া হয়েছে। তার ফলে আগুন লাগে। যদিও ঝুপড়ির বাসিন্দারা সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁদের দাবি, তাঁরা সেখানে দীর্ঘদিন ধরে আছেন। তাঁদের বিদ্যুৎ সংযোগ আইনি ভাবেই নেওয়া। |
সঙ্কট কাটেনি মমতার মায়ের |
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা গায়ত্রীদেবীর শারীরিক অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক। তবে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, রবিবার তিনি চিকিৎসায় তুলনামূলক ভাবে বেশি সাড়া দিয়েছেন। এ দিন আবার তাঁর ডায়ালিসিসও করা হয়েছে। তবে তাঁকে এখনও ভেন্টিলেশন থেকে পুরোপুরি বার করা যাচ্ছে না। তিনি মাঝেমধ্যে নিজে নিজেই শ্বাসপ্রশ্বাস নিচ্ছেন ঠিকই। কিন্তু তাঁকে এখনও আংশিক ভেন্টিলেশনেই রাখতে হচ্ছে। মাকে দেখতে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বিকেলেও হাসপাতালে যান। কিডনির সমস্যা এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে ২৫ নভেম্বর এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হন গায়ত্রীদেবী। |