বাঘ দত্তক এ বার বাল্মীকিনগরেও |
বাঘকে রক্ষা করতে দত্তক নেওয়ার পদ্ধতি এ বার চালু হতে চলেছে বিহারের পশ্চিম চম্পারণের অভয়ারণ্য, বাল্মীকিনগরেও। সম্প্রতি বাঘ রক্ষায় বাল্মীকিনগর ব্যাঘ্র প্রকল্পে একটি পৃথক ট্রাস্ট তৈরি করা হয়েছে। ওই ট্রাস্টের বিধি অনুযায়ী, কোনও সংস্থা বা ব্যক্তি চাইলে এ বার থেকে বাল্মীকিনগরের কোনও বাঘকে দত্তক নিতে পারবে। দত্তক নেওয়ার পথকে মসৃণ করতেই বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের আওতায় বাল্মীকি ব্যাঘ্র সংরক্ষণ ফাউন্ডেশন নাম দিয়ে ওই ট্রাস্ট তৈরি করা হয়েছে। বাল্মীকিনগরের এক কর্তার কথায়, “দত্তক নেওয়ার আইনটি তৈরি হয়েছে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের আওতাতেই। নতুন ওই আইনের আওতায় যে কেউ, এমনকী প্রবাসী ভারতীয়রাও বাল্মীকিনগরের বাঘকে দত্তক নিতে পারেন।” তবে ওই কর্তা বলেন, “একটি ‘দত্তক বাঘের’ জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যা খরচ করবেন তার জন্য তিনি যাতে আয়কর ছাড় পান, সেই ব্যবস্থা দ্রুত চালু করার চেষ্টাও আমরা করছি। এই ব্যবস্থা হয়ে গেলে দত্তকের ব্যাপারে সাড়া পাওয়া যাবে বলেই আমাদের আশা। বাল্মীকিনগরের বাঘকে বাঁচাতে দত্তক-ব্যবস্থা অত্যন্ত জরুরি।” উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন ব্যাঘ্র প্রকল্পেই এই দত্তক-ব্যবস্থা চালু হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের কানহা, পান্না, বান্ধবগঢ়, পেঞ্চ এবং সাতপুরা অভয়ারণ্যে অনেক দিন থেকেই দত্তক নেওয়ার এই নিয়ম চালু রয়েছে।
|
কানহার পথে মারা গেল ৯টি কৃষ্ণসার হরিণ |
সিওনি থেকে মান্ডলার কানহা অভয়ারণ্যে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা গেল ন’টি কৃষ্ণসার হরিণ। আজ এক বনকর্তা জানান, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণেই হরিণগুলি মারা গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রজননের মাধ্যমে কানহা অভয়ারণ্যে কৃষ্ণসার হরিণের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য মোট ৫০টি কৃষ্ণসার হরিণ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ওই বনকর্তা জানান, বাকি ৪১টি কৃষ্ণসার হরিণের বেশি করে যত্ন নেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে উত্তরপ্রদেশের আবার লখিমপুরে দুধওয়া ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রের কাছেই একটি পচাগলা পুরুষ গন্ডারের দেহ উদ্ধার হয়েছে। শিংয়ের লোভে চোরাশিকারিরাই গন্ডারটিকে হত্যা করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যে নেপাল থেকে একটি গন্ডারের শিং উদ্ধার হওয়ায় ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রের এক কর্তা জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’জনকে আটক করা হয়েছে।
|