টুকরো খবর |
প্রতিবন্ধী ওড়িশি নৃত্যশিল্পীকে জাতীয় পুরস্কার |
সংবাদসংস্থা • রৌরকেলা |
শৈশব থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধকতা তাঁর নিত্য সঙ্গী। কিন্তু অদম্য মনোবল ও কিছুতেই হার না মানার জেদ তাঁকে করে তুলেছে নৃত্যশিল্পী। রৌরকেলার ২৮ বছর বয়সী তরুণী রশ্মিরেখা সাহুর এই অন্য ধরনের লড়াইয়ের স্বীকৃতি দিতে এগিয়ে এসেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী ৩ ডিসেম্বর এই ওড়িশি নৃত্যশিল্পীর হাতে জাতীয় পুরস্কার তুলে দেবেন স্বয়ং রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল। ওই দিনই সারা বিশ্ব জুড়ে পালিত হয় প্রতিবন্ধী দিবস। প্রতিবন্ধীরা যে সমাজের বোঝা নন, বরং সম্পদ, রশ্মিরেখা তাঁর জীবন ও কর্মের মধ্য দিয়ে সেটাই প্রমাণ করে দিয়েছেন। এই নৃত্যশিল্পীর মা সুভাগিনী দেবী রৌরকেলায় জানান, কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের তরফে এক বার্তায় রশ্মিরেখাকে এই সম্মানিত করার কথা জানানো হয়েছে। গরবিনী মা জানান, তাঁর মেয়ে ‘ট্রাইসোমি সিনড্রোমে’ দীর্ঘদিন ধরেই ভয়ঙ্কর কষ্ট পায়। এই শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণেই স্বাভাবিক শিশুর মতো সে বেড়ে উঠতে পারেনি। কিন্তু তার মধ্যেই নৃত্যের প্রতি রশ্মিরেখার অদ্ভুত একটা আকর্ষণ লক্ষ করে তাঁরা তাকে পাঠান ওড়িশি নাচ শিখতে। ওই নাচেই যেন সকল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পান এই ওড়িশা-কন্যা।
এর আগেও ১৯৯৯ এবং ২০০০ সালে জাতীয় পর্যায়ে সঙ্গীত ও নৃত্য উৎসবে, ২০১০ জাতীয় শিশু উৎসবে এবং ২০০৫ সালে প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ অলিম্পিকে ১০০ মিটার হাঁটা ও ৫০ মিটারের দৌড় প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পেয়েছেন রশ্মিরেখা। এ বারের পুরস্কার প্রতিবন্ধী হয়েও সব বাধা কাটিয়ে সমাজে এক অন্য নজির গড়ার জন্য। রশ্মিরেখার মা জানান, বয়স এখন ২৮ হলেও মানসিকতার দিক থেকে তাঁর মেয়ের আচার-আচরণ ১২ বছরের বালিকার মতো। জীবনকে স্বচ্ছ দর্পণের মতোই দেখতে অভ্যস্ত এই শিল্পী। আর তাই জন্যই প্রতিবন্ধী হয়েও সব বাধা অতিক্রমের রশ্মিরেখা দেখান তিনি। ওড়িশা গর্বিত সার্থকনামা এই কন্যার জন্য।
|
মান্ডুতে ভোট শান্তিতেই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি ও পটনা |
মাওয়বাদী প্রভাবিত ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ জেলার মান্ডু বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্ব নির্বিঘ্নেই মিটল। প্রতিটি বুথেই ছিল সশস্ত্র পুলিশি প্রহরা। বুথের বাইরে মোতায়েন ছিল আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ান। রাজ্যের মুখ্যনির্বাচন আধিকারিকের দফতর থেকে জানানো হয়েছে ভোট পড়েছে ৫৭ শতাংশের কিছু বেশি। ভোট নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী দলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনার খবর মেলেনি। মান্ডু আসনের ভোটগ্রহণের জন্য ৪০টি বুথ খোলা হয়েছিল। ইভিএমের যান্ত্রিক সমস্যার কারণে ২৩ টি বুথের ভোটগ্রহণ ঘণ্টা দেড়েক দেরিতে শুরু হয়। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চ, ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা, কংগ্রেস এবং জনতা দল (ইউনাইটেড)-সহ ভোটের লড়াইয়ে ছিলেন ২২ জন প্রার্থী। ভোট গণনা হবে ৪ ডিসেম্বর। জেএমএম বিধায়ক টেকলাল মাহাতোর মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। সে কারণেই এই উপ-নির্বাচন।বিহারে মধুবনী জেলায় লৌকাহা বিধানসভা আসনেও আজ উপ-নির্বাচন মোটামুটি শান্তিতেই সাঙ্গ হয়েছে। জেডিইউ বিধায়ক তথাপঞ্চায়েতরাজ মন্ত্রী হরিপ্রসাদ সাউয়ের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। উপ-নির্বাচনে জেডিইউ, আরজেডি, সিপিএম-সহ ১৩ জন এই উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিকাল পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৫০ শতাংশের মতো।
|
পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মামণির শেষকৃত্য |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
পূর্ণ রাষ্টীয় মর্যাদায় গুয়াহাটির নবগ্রহ শ্মশানে আজ শেষকৃত্য সম্পন্ন হল অসমিয়া বিশিষ্ট সাহিত্যিক ইন্দিরা মামণি রয়সম গোস্বামীর। অসমিয়া রেশমি শাড়িতে তাঁকে শেষযাত্রায় সাজিয়ে দেন ঘনিষ্ঠ অনুরাগীরা। কপালে সেই পরিচিত বড় লাল টিপ। চন্দনকাঠের চিতায় অগ্নিসংযোগ করেন মামণির ভাইঝি মৃন্ময়ী গোস্বামী। চিতা জ্বলে উঠতেই ২১ বার তোপধ্বনি করা হয় প্রয়াত অসমকন্যার সম্মানে। গাঁধীবস্তির বাসভবন থেকে শ্মশানের দূরত্ব দু’ কিলোমিটারের মতো। বড় আদরের ‘বড়দি’কে দেখার জন্য সেই পথের দু’ধারে সজল চোখে এ দিন অপেক্ষা করে ছিলেন অজস্র অনুরাগী। শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে যান রাজ্যপাল জানকীবল্ল্ভ পট্টনায়ক, মুখ্যমন্ত্রী তরুণগগৈ-সহ তাঁর মন্ত্রিসভার সহকর্মীবৃন্দ, অসম প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি ভুবনেশ্বর কলিতা, মুখ্যসচিব এন কে দাস-সহ অসংখ্য গুণমুগ্ধ ও অনুরাগী। মামণি কত বড় সাহিত্যিক, আলফার সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু করতে তিনি কতটা চেষ্টা করেছেনএ দিন এ সব প্রসঙ্গ খুব একটা ওঠেনি। গুয়াহাটি-সহ অসমের সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ এ দিন অভিভূত হয়ে ছিলেন ‘বড়দি’কে চিরদিনের মতো বিদায় দিতে। বড় লাল টিপ পরা ওই দিদি সকল অসমবাসীর কত কাছের ছিলেন আজ তা নীরবে দেখল গুয়াহাটি। রয়ে গেল শুধু মামণির সেই বড় বড় চোখ দু’টি। মৃত্যুর আগেই তিনি চক্ষুদানের অঙ্গীকার করে গিয়েছিলেন। শ্রীশঙ্কর নেত্রালয়ের মেডিক্যাল ডিরেক্টর হর্ষ ভট্টাচার্য জানান, এই সাহিত্যিকের ইচ্ছা অনুযায়ী কাল চিকিৎসকদের একটি দল পরম যত্নে মামণির দেহ থেকে চোখ দু’টির কর্নিয়া তুলে নেন।
|
সংঘর্ষেই নিহত কিষেণজি, দাবি চিদম্বরমের |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
ভুয়ো সংঘর্ষ নয়, গুলির লড়াইয়েই মাওবাদী নেতা কিষেণজি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম। পাশাপাশি, হিংসা ছেড়ে আলোচনায় বসার জন্য মাওবাদীদের ফের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আজ দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে চিদম্বরম বলেন, “রিপোর্ট বলছে, ২২ থেকে ২৩ নভেম্বর যে গুলির লড়াই হয়েছিল, তাতে কিষেণজি নিহত হন। এ ব্যাপারে আমাদের সন্দেহ নেই। সিআরপি-র ডিজি নিজে আমাকে বিষয়টি জানান। সে দিন মাওবাদীদের সঙ্গে যাঁরা লড়েছিলেন, তাঁদের সঙ্গে ডিজি কথা বলেছেন। পশ্চিমবঙ্গের পুলিশকর্তাদের সঙ্গেও কথা হয়েছে। তার ভিত্তিতেই বলছি কিষেণজির মৃত্যু যে গুলির লড়াইয়েই হয়েছে, সে ব্যাপারে আমরা নিঃসন্দেহ।” গত বছর দন্তেওয়াড়ায় একটি বাসে মাওবাদীরা বিস্ফোরণ ঘটানোর পরে তিনি বলেছিলেন, মাওবাদীরা টানা ৭২ ঘণ্টা হিংসাত্মক কাজকর্ম বন্ধ রাখলে কেন্দ্র তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে। আজ ফের চিদম্বরম বলেছেন, “ওঁরা শুধু বলুন যে হিংসা বন্ধ রাখবেন। সংশ্লিষ্ট মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আলোচনার দিন জানাব।” আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ৩ বছর পূর্ণ করার দিনে চিদম্বরম বলেন, “রাজনৈতিক দাবি আদায়ে হিংসাকে অস্ত্র করলে রাষ্ট্র মাথা নত করবে না। আলোচনায় বসলে অনেক সম্মানজনক ব্যবহার মিলবে।”
|
রঙ্গিয়ায় দুই গাড়িতে সংঘর্ষ, ৭ জনের মৃত্যু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
এক গ্রামে বাড়ি, এক শহরেই কাজকর্ম। তাই ছুটি নিয়ে মিলেমিশে একসঙ্গেই বাড়ি ফিরছিলেন সাত যুবক। কিন্তু বাড়ি যাওয়া আর হল না কারও। পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু ঘটল সাত যুবকেরই। আজ সকালের এই ঘটনায় কামরূপ (গ্রামীণ) জেলার রঙ্গিয়া থেকে ঢেকিয়াজুলি পর্যন্ত শোকের ছায়া নেমে আসে। পুলিশ জানিয়েছে, ঢেকিয়াজুলির সাত যুবক কাজ করতেন কেরলের বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানিতে। একসঙ্গে ক’দিন গ্রামে কাটানোর পরিকল্পনায় সবাই ছুটি নিয়েছিলেন। ট্রেনে চেপে আজ সকালে তাঁরা এসে পৌঁছন রঙ্গিয়া স্টেশনে। সেখান থেকে একটি ছোট গাড়ি নেন বাড়ি যাওয়ার জন্য। কিন্তু বাইহাটায় ৫২নং জাতীয় সড়কের উপরে তাঁদের গাড়ির সঙ্গে তেজপুর-গুয়াহাটি যাত্রিবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দু’টি গাড়িই ভেঙেচুরে তালতুবড়ে যায়। গাড়ির আরোহী সাত যুবকই ঘটনাস্থলে মারা যান। জখম হয়েছেন দশজন বাসযাত্রীও। তাঁদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাতজনকে গৌহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
|
কিশোরীর ডাকে দলিত গ্রামে নীতীশ |
সংবাদসংস্থা • অরওয়াল |
জনসংযোগের ক্ষেত্রে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার মাঝে মধ্যেই বেনজির পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। জনসংযোগের কারণেই বিভিন্ন ‘যাত্রায়’ তিনি সরাসরি চলে যান দেহাতে সাধারণ মানুষের কাছে। এ বার দলিত সম্প্রদায়ের ছোট্ট একটি মেয়ের আমন্ত্রণ উপেক্ষা করতে না পেরে সোজা তিনি চলে গেলেন অরওয়ালের হারনা গ্রামে। মুখ্যমন্ত্রীকে নিজের ঘরে দেখে বিস্মিত গুড়িয়া নামের মেয়েটি। সেবাযাত্রায় বেরিয়ে কাল নীতীশ পৌঁছন অরওয়ালে। সেখানেই আলাপ করেন নবম শ্রেণির ছাত্রী গুড়িয়ার সঙ্গে। মেয়েটি তাদের গ্রামে আমন্ত্রণ জানায় মুখ্যমন্ত্রীকে। হারনা গ্রামের ২৫ শতাংশ মানুষই দলিত সম্প্রদায়ভুক্ত। তাদের অভাব-অভিযোগের কথা মন দিয়ে শোনেন মুখ্যমন্ত্রী। সমস্যা সমাধানের জন্য উপস্থিত আধিকারিকদের নির্দেশও দিয়েছেন। গুড়িয়া বলে, “গ্রামের উন্নতির জন্য কিছুই করা হয় না। ফলে আমরা ক্রমশই পিছিয়ে পড়ছি।” পরে পোখারপুর গ্রামে যান নীতীশ কুমার। সেখানে রাধাবাবা মন্দিরে পুজোও দেন তিনি।
|
কানিমোঝির লিফট অচল |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
একেই বলে ‘ভালবাসার অত্যাচার’। টুজি মামলায় অভিযুক্ত কানিমোঝি জামিন পেয়ে বাড়ি ফিরতে প্রথমে তাঁকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান ডিএমকে কর্মী-সমর্থক এবং তাঁর অনুগামীরা। কানিমোঝি থাকেন ফ্ল্যাটের সাত তলায়। সেখানে যাওয়ার জন্য তিনি লিফটে উঠতেই শুরু হয় বিপত্তি। তাঁর সঙ্গে বহু লোক উঠে পড়ায় লিফটি অচল হয়ে পড়ে। ভিড়ের চোটে কাহিল দশা হয় কানিমোঝিরও। শেষ পর্যন্ত কয়েক জন ডিএমকে সাংসদ বেরিয়ে আসায় লিফট চলাচল স্বাভাবিক হয়।
|
টাওয়ার ওড়াল মাওবাদীরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
ঝাড়খেণ্ডের পালামু জেলায় গত কাল রাতে আরও একটি মোবাইল টাওয়ার জ্বালিয়ে দিল মাওয়বাদীরা। পুলিশ জানিয়েছে, গত রাতে জনা পঁচিশের সশস্ত্র একটি দল অতর্কিতে পালামু জেলার ছত্তারপুরের কাউয়াল গ্রামে ঢুকে বেসরকারি একটি মোবাইল পরিষেবা সংস্থার টাওয়ারে অগুন ধরিয়ে দেয়। টাওয়ারটির অধিকাংশটাই পুড়ে গিয়েছে। এ নিয়ে গত দশ দিনে পালামু জেলায় মাওবাদী হামলায় চারটি মোবাইল টাওয়ার পুড়ল।
|
পরিস্রুত জলের দাবি |
পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের দাবি উঠেছে নিম্ন অসমের দক্ষিণ শালমারার ২৯টি গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন থেকে লক্ষাধিক মানুষ পানীয় জল কষ্টে ভুগলেও প্রশাসনের কর্তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। পরিস্রুত জল না থাকায় এলাকা জুড়ে চলছে রকমারি পেটের রোগ। বিভিন্ন সময় যে নলকূপগুলি বসানো হয়েছে সেগুলি অকেজো হয়ে পড়ে আছে।
|
বেহাল রাস্তা |
ধুবুরির বগরিবাড়ির বরকান্দা থেকে আঙ্গারকাটা পর্যন্ত ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের প্রায় ১০ কিমি খানাখন্দে ভরে গিয়েছে। অভিযোগ, ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে দিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ছে বাস ও ট্রাক। |
|