মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে যুবক আটক |
কালীঘাটে বুধবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে থেকে পুলিশ এক সন্দেহভাজন যুবককে আটক করেছে। পুলিশ জানায়, ওই যুবকের নাম দীপক সিং সর্দার। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ দীপককে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে ঘুরতে দেখা যায়। তাঁর চালচলন সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাঁকে প্রশ্ন করতে শুরু করেন ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশকর্মীরা। পুলিশ জানায়, তিনি মাওবাদী বলে দাবি করেন দীপক। আত্মসমর্পণ করলে ‘আর্থিক প্যাকেজ’ দেওয়া হচ্ছে জেনেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে দীপকের কথাবার্তায় অসংলগ্নতা ধরা পড়ে। তাঁর বাড়ি পুরুলিয়ার মানবাজার থানার নডিহা গ্রামে বলে জানিয়েছেন ওই যুবক। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থানায় যান আইবি এবং এসবি-র কর্মীরাও। জিজ্ঞাসাবাদের সময় দীপক কখনও বলেন, তিনি মাওবাদী। কখনও বলেন, চাকরির আশায় এসেছেন। তবে প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের ধারণা, কোনও চুরির ঘটনায় দীপক যুক্ত থাকতে পারেন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোনও খুনের সঙ্গে তাঁর জড়িত থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। মানবাজার থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
|
সই-বিড়ম্বনা, স্কুলে চাকরি দিতে নির্দেশ |
আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করার জায়গায় ‘ক্যাপিটাল লেটার’ বা বড় হাতের অক্ষরে নাম লিখেছেন তিনি। এই অভিযোগে প্যানেলে নাম ওঠার পরেও ইতিহাসের শিক্ষক হিসেবে সনৎ হালদারের নাম সুপারিশ করতে অস্বীকার করে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য বুধবার নির্দেশ দিয়েছেন, দু’মাসের মধ্যে সনৎবাবুকে চাকরি দিতে হবে। সনৎবাবুর আইনজীবী শৈবাল আচার্য বলেন, সনৎবাবু এসএসসি-র পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদন করেন। যোগ্যতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং সাক্ষাৎকারেও সফল হন। প্যানেলে তাঁর নাম ওঠে। তার পরেও শিক্ষক হিসেবে তাঁর নাম সুপারিশ করেনি এসএসসি। কারণ হিসেবে এসএসসি জানায়, স্বাক্ষরের জায়গায় ক্যাপিটাল লেটারে নাম লিখেছেন ওই প্রার্থী। তাই তাঁর আবেদনপত্র গ্রাহ্য হবে না। তাই কোনও স্কুলে শিক্ষক-পদের জন্য তাঁর নাম সুপারিশ করা হয়নি। বিচারপতি বলেন, এসএসসি আবেদনপত্র গ্রাহ্য বিবেচনা করে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিয়েছে। পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়েছেন বলেই আবেদনকারীকে সাক্ষাৎকারে ডাকা হয়েছে। সাক্ষাৎকারে যোগ্যতার প্রমাণ দেওয়ায় নাম উঠেছে প্যানেলে। তাই আবেদনপত্রটি গ্রাহ্য নয় এই যুক্তির এখন সারবত্তা নেই। আবেদনকারীর আইনজীবী হাইকোর্টকে জানান, তাঁর মক্কেল সাক্ষাৎকারে ৬৩ পেয়েছিলেন। তার পরেই যে-প্রার্থীর নাম রয়েছে, তিনি পেয়েছেন ৬২.৫০। ওই প্রার্থী কিন্তু শিক্ষকের পদে যোগ দিয়েছেন।
|
মামলা করতেই ২৩ থেকে নম্বর বেড়ে হল ৬৮ |
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন অনার্সের অষ্টম পত্রে সৌরভ মুখোপাধ্যায়কে দেওয়া হয়েছিল ২৩। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বেদান্ত-বিশেষজ্ঞ এক শিক্ষক নতুন করে ওই উত্তরপত্র পরীক্ষা করার পরে নম্বর বেড়ে হল ৬৮। অর্থাৎ এক ধাক্কায় বাড়ল ৪৫ নম্বর। আবেদনকারী পুনর্মূল্যায়নের জন্য আবেদন করেন। একই সঙ্গে মামলাও করেন হাইকোর্টে। তাঁর আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায় হাইকোর্টে বলেন, আবেদনকারী অন্য পত্রগুলিতে ভাল নম্বর পেয়েছেন। কিন্তু অষ্টম পত্রে পেয়েছেন অত্যন্ত কম। বিচারপতি তপেন সেন বলেন, আবেদনকারীর অষ্টম পত্রের পুনর্মূল্যায়ন করাতে হবে কোনও বিশেষজ্ঞ শিক্ষককে দিয়ে। তার পরেই গত সপ্তাহে পরীক্ষা নিয়ামক নতুন মার্কশিট দিয়ে আবেদনকারীকে জানান, ফের মূল্যায়নের পরে সৌরভ পেয়েছেন ৬৮। হাইকোর্টে তা জানানো হয়। সুব্রতবাবু বলেন, আবেদনকারীর অনার্সে নম্বর ছিল ৫৩ শতাংশ। এখন তা বেড়ে ৫৮ শতাংশ হল।
|
সঙ্কট বেড়েছে মমতার মায়ের |
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা গায়ত্রীদেবীর শারীরিক অবস্থা খুবই সঙ্কটজনক। বুধবার দুপুরে তাঁর অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে শুরু করে বলে এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রের খবর। ডায়ালিসিস করা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিল। চিকিৎসকেরা ওষুধের সাহায্যে রক্তচাপ বাড়ানোর ব্যবস্থা করেন। বিকেলে ডায়ালিসিস হয়। গভীর রাতে চিকিৎসকেরা জানান, সারা দিনের তুলনায় অবস্থা সামান্য স্থিতিশীল বলা চলে। মুখ্যমন্ত্রীও রাত ১২টা পর্যন্ত এসএসকেএমে ছিলেন। তিনি বলেন, “মা সঙ্কটজনক অবস্থায় রয়েছেন। চিকিৎসকেরা সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করছেন।” মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে গায়ত্রীদেবীর অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ নেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। শ্বাসকষ্ট ও কিডনির সমস্যার কারণে শুক্রবার গায়ত্রীদেবীকে পিজিতে ভর্তি করানো হয়। শনিবার থেকেই রাখা হয় ভেন্টিলেশনে।
|
ভূগর্ভস্থ বৈদ্যুতিক তার ফেটে জখম তিন ব্যক্তি। বুধবার দুপুরে তপসিয়ার ঘটনা। পুলিশ জানায়, এ দিন তপসিয়া ফুটবল মাঠের কাছে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের বাইরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা বসেছিলেন। আচমকা মাটির নীচের তার ফেটে যায়। পুলিশ সূত্রের খবর, সিইএসসি কর্মীরা দ্রুত ট্রান্সফর্মার থেকে বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় বড় বিপদ ঘটেনি। আহতদের ন্যাশনাল মেডিক্যালে নিয়ে গেলে দু’জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। তৃতীয় জনের আঘাত গুরুতর বলে খবর। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই এই বিপত্তি।
|
যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে বুধবার সকালে কলকাতায় জরুরি অবতরণ করতে হল এয়ার ইন্ডিয়ার গুয়াহাটিগামী একটি বিমানকে। সকাল ১০টা নাগাদ ১১৯ জন যাত্রীকে নিয়ে বিমানটি কলকাতা থেকে উড়ে যায়। ওড়ার কিছু পরেই ডান দিকের ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেয়। পাইলট জরুরি অবতরণ করতে চান। ১০টা ১৭ মিনিটে বিমানটি নামে। বিকেলে সেটি ফের গুয়াহাটি রওনা হয়। |