সরকারি কর্মীদের সাধারণ ধর্মঘটে আজ কার্যত স্তব্ধ হয়ে গেল ব্রিটেনের জনজীবন।
পেনশন পরিকল্পনায় সংস্কারের প্রতিবাদে আজ ২৪ ঘণ্টার সাধারণ ধর্মঘট ডেকেছিলেন সরকারি কর্মীরা। ১৯৭৯ সালের পর থেকে দেশ জুড়ে এত বড় ধর্মঘট দেখেনি ব্রিটেন। ধর্মঘটে যোগ দিয়েছেন প্রায় তিন লক্ষ সরকারি কর্মী। বন্ধ কয়েক হাজার স্কুল, অফিস। পরিসংখ্যান বলছে, ব্রিটেনে প্রায় ২২ হাজার স্কুলের মধ্যে আজ খোলা ছিল প্রায় ৩ হাজারের মতো স্কুল। ধর্মঘটের জেরে কাজ ব্যাহত হয়েছে হাসপাতাল, বিমানবন্দর, আদালত এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দফতরে।
লন্ডনের হিথরো ও গ্যাটউইক বিমানবন্দর থেকে বিমান ওঠানামা করলেও বেশ কয়েকটি সংস্থা তাদের উড়ান বাতিল করেছে। ধর্মঘটের জেরে গত কালই লন্ডনগামী ৪টি বিমান বাতিল করেছিল এয়ার ইন্ডিয়া। বিমান চলাচলেও দেরি হবে বলে আশঙ্কা করছেন কর্তৃপক্ষ। আজ সকালে হিথরো বিমানবন্দরে যাত্রীদের তেমন কোনও অসুবিধায় পড়তে হয়নি। তবে পরে সমস্যা বাড়ার আশঙ্কা করছেন কর্তৃপক্ষ। |
আজ সারা দিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করেন আন্দোলনকারীরা। পেনশন পরিকল্পনায় সংস্কারের ফলে সরকারি কর্মীদের নিজেদের ভাগ থেকে বেশি টাকা পেনশন খাতে দিতে হবে। তা ছাড়া, বাড়বে কাজের সময়ও। সরকারি কর্মীদের ইউনিয়ন ইউনিসনের সাধারণ সচিব ডেভ প্রেন্টিস বলেন, “পেনশন পরিকল্পনায় সংস্কারের ফলে কয়েক লক্ষ সরকারি কর্মী, বিশেষ করে স্বল্প আয় করেন যে সব মহিলা, তাঁরা সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। সরকারি কর্মীরা এই সিদ্ধান্তে খুবই ক্ষুব্ধ। তাই এই ধর্মঘট।”
সরকারি কর্মীদের কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়ে ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী জর্জ অসবোর্ন বলেন, “এই ধর্মঘটের ফলে কেউ কিছু পাবে না। এ ভাবে কাজ বন্ধ করে কিছু পরিবর্তন করা যায় না। এর ফলে আমাদের অর্থনীতিই আরও দুর্বল হবে। কমবে কাজের সুযোগ।” তাই বিক্ষোভকারীদের প্রতি তাঁর বার্তা, “আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে ফেলাই ভাল। আলোচনার মধ্যে দিয়েই সরকারি কর্মীদের জন্য সুবিধাজনক পেনশন প্রকল্প তৈরি করতে হবে। এবং এমন ভাবে সেটা তৈরি করতে হবে, যাতে দেশ এবং করদাতাদের উপর চাপ সৃষ্টি না হয়।” |