জঙ্গিপুরের পর বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের বাকি ৪টি মহকুমায় আইন অমান্য কর্মসূচি পালন করল জেলা সিপিএম। পুলিশের হিসাবে এ দিন ৪টি মহকুমায় প্রায় ৩০ হাজার জন আইন অমান্য করেন। এ দিন বহরমপুর, কান্দি, লালবাগ ও ডোমকল মহকুমায় আইন অমান্যের আগে সিপিএমের কর্মী সমর্থকেরা একত্রিত হন। সিপিএমের মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘দু’দিনে মুর্শিদাবাদ জেলার ৫টি মহকুমাতে আইন অমান্য কর্মসূচিতে অন্তত ৬০ হাজার কর্মী সমর্থকের জমায়েত হয়েছে।” |
তার মধ্যে লালবাগেই সমাবেশেই প্রায় ১৫ হাজার মানুষ আসেন।” এ দিন লালবাগে আইন অমান্যে ছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলাপরিষদের সভাধিপতি পূর্ণিমা দাস, দলের জেলা সম্পাদক মৃগাঙ্কবাবু ও সিটুর জেলা সম্পাদক তুষার দে। বৃহস্পতিবার বামফ্রন্টের আইন অমান্য কর্মসূচি পালিত হল কান্দিতে। এ দিন দুপুরে মহকুমার বাম নেতা-কর্মীরা মহকুমাশাসকের হাতে একটি দাবিপত্র তুলে দেন। সিপিএমের রাজ্য কমিটির সম্পাদক মোজাফফর হোসেন বলেন, “জেলা জুড়ে রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা। চাষিদের কাছ থেকে জমি নিয়ে ওই রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল। রাস্তার সংস্কার করা না হলে চাষিদের জমি চাষিদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বামফ্রন্ট আন্দোলন করবে।” তাঁদের অভিযোগ, আলু চাষের মরসুমে সারের কালোবাজারি রোধ করতে কোনও উদ্যোগই করছে না রাজ্য সরকার। জেলায় একটি মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হওয়ার কথা ছিল, তবে তাও কলকাতায় স্থানান্তরিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁদের। |