|
|
|
|
অভিযুক্ত শাসকদল |
সিপিএমের মিছিলে হামলা, আহত ৫ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ফের সন্ত্রাসে অভিযুক্ত শাসকদল। সিপিএমের মিছিলে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার জেরে বুধবার রাতে উত্তেজনা ছড়ায় মেদিনীপুর শহর-সংলগ্ন কালগাংয়ে। তৃণমূলের হামলায় আহত হয়েছেন ৫ সিপিএম কর্মী। তাঁদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। সিপিএমের অভিযোগ, মিছিল চলাকালীন অতর্কিতে আক্রমণ করেছে তৃণমূলের লোকজন। তৃণমূলের দাবি, ঘটনায় দলের কেউ জড়িত নন। |
|
হাসপাতালে আহত সিপিএমকর্মী। |
মেদিনীপুর শহরে সিপিএমের লোকাল কমিটির সম্মেলন শুরু হয়েছে। আজ, শুক্রবার শহর জোনাল কমিটির অন্তর্গত ৫ নম্বর লোকাল কমিটির সম্মেলন রয়েছে। কালগাং এলাকা এই কমিটির অন্তর্গত। লোকাল কমিটির সম্মেলন উপলক্ষে বুধবার সন্ধ্যায় সিপিএমের একটি মিছিল বেরোয়। দলের স্থানীয় কর্মী-সমর্থকেরাই মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, এই মিছিল চলাকালীন আচমকাই তৃণমূলের ২০-২৫ জন হামলা চালায়। সিপিএম কর্মীদের মারধরের পাশাপাশি প্রচার-মাইকও ভেঙে দেওয়া হয়। তার পর তৃণমূল দলের নামে স্লোগান দিতে দিতে হামলাকারীরা এলাকা ছেড়ে যায়। ঘটনাস্থলে যান সিপিএমের জোনাল নেতারা। আহতদের উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁদের মধ্যে চম্পাই হেমব্রম নামে এক সিপিএম কর্মীর আঘাত গুরুতর। বাবলু মহাপাত্র, শঙ্কর পড়্যাদের মতো কয়েক জনকেও মারধর করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আহতরা সবাই চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে সিপিএমের শহর জোনাল কমিটির সম্পাদক কীর্তি দে বক্সী বলেন, “এটাই কি গণতন্ত্র? আমরা মিছিল করতে পারব না?” তাঁর কথায়, “লোকাল কমিটির সম্মেলন উপলক্ষেই দলীয় কর্মী-সমর্থকরা এলাকায় মিছিল করছিলেন। তখনই অতর্কিতে হামলা চালানো হয়। এমন ঘটনা ভাবাই যায় না।” সিপিএমের অভিযোগ, পুলিশে খবর দেওয়া হলে পুলিশও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেনি। দলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের মেদিনীপুর শহর সভাপতি সুকুমার পড়্যা বলেন, “ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। দলের কেউ জড়িত নয়। মিথ্যে অভিযোগ।” তাঁর ইঙ্গিত, “সিপিএমের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেও এ ঘটনা হয়ে থাকতে পারে।” দেরিতে হলেও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। |
|
|
|
|
|