দুলাল-সঙ্গীর মামলায় রায় ১৯ ডিসেম্বর |
দমদমে জোড়া খুনের মামলায় দ্বিতীয় পর্যায়ে দুই অভিযুক্তের বিচারের রায় ১৯ ডিসেম্বর ঘোষণার দিন ধার্য হয়েছে। এই পর্যায়ে বিচার হল মানবদাস চাকলাদার ওরফে মিতা এবং রঞ্জন চক্রবর্তী ওরফে পচার।
আলিপুরে নবম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের আদালতে এই একই মামলায় প্রথম পর্যায়ের বিচারে ২০০৪ সালের ৩০ অগস্ট স্থানীয় প্রভাবশালী সিপিএম নেতা দুলাল বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দুই শাগরেদ বাপি খাঁড়া ও কৃষ্ণেন্দু ঘোষের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। অভিযুক্ত মিতা ও পচা তখন ফেরার ছিল। পরে কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশের জালে তারা একে একে ধরা পড়ে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে বিচার শুরু হয়। এখনও কেলো গুপি ও ভোম্বল নামে দুই অভিযুক্ত ফেরার রয়েছে।
দমদমে কুমার আশুতোষ ইনস্টিটিউশনের পিছনের মাঠে ২০০২ সালের ৪ মার্চ রাতে চন্দন চক্রবর্তী ও সঞ্জীব গোস্বামী নামে দুই ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারা হয়। বিচারক অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাসে এই দ্বিতীয় পর্যায়ের বিচারে বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত পচার হয়ে তার আইনজীবী সর্বাণী রায় সওয়াল শেষ করেন। তার পরেই রায় ঘোষণার দিন ধার্য হয়। সরকারি আইনজীবী নবকুমার ঘোষ জানান, দ্বিতীয় পর্যায়ে বিচারকালে মোট ১৩ জন সাক্ষ্য দেন। প্রথম পর্যায়ে এই ১৩ জন-সহ মোট ১৭ জন সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে পরে এক জন মারা গিয়েছেন।
|
সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন বিকাশ |
সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র বিকাশ ভট্টাচার্য। কয়েক সপ্তাহ আগে অগ্ন্যাশয়ে জটিল সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছিলেন বিকাশবাবু। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ই এম বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে পরে দিল্লির এইমস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সুস্থ হয়ে বুধবার রাতের বিমানে দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরেছেন বিকাশবাবু। বৃহস্পতিবার বাড়িতে বিকাশবাবু বলেন, “চিকিৎসকরা সপ্তাহখানেক বিশ্রাম নিতে বলেছেন। তার পর ফের
কাজ শুরু করব।”
|
এক তরুণীর ঝুলন্ত দেহ মিলল। বৃহস্পতিবার, কড়েয়া থানা এলাকার একটি বাড়ি থেকে। মৃতার নাম অর্পিতা সাহা (৩৩)। পুলিশ জানায়, বীরেশ গুহ স্ট্রিটের একটি বহুতলে থাকতেন অর্পিতা ও তাঁর মা । এ দিন অর্পিতার ঘরের দরজা বন্ধ দেখে তাঁর মা এবং স্থানীয়েরা থানায় খবর দেন। পুলিশ দরজা ভেঙে অর্পিতার দেহ উদ্ধার করে। একটি সুইসাইড নোটও মিলেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানায়, দিন কয়েক আগে বেসরকারি ব্যাঙ্কের চাকরি ছেড়ে অন্য একটি সংস্থায় যোগ দেন অর্পিতা। এ নিয়ে তাঁর সঙ্গে মায়ের ঝগড়া হয়েছিল। তার পর থেকেই তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে তদন্তকারীদের দাবি।
|
অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন মহাকরণের তিন কর্মী। বৃহস্পতিবার মহাকরণের তিনতলার তিন নম্বর ব্লকে কৃষি দফতরে একটি সিলিং ফ্যান ভেঙে পড়ে। সেখানে কাজ করছিলেন সুদীপ চক্রবর্তী, অনিন্দিতা পাটসা ও মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ওই তিন জন। তাঁদের সামনেই টেবিলের উপরে আছড়ে পড়ে পাখাটি। পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারেরা গেলে তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান কর্মীরা। ওই ঘরে প্রায় ৭০ জন কর্মী বসেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, সব পাখারই এক অবস্থা। দ্রুত মেরামতির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলে কর্মীরা শান্ত হন।
|
জাল নথি দেখিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হল দু’জন। ধৃতদের নাম সুরেশ রায় ও জিয়াউর মোল্লা। পুলিশ জানায়, একটি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থার এক কর্মীর নামে নথি জাল করে মিডলটন স্ট্রিটের এক ব্যাঙ্ক থেকে গাড়ির জন্য ঋণ নেয় তারা। ঋণ শোধ না হওয়ায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ওই সংস্থার অফিসে গিয়ে জানতে পারেন, নথি জাল করে ঋণ নেওয়া হয়েছে। ব্যাঙ্কের তরফে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ জেনেছে, একটি চক্র ওই টাকা দিয়ে গাড়ি কিনে সেটি অন্য এক জনকে বিক্রি করেছে। সেই সূত্রেই মঙ্গলবার গ্রেফতার হয় সুরেশ। তাঁকে জেরা করে বুধবার জিয়াউর ধরা পড়ে। পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় জড়িত একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীরও খোঁজ চলছে।
|
নিউ আলিপুরের একটি বহুতলে চুরির অভিযোগে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হল এক যুবক। ধৃত বিজয় মাইতি ওরফে ছোটনের বাড়ি রায়বাহাদুর রোডে। পুলিশ জানায়, ৭ নভেম্বর নিউ আলিপুরের বাসিন্দা কেতন সান্থালিয়ার ফ্ল্যাট থেকে লক্ষাধিক টাকার গয়না চুরি হয়। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বিজয় গ্রেফতার হয়। তার কাছে চুরি যাওয়া গয়নার অনেকটাই মিলেছে বলে দাবি পুলিশের। ওই দিনই বাইপাসে এক বেসরকারি হাসপাতালের কাছে চোরাই মোটরবাইক-সহ এক যুবককে গ্রেফতার করেন কর্তব্যরত কসবা ট্রাফিক গার্ডের এক পুলিশকর্মী। ধৃত রাকেশ সাহার বাড়ি গড়ফায়।
|
প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক মহিলার। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা নাগাদ, তিলজলা থানা এলাকার সি এন রায় রোডে। পুলিশ জানায়, বেলা রায় (৫৯) নামে ওই মহিলার বাড়ি পিকনিক গার্ডেন ফার্স্ট লেনে। ওই গাড়ির চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। |