|
|
|
|
গেট খোলা, তবু ট্রেন ছুটতে থাকায় বিক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
সিগন্যাল লাল। গেট খোলা। এই অবস্থায় একটি ট্রেন পেরিয়ে গেল লেভেল ক্রসিং। আর তা দেখতে পেয়ে উত্তেজিত হয়ে পড়লেন সাধারণ মানুষ। নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে বৃহস্পতিবার বিকেলে রেললাইনে নেমে পড়লেন বেলঘরিয়ার মানুষজন। রেললাইন অবরোধ
করে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা। ইট ছোড়া হল গেটম্যানের ঘর লক্ষ করে। তত ক্ষণে সারি সারি ট্রেন দাঁড়িয়ে গিয়েছে লাইনে।
সাধারণত গেট খোলা থাকলে ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে
কী ভাবে গেট খোলা থাকা অবস্থায় পেরিয়ে গেল ট্রেন?
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সমীর গোস্বামীর ব্যাখ্যা, রেল মন্ত্রকের নির্দেশে লেভেল ক্রসিংয়ে নতুন প্রযুক্তির গেট বসানো হচ্ছে দেশের সর্বত্র। পূর্ব রেলের শিয়ালদহ মেন ও বনগাঁ লাইন এবং দক্ষিণ শাখায় ওই গেট বসছে। ওই গেট খোলা অবস্থাতেই ট্রেন গতি কমিয়ে (ঘণ্টায় পাঁচ কিলোমিটার) অনায়াসে চলে যেতে পারে।
কিন্তু ট্রেনের সামনে যদি হঠাৎ করে কিছু এসে পড়ে? সে-ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় নেবে কে?
রেল বলছে, এ ক্ষেত্রে ট্রেনের চালক ও গার্ডকে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হয়। সামনে কোনও বাধা থাকলে তৎক্ষণাৎ ব্রেক কষে ট্রেন থামিয়ে দিতে হয় সেখানেই। লেভেল ক্রসিংয়ের গেট খোলা অবস্থায় ট্রেন চালাতে গেলে চালক, গার্ড ও গেটম্যান তিন জনের মধ্যে ওয়াকিটকিতে কথা বলে নিতে হয়। রাখতে হয় তার রেকর্ডও। অর্থাৎ রেলের দাবি, নিয়ম অনুযায়ী এ দিন বিকেলে বেলঘরিয়ার ওই রেলগেট পেরোনোর সময় ট্রেনটির চালক, গার্ড এবং গেটম্যান নিজেদের মধ্যে কথা বলে নিয়েছিলেন।
রেলের এই ব্যাখ্যায় সাধারণ বিক্ষোভকারীরা কিন্তু সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তাঁদের আশঙ্কা, রেলের এই উদ্ভট নিয়মে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যাবে। বেলঘরিয়ার মতো ঘিঞ্জি এলাকায় মানুষ থেকে শুরু করে যানবাহন, আচমকা সবই চলে আসতে পারে রেললাইনের উপরে। তখন দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় কে নেবে, সেই প্রশ্নও তুলেছেন সাধারণ মানুষ। তাঁদের আরও প্রশ্ন, ইদানীং রেলের বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটেছে মানুষের ভুলের জন্যই। এ ক্ষেত্রে সেই ভুলের আশঙ্কা অনেক বেশি।
রেল অবশ্য দাবি করেছে, এই সিগন্যাল ব্যবস্থা নিরাপদ। |
|
|
|
|
|