মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মাধ্যমে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সব বই ছাপার সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নিল রাজ্য সরকার। আগামী বছরও প্রচলিত ব্যবস্থা মেনে কিছু বই সরকার ছাপবে। বাকি বই ছাপার দায়িত্ব থাকছে বেসরকারি প্রকাশকদের হাতেই। তবে ওই প্রকাশকদের থেকে বই কিনে নিয়ে রাজ্য সরকার পড়ুয়াদের তা বিনামূল্যে দেবে।
শনিবার মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরে এ কথা জানান পশ্চিমবঙ্গ প্রকাশক ও বই বিক্রেতা সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি সজল চট্টোপাধ্যায়। মধ্যশিক্ষা পর্ষদই স্কুল স্তরে সব শ্রেণিতে পাঠ্যবই দেবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। সারা রাজ্যে একই রকম পাঠ্যপুস্তক চালু করার উদ্দেশ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিল স্কুলশিক্ষা দফতর। কিন্তু রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেন বেসরকারি প্রকাশকেরা। তাঁরা জানান, প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ভাবে পাঠ্যপুস্তক ছাপার সঙ্গে জড়িত। সরকারি এই সিদ্ধান্তের ফলে তাঁরা কাজ হারাবেন।
বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য শনিবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, স্কুলশিক্ষা দফতর, সর্বশিক্ষা অভিযান, মধ্যশিক্ষা পের্ষদ, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কর্তা ও প্রকাশকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে প্রকাশক সংগঠনের তরফে সজলবাবু বলেন, “আগামী বছরও প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ১১টি বই ছাপবে সরকার, বাকি ১৯টি বই বেসরকারি প্রকাশকেরা ছাপবেন।” ২০১৩ থেকে স্কুলে নতুন পাঠ্যক্রম কার্যকর হওয়ার কথা। ওই বছর থেকে কী ভাবে পাঠ্যপুস্তক ছাপা হবে, তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সরকারি সূত্রে খবর, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বিভিন্ন বিষয়ের পাঠ্যবইয়ের নমুনা ছাপবে। সেই নমুনা অনুযায়ী বই ছাপবেন বেসরকারি প্রকাশকেরা।
|
মমতার দ্বারস্থ বিপ্লবী বাংলা কংগ্রেস নেতারা নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বামফ্রন্ট শরিক বিপ্লবী বাংলা কংগ্রেসের সদস্য সমর রায়-সহ কিছু নেতা শনিবার মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরা তৃণমূলের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বলে মুখ্যমন্ত্রীকে জানান। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ওই নেতাদের বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুও। পূর্ণেন্দুবাবু বলেন, “বিপ্লবী বাংলা কংগ্রেসের ওই নেতারা মূলত পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ের অধিবাসী। মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁরা তৃণমূলের কাছাকাছি এসে কাজ করতে আগ্রহী বলে জানান। মুখ্যমন্ত্রী আমাকে এবং মুকুল রায়কে তাঁদের সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ দিয়েছেন।” এর ফলে ক্ষমতাসীন তৃণমূল-কংগ্রেস জোটের শরিকসংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা থাকছে কি না, এই প্রশ্নে পূর্ণেন্দুবাবু সরাসরি উত্তর দেননি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর সমরবাবু কিছু বলেননি। কিন্তু রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা তৈরি হয় যে, বিপ্লবী বাংলা কংগ্রেস বামফ্রন্ট ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। বিপ্লবী বাংলা কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক সুনীল চৌধুরীকে প্রশ্ন করা হয়। তিনি অসুস্থ। বলেন, “বামফ্রন্টের সঙ্গে আছি। প্রশ্ন থাকলে রীতা চৌধুরীকে জিজ্ঞাসা করতে হবে।” সুনীলবাবুর অসুস্থতার জন্য অধুনা বিপ্লবী বাংলা কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত রীতাদেবী বলেন, “বামফ্রন্ট ছাড়ার প্রশ্ন নেই। দলের এক সদস্য সবংয়ের নেতা সমর রায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।” |