|
|
|
|
তাড়া খেয়েই দুই মাওবাদী নন্দীগ্রামে, দাবি করছে পুলিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
‘মাওবাদী’ সন্দেহে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া থেকে যে দুই যুবককে শুক্রবার আটক করা হয়েছিল, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে তাঁদের গ্রেফতার করে শনিবার হলদিয়া আদালতে হাজির করল পুলিশ। ধৃত সঞ্জয় দাস ও পরশুরাম দাসকে আরও জেরার জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়েছিল পুলিশ। হলদিয়ার এসিজেএম সর্বাণী মল্লিক চট্টোপাধ্যায় ৩ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অশোক প্রসাদের বক্তব্য, “ধৃতদের কাছ থেকে মাওবাদী পত্র-পত্রিকা, লিফলেট, পোস্টার মিলেছে। তাঁদের আরও জেরা করা প্রয়োজন।”
জেলা পুলিশ সূত্রের দাবি, শুক্রবার প্রাথমিক জেরাতেই ধৃতদের কাছ থেকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ নানা তথ্য মিলেছে। ওই দু’জনের মতোই নন্দীগ্রামের আরও কয়েক জন জঙ্গলমহলে মাওবাদী স্কোয়াডে ছিল এবং এখনও আছে বলে জানা গিয়েছে। জঙ্গলমহলে যৌথ বাহিনীর অভিযানের তীব্রতা বাড়ায় সঞ্জয়রা বুধবারই নন্দীগ্রামে ফিরেছিলেন। স্থানীয় ভাবেও নাশকতার কোনও ছক তাঁদের ছিল কি না, জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। সোনাচূড়ারই বাসিন্দা পরশুরাম ওরফে নান্টু মাওবাদীদের অযোধ্যা স্কোয়াডে ছিলেন বলে জেলা পুলিশের সূত্রের দাবি। সোনাচূড়া লাগোয়া গাংড়ার বাসিন্দা সঞ্জয় ওরফে শুভকে ২০০৭-এও মাওবাদী যোগাযোগের সন্দেহে এক বার ধরা হয়েছিল এবং পরে তিনি জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। ২০১০-এর ১৩ মার্চ ভেকুটিয়া পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান সরোজ ভুইঁয়ার প্রাণনাশের চেষ্টার সঙ্গেও ধৃতদের যোগাযোগ রয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ।
নন্দীগ্রামে জমি-রক্ষার আন্দোলনে মাওবাদীদের ‘সক্রিয় ভূমিকা’ ছিল বলে অভিযোগ অনেক দিনের। জমি-আন্দোলন পর্বেই ২০০৭-এর নভেম্বরে কাকদ্বীপে মাওবাদী সন্দেহে ধরা পড়েন নন্দীগ্রামের তিন বাসিন্দা রাধেশ্যাম গিরি, প্রকাশ মুনিয়ান, গৌরহরি মণ্ডল। তাঁরা আপাতত রয়েছেন জেলে। বাম-আমলেই মাওবাদীদের নন্দীগ্রাম অঞ্চলের নেতা সন্দেহে ধরা হয়েছিল মধুসূদন মণ্ডল ওরফে সেলিম ওরফে নারায়ণকে। তিনিও জেলে। মাওবাদী শীর্ষ-নেতা, আপাতত জেলবন্দি, তেলুগু দীপকেরও নন্দীগ্রামে যাতায়াত ছিল বলে ইতিপূর্বে আদালতে জানিয়েছে পুলিশ। ২০০৯-এর সেপ্টেম্বরে খুন হন সোনাচূড়া পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান নিশিকান্ত মণ্ডল। সেই খুনও মাওবাদীরাই করেছিল বলে দাবি পুলিশের। জমি-আন্দোলনে মাওবাদী ‘সক্রিয়তা’ নিয়ে বাম-শিবিরের অভিযোগ অবশ্য বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে ওই আন্দোলনের প্রধান শক্তি তৃণমূল। এখন তারাই রাজ্যে ক্ষমতায়। মাওবাদীদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থানই নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
|
পথ অবরোধ
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাদুড়িয়া ও তমলুক |
বিভিন্ন দাবিতে শনিবার বিকেলে বাদুড়িয়ার বাদজোলা বাজারে এক ঘণ্টা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল এসইউসি-র কৃষক সংগঠন। লরির ধাক্কায় ছাত্রের মৃত্যুর জেরে পূর্ব মেদিনীপুরে ময়না-মেদিনীপুর সড়কও অবরোধ করা হয়। |
|
|
|
|
|