বিনোদ কাম্বলির ছিয়ানব্বই বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল প্রসঙ্গে বিস্ফোরক অভিযোগ নিয়ে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া চলছেই। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অজয় মাকেন এ দিন মন্তব্য করেছেন, বোডের্র উচিত কাম্বলির অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করে দেখা। ক্রীড়া বিল নিয়ে মাকেন বনাম বোর্ড ‘লড়াই’য়ের মধ্যে ক্রীড়ামন্ত্রী বোর্ড কর্তাদের উপর পরোক্ষে চাপ তৈরি করে বলেছেন, “কোনও ম্যাচ নিয়ে গড়াপেটার অভিযোগ তুলছেন এমন একজন প্লেয়ার, যিনি নিজে সেই ম্যাচটা একটি দলের হয়ে খেলেছেন। এ রকম ক্ষেত্রে আমি মনে করি, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের উচিত কাম্বলির অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করে দেখাসে দিন ঠিক কী ঘটেছিল ইডেনে ভারত-শ্রীলঙ্কা সেমিফাইনাল ম্যাচে।”
যদিও কাম্বলির গড়াপেটা নিয়ে অভিযোগকে বোর্ড যেমন আমল দিচ্ছে না, তেমনই মাকেনের তদন্তের প্রস্তাবকেও উড়িয়ে দিয়েছে তারা। বোর্ডের অন্যতম কর্তা রাজীব শুক্ল এ দিনই বলে দিয়েছেন, “কাম্বলির অভিযোগ তদন্ত করে দেখার যোগ্যই নয়। ও যে অভিযোগ তুলেছে সেটাকে আমরা কোনও গুরুত্ব দিচ্ছি না।”
সিএবি প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়া-ও এ দিন কাম্বলির ইডেনে বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল নিয়ে গড়াপেটার অভিযোগ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন। “কেউ পনেরো বছর, কেউ তিরিশ বছর, কেউ একশো বছর পরে মুখ খুলবে এর কোনও মানেই হয় না। ননসেন্স! আমার মনে হয়, ভাল বিচারক আনা দরকার। আর কাম্বলি টিভি-তে এ সব না বলে বিচারকদের সামনে ওর প্রমাণ পেশ করুক। হালফিলে দেখছি, গড়াপেটা সংক্রান্ত ব্যাপারে কয়েক জন ক্রিকেটারকে জেলে পাঠানো হয়েছে। আমার মনে হয়, এ সব বন্ধ করতে সেটাই সেরা উপায়,” বলেছেন প্রাক্তন আইসিসি প্রেসিডেন্ট ডালমিয়া।
বর্তমান আইসিসি প্রেসিডেন্ট শরদ পওয়ার আবার কাম্বলির অভিযোগকে শুধু উড়িয়েই দিচ্ছেন না, সঙ্গে বলেছেন, “কাম্বলির অভিযোগ দায়িত্বজ্ঞানহীন। আমি বরং অনেক বেশি বিশ্বাস রাখব, এই বিষয়ে সচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বা অজিত ওয়াড়েকরের মতো ক্রিকেটাররা কী বলছে সেগুলোই।” |