জঞ্জাল অপসারণ করে শহরের দূষণ নিয়ন্ত্রণের কাজে সফল হল রায়গঞ্জ পুরসভা। গত ১১ নভেম্বর কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত দ্বিতীয় ‘ইন্টার ন্যাশলাল কনফারেন্স অন সলিডওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট-২০১১’ অনুষ্ঠানে রায়গঞ্জ পুরসভাকে শংসাপত্র ও স্মারক দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে। ‘ইন্টার ন্যাশনাল সোসাইটি অফ ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট এয়ার অ্যান্ড ওয়াটার’ সংস্থার পরিচালনায় আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে ভারতবর্ষ সহ পৃথিবীর ১০ টি দেশের বিভিন্ন পুরসভার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। সেখানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও দেশবিদেশের একাধিক গবেষক এবং বাস্তুকাররা বিভিন্ন পুরসভার প্রতিনিধিদের শহরের বর্জ্য অপসারণ করে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপারে সচেতন করেন। ৯ নভেম্বর থেকে ওই সচেতনতামূলক সেমিনার শুরু হয়। সেমিনারের শেষ দিন গত ১১ নভেম্বর কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী সৌগত রায়, রায়গঞ্জ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রণজকুমার দাস ও পুরসভার স্বাস্থ্য পরিদর্শক সুদেব দাসের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, “শহরের বিভিন্ন বর্জ্য ও জঞ্জাল অপসারণ করে দূষণ নিয়ন্ত্রণের কাজে সফল হওয়ায় ওই পুরস্কার মিলেছে। বাসিন্দাদের সক্রিয় সহযোগিতা ছাড়া শহরকে জঞ্জাল মুক্ত রাখা সম্ভব হত না।” পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্জ্য অপসারণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণের কাজে প্রথম হয়েছে মহিশূর কর্পোরেশন। দ্বিতীয় হয়েছে দুর্গাপুর কর্পোরেশন। রায়গঞ্জ পুরসভা ছাড়াও ওই অনুষ্ঠানে বিশেষ পুরস্কৃত করা হয়েছে বালুরঘাট পুরসভা ও বারুইপুর পরসভাকে। মোহিতবাবুর অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরে পুর কর্তৃপক্ষ শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে একাধিক উদ্যোগ নিলেও ব্যবসায়ীদের একাংশ সেই কাজে সহযোগিতা করছেন না। তাঁরা শহরের রাস্তার ধারে দিনভর আবর্জনা জমা করে রাখছেন। বাসিন্দাদের একাংশ রাস্তার ধারে নির্মাণ সামগ্রী জমা করে রাখছেন। তিনি বলেন, “ব্যবসায়ীদের ও বাসিন্দাদের শহরকে দূষণমুক্ত রাখার ব্যাপারে সচেতন করার উদ্যোগ নিচ্ছি। তারপরও কেউ পুরসভাকে সহযোগিতা না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পুরসভার কাউন্সিলার পবিত্র চন্দ বলেন, “ ২০০৬ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতায় পুর কর্তৃপক্ষ শহর জুড়ে সলিডওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প চালু করেছেন। ওই প্রকল্পে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে বাড়ি বাড়ি ও শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে সাফাই কর্মীরা বর্জ্য সংগ্রহ করে সেগুলি ডাম্পিং গ্রাউন্ডে নিয়ে গিয়ে নষ্ট করেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা রায়গঞ্জে এসে বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। এর পরই পুরসভাকে পুরস্কৃত করা হয়।” |