রবিবাসরীয় প্রবন্ধ
২৬/১১ কি ইতিহাস?

সলতে পাকানোর গল্প
দাউদ গিলানির বাবা পাকিস্তানি, মা আমেরিকান। আর পাঁচটা বখা ছেলের মতোই হেরোইন-আসক্ত হয়ে ওঠে গিলানি, চোরা কারবারেও জড়িয়ে পড়ে। ১৯৮৮ সালে আমেরিকান ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি গিলানিকে পাকিস্তান থেকে হেরোইন পাচার করার অভিযোগে গ্রেফতার করে। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা করায় তার লঘু সাজা হয়। তার পর ১৯৯৭-এ আবার ধরা পড়ে সে। কঠিন শাস্তির হাত থেকে বাঁচার জন্যে সে গুপ্তচর হিসেবে কাজ করতে শুরু করে। তার দেওয়া খবরের ভিত্তিতেই নিউ ইয়র্কের পাকিস্তানি হেরোইন চক্রের পাত্তা করতে পারে ডি ই এ।
জীবনের ৪০টা বছর এই ঘৃণ্য, তুচ্ছ ইঁদুরের অস্তিত্ব কাটায় গিলানি। তার পর ২০০১ সালে লাহৌরে এক মসজিদে প্রার্থনা করতে গিয়ে তার চোখে পড়ে লস্কর-এ-তৈবার এক পোস্টার। একটা নম্বরে ফোন করে গিলানি। দু’জন লোক আসে তার কাছে চাঁদা নিতে। আর তাকে বলে হাফিজ সইদের একটা বক্তৃতা শুনতে যেতে। বেশ কিছু সপ্তাহ পরে মুরিদকে-তে আবার দেখা হয় তাদের। কী জাদু ছিল সইদের কথায়, যাতে গিলানির মতো ছ্যাঁচড় দুর্বৃত্ত হয়ে উঠতে পারে দুঃসাহসী জিহাদি? প্রশিক্ষণ নিয়ে দাউদ গিলানি হয়ে উঠবে লস্করের গুপ্তচর। ২০০৬ সাল থেকে তার আমেরিকান পাসপোর্ট আর আমেরিকান নাম ডেভিড হেডলি, ব্যবহার করে পুণে-দিল্লি-মুম্বইয়ে একাধিকবার ঘুরে যাবে গিলানি। তার সংগ্রহ করা খবরের ফলেই দানা বেঁধে উঠবে মুম্বই হামলার ছক।

মুরিদকে কোথায়
লাহৌর থেকে গাড়িতে মুরিদকে ঘণ্টাখানেকের রাস্তা। গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোডের ধারে মরিদকের মূল চত্বর ঘিরে রয়েছে প্রায় পনেরো একর কৃষিজমি। চত্বরের মধ্যে রয়েছে আবু হারেরা মসজিদ, যাতে ৫০০০ লোক ধরে, রয়েছে এর লাগোয়া মাদ্রাসা, যাতে ৫০০ জন ছাত্র পড়তে পারে। এ ছাড়া রয়েছে দাওয়া মডেল স্কুল আর বিজ্ঞান কলেজ। রয়েছে আল আজিজ হাসপাতাল। রোগীদের চিকিৎসা, দেখভাল এক বছর পর্যন্ত বিনি পয়সায়। এমনকী রোগীদের আত্মীয়দেরও নাকি বিনি খরচায় থাকতে দেওয়া হয় মুরিদকেতে। যারা হাসপাতালে আসতে পারছে না, তাদের জন্যে মেডিক্যাল ক্যাম্পও বানায় হাসপাতাল, অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবাও দেয়।
মুরিদকে-কে তৈরি করা হয়েছে কঠিন পবিত্রতার আদর্শে শরিয়ত মেনে। প্রার্থনার সময় দোকানবাজার বন্ধ থাকে, সঙ্গীত, দূরদর্শন, ধূমপান নিষিদ্ধ। সৌদি আরবের কট্টরপন্থীরা মূলত টাকা ঢালে মুরিদকের জন্যে। হাফিজা সইদ যখন উচ্চশিক্ষার জন্যে সৌদি আরব যান, মনে করা হয় তখনই এই যোগাযোগ গড়ে ওঠে।
শুদ্ধ ইসলামের পথ নিয়ে তর্ক অনেক। সলাফিরা মনে করেন এই উপমহাদেশে ইসলাম চর্চায় নানা অশুদ্ধ মিশ্রণ ঘটেছে। তাঁরা একমাত্র হাদিশ নির্দেশিত পথেই হাঁটতে চান। আফগানিস্তানে যে সমস্ত জিহাদি দল লড়াইয়ে যোগ দিয়েছিল তারা বেশির ভাগই এই কট্টরপন্থার পক্ষে।
পাকিস্তানের জনসংখ্যার শতকরা প্রায় ৯৫ ভাগ মুসলমান। তার আবার ৭৫-৮০ ভাগ সুন্নি এবং ২০-২৫ ভাগ শিয়া। এই ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে দেওবন্দি মুসলিম এবং আহ-অল-হাদিশপন্থীরা সংখ্যালঘু। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিহাদি সংগঠনগুলি মূলত এই দুই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের তৈরি।

বিশ্ব ইতিহাস ও কাশ্মীর
আফগানিস্তানে রাশিয়ানদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্যে মধ্যপ্রাচ্য এবং আরও অন্যান্য জায়গার থেকে যে-সব জিহাদি জড়ো হত পাকিস্তানে, তাদের সাময়িক আশ্রয় এবং সেখান থেকে আফগানিস্তানে প্রবেশের ব্যবস্থা করত মূলত ওসামা বিন লাদেনের অর্থানুকূল্যে তৈরি মক্তব-আল-খিদমত সংগঠন। এই সূত্রেই ভারতের কাশ্মীরি জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে বৃহত্তর জিহাদি বৃত্তগুলির পরিচয় ও সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ১৯৮৯-এ আফগানিস্তান থেকে রাশিয়া সৈন্যবাহিনী সরিয়ে নেয়। কিন্তু জিহাদ শেষ হয়ে গিয়েছে, নাকি দুনিয়ায় শুদ্ধ ইসলামের সম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত তা জারি রাখা দরকার, এই তর্ক চলতে থাকে। এবং নতুন করে নজর পড়ে কাশ্মীরে।
আশির দশকের শেষ পর্যন্ত কাশ্মীরের জঙ্গি সংগঠনগুলির মধ্যে জে কে এল এফ, হরকত উল জিহাদ অল ইসলামি (হুজি), হরকত উল মুজাহিদিন (হুম) বা এর থেকে বেরোনো টুকরো জইশ-এ মহম্মদের নামই বেশি শোনা যেত। আই এস আই-ও এই গোষ্ঠীগুলিকেই মূলত মদত দিয়ে এসেছে। নব্বই দশকের মাঝামাঝি থেকে ছবিটা পাল্টে যায়। ১৯৯৩ সালে হুজি আর হুম একসঙ্গে মিশে গড়ে ওঠে হরকত উল আনসার (হুয়া)। ১৯৯৪-এ হুয়ার দুই নেতা মৌলানা মাসুদ আজহার এবং সাজ্জাদ আফগানি গ্রেফতার হওয়ার পর হুয়া একের পর এক বিদেশি পর্যটকদের পণবন্দি করা শুরু করে। ১৯৯৫-এ এই রকম পণবন্দি এক নরওয়েজিয়ান পর্যটক নিহত হন।
এই ঘটনাক্রমে পাকিস্তানের উপর উদ্বিগ্ন ইউরোপীয় দেশগুলির কূটনৈতিক চাপ বাড়তে থাকে। কিন্তু আই এস আই-এর সৃষ্ট দানব তখন হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই আই এস আই লস্কর-এ-তৈবা-কে মদত দিতে শুরু করে। কারণ, অপেক্ষাকৃত ছোট গোষ্ঠী লস্কর পাকিস্তান রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ মানতে অনেক বেশি সম্মত ছিল। এই সময় থেকেই ভারতের জঙ্গি নাট্যমঞ্চে প্রধান ভূমিকায় চলে আসে লস্কর-এ তৈবা।

ধরো বই, ওটা হাতিয়ার
অন্যান্য জিহাদি সম্প্রদায়ের থেকে লস্কর দুটো জায়গায় আলাদা। প্রথমত, তারা দীর্ঘমেয়াদি আদর্শ প্রচারের গুরুত্ব বোঝে। তাদের জনকল্যাণমূলক কর্মসূচিগুলো সম্ভাব্য যোদ্ধাদের আকর্ষণ করার উদ্দেশ্যে চালু করা। এর মধ্যে তাদের সবচেয়ে বেশি সাফল্য স্কুল চালানোয়। ১৯৯৪-এ তাদের দুটো স্কুল ছিল একটা লাহৌরে, একটা মুরিদকে-তে। ২০০১ সালে দেখা যাচ্ছে তাদের ১২৭টি স্কুলে ১৫,০০০ ছাত্র পড়ছে। বালুচিস্তানের লস্করের প্রাদেশিক প্রধান সইদ আতাহারের কথায়, ‘বাচ্চারা হল ফাঁকা ব্ল্যাকবোর্ড, যা লিখবে চিরদিনের জন্যে দাগ পড়ে থাকবে।’ হয়তো সে জন্যেই এদের শিশুশিক্ষার পাঠ্য বইয়ে শেখানো হচ্ছে সি ফর ক্যানন, জি ফর গান।

কতটা পথ হাঁটলে তবে জিহাদি হওয়া যায়
লস্কর সাধারণ ভাবে তার জিহাদিদের ত্রিস্তর প্রশিক্ষণ দিত। প্রথম দফা প্রশিক্ষণের নাম দৌরা-এ-আমা। মূলত জিহাদি আদর্শ আর লস্কর যাকে বলে হাদিশি পথ, তাই শেখানো হয় এই পর্বে। তার পর এর পর্ব দৌরা-এ-সুফা যেখানে ধর্মীয় শিক্ষার সঙ্গে শরীরশিক্ষা এবং সামান্য অস্ত্রশিক্ষা থাকে। এর পর যারা সম্ভাবনাময় তারা অংশ নিত দৌরা-এ-খাসা-য়। তিন মাসের মতো এই প্রশিক্ষণে সাহায্য করত পাক সেনাবাহিনী এবং আই এস আই। ছোট ছোট দলে আক্রমণের প্রশিক্ষণ, পাহাড়ে-জঙ্গলে টিকে থাকার প্রশিক্ষণ, হালকা আগ্নেয়াস্ত্র চালনা, হ্যান্ড গ্রেনেড, রকেট লঞ্চার, মর্টার চালানো এই সব শেখানো হত দৌরা-এ-খাসা-য় আসা ছেলেদের। এই ত্রিস্তর প্রশিক্ষণই এক বছরের মধ্যে দিনমজুর কাসভকে জিহাদি ঘাতক কাসভ-এ পরিণত করেছিল। ডেভিড হেডলি ওরফে দাউদ গিলানিও নিয়েছিল এই প্রশিক্ষণ। কিন্তু গিলানির বয়স বেশি বলে সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত না করে দেওয়া হয়েছিল চরবৃত্তির প্রশিক্ষণ দৌরা-এ-রিবাত।

জিহাদের দেশ-বিদেশ
একুশ শতকের প্রথম ছ’সাত বছর পাকিস্তানকেও জিহাদিদের নিয়ে ভুগতে হয়েছে বিস্তর। এক দিকে যেমন ওয়াজিরিস্তানে পাক সেনাবাহিনীকে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে সামিল হতে হয়েছে, তেমনই একের পর এক আত্মঘাতী বিস্ফোরণে রক্ত ঝরেছে করাচি, লাহৌরে। রক্ত ঝরেছে লাল মসজিদে। ২০০৫ থেকেই সরাসরি পাক রাষ্ট্রের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে পড়ে আল কায়দা, ইলিয়াস কাশ্মীরির ৩১৩ ব্রিগেড বা পাঞ্জাবি তালিবান সম্প্রদায়। লস্কর-এ-তৈবা বা হক্কানি নেটওয়ার্ক ইত্যাদিরা কিন্তু পাকিস্তান সীমান্তের বাইরেই একমাত্র সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালাতে থাকে।

রিমোট কন্ট্রোল
ডেভিড হেডলির দেওয়া খবরের ভিত্তিতে যে হামলার ছক হয়, তাতে পাক সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ না হলেও পরোক্ষ মদত ছিল। কেননা পরে রাজসাক্ষী ডেভিড হেডলি জানিয়েছে জনৈক মেজর ইকবাল তাকে নির্দেশ দিত এবং খবর তার কাছেই পৌঁছে দিতে হত। এটাও ঠিক যে সমস্ত লস্কর-এ-তৈবা জঙ্গিরই পিছনে থাকত এক এক জন ‘হ্যান্ডলার’ বা চালানোর লোক। কাসভের সঙ্গীরা প্রায় মৃত্যুর আগের মুহূর্ত পর্যন্ত তাদের পরিচালকদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছে। গোটা আক্রমণটা এই ভাবে রিমোটে পরিচালিত হয়। কিন্তু এই পরিকল্পনার কথা একদম উচ্চস্তর পর্যন্ত জানা ছিল কি না নিশ্চিত নয়।

যাকে সামনে পাব
মোট ১৬৬ জন মারা গিয়েছিলেন এই হামলায়। কাদের মারার নির্দেশ ছিল? কাসভ এই প্রশ্নের উত্তরে বলেছে, ‘যাকে সামনে পাওয়া যাবে।’ তা হলে কি স্রেফ ভুল সময়ে ভুল জায়গায় চলে গিয়েছিলেন এম ভি কুবেরের নাবিকরা, ছত্রপতি স্টেশনে ভিড় করা লোকেরা, তাজ আর হোটেল ওবেরয় আর লিয়োপোল্ড কাফের হতভাগ্য অতিথিবৃন্দ, আর নরিম্যান হাউসের রাকাই আর তাঁর স্ত্রী। হেমন্ত কারকারে আর সঙ্গীরা অবশ্য বেছে নিয়েছিলেন কোথায় থাকবেন। তাঁদের কর্তব্যবোধ বলেছিল কখন কোথায় তাঁদের যাওয়া উচিত। কিন্তু তিনি কি জানতেন তাঁর পরিহিত বর্ম মোটে ৪ মিমি পুরু, দাঙ্গা থামানো পুলিশের বর্ম যা দ্রুতগতির বুলেটের জন্যে যথেষ্ট নয়?
সেনাবাহিনী পৌঁছেছিল পাঁচ ঘণ্টা বাদে। তার একটু পরে নৌ কমান্ডো বাহিনী। কিন্তু নৌ কমান্ডোকে ফিরে আসতে বলা হয়, কারণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেছিল ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডের ২০০ জন বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমান্ডোকে পাঠানো হচ্ছে দু’ঘণ্টার মধ্যে।

ভুল সবই ভুল
অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে, দিল্লি থেকে মুম্বই আসতে কমান্ডোদের লেগে গিয়েছিল আরও প্রায় ৭ ঘণ্টা। একটি রাশিয়ান বাণিজ্যিক বিমানের পাইলটকে ঘুম থেকে তুলে, সেই বিমানে তাদের উড়িয়ে আনা হয়। ততক্ষণে সবাই জানত জিহাদিরা ফোনে তাদের লস্করের পরিচালকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। এবং তারা নিশ্চয় ভারতের টিভি চ্যানেলগুলো দেখছে এবং জিহাদিদের তথ্য দিয়ে সাহায্য করছে। ফলত যখন কমান্ডোরা নরিম্যান হাউসের ছাদে হেলিকপ্টার থেকে নামছেন দুই জিহাদি তা আগে থেকেই জেনে তৈরি থাকে। এবং তাদের গুলিতে এক জন জওয়ান নিহত হন। কমান্ডোর জওয়ানরা জানতেনই না তাজ আর ওবেরয় দুটো আলাদা হোটেলে দখল নিয়েছে জিহাদিরা। জানতেন না ওবেরয়ের ওপর দিকে একটা গোল বেরিয়ে থাকা বারান্দা আছে, যেখান থেকে জিহাদিরা সহজেই নীচের লোকেদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে পারে। রাতে হামলা চালানোর উপযুক্ত চশমা ইত্যাদি ছিল না বলে ওঁদের অপেক্ষা করতে হয়েছিল দিনের আলো ফোটা পর্যন্ত। ওঁদের কাজ শুরু হওয়ার বেশ কয়েক ঘণ্টা আগেই ফলত প্রাণ গিয়েছিল ভুল সময়ে ভুল জায়গায় থাকা লোকেদের। ট্রাইডেন্ট ওবেরয় হোটেলে জিহাদি আবদুল রেহমান ছোটা আর ফাহাদুল্লি ঢুকে আসার প্রায় ১৭ ঘণ্টা পড়ে এন এস জি-র কমান্ডোরা পুনর্দখল নেন। শহিদ হতে হতে শেষ মুহূর্তে থমকায় ফাহাদুল্লা। অনেকক্ষণ একটা বাথরুমে লুকিয়ে থাকে সে। আর ফোনে তাকে ক্রমাগত বোঝানো হতে থাকে তার সাফল্যের জন্যে তার মৃত্যু কত জরুরি।
মুম্বই হামলা আজ হয়তো ইতিহাস, কিন্তু সে আবার ভবিষ্যৎ হয়ে উঠবে না, গ্যারান্টি দেবে কে?

ঋণ: স্টর্মিং দি ওয়র্লড স্টেজ
স্টিফেন ট্যাঙ্কেল



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.