|
|
|
|
দিনহাটায় প্রকাশ্যে প্রতিবেদন |
শরিকি দ্বন্দ্বে অস্বস্তি ফ্রন্টে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দিনহাটা |
একের পর এক লোকাল কমিটির সম্মলনের সম্পাদকীয় প্রতিবেদন প্রকাশ্যে চলে এসেছে। আর তাতে বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে সিপিএম। আর সর্ষের মধ্যে ভূত রয়েছে, তাই প্রতিবেদন সংবাদ মাধ্যমের হাতে পৌঁছেছে। এই সন্দেহে দিনহাটার আটিয়াবাড়ি লোকাল সম্মেলনে ছাপানো সম্পাদকীয় প্রতিবেদনের বালাই রাখল না সিপিএম। হাতেলেখা হাতেগোনা কিছু সম্পাদকীয় প্রতিবেদনে সম্মেলনে হাজির ওই লোকাল কমিটির সম্পাদক এবং শাখা সম্পাদকদের মধ্যে স্রেফ বিলি করা হয়। গোটা বিষয়টি নিয়ে সিপিএমের অন্দরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সিপিএমের দিনহাটা জোনাল সম্পাদক তারাপদ বর্মন বলেন, “সম্মেলনের সম্পাদকীয় প্রতিবেদন যত্ন সহকারে স্রেফ প্রতিনিধিদের হাতে রাখা কথা আমরা বারবাই বলি। কিছুক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম হচ্ছে। গোপনীয়তা রক্ষার ঝুঁকি নিতে না পেরে কোনও লোকাল কমিটি যদি বিকল্প কিছু ভাবেন তাহলে দোষের কী আছে।” দলীয় সূত্রের খবর, সম্প্রতি দিনহাটায় দলের লোকাল সম্মেলন শুরু হয়েছে। ভেটাগুড়ি, নিগমনগরের লোকাল কমিটির সম্মেলন ইতিমধ্যে হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার দিনহাটার বড় আটিয়াবাড়ি লোকাল কমিটির সম্মেলন শেষ হয়েছে। শতাধিক প্রতিনিধি সম্মেলনে যোগ দেন। হাতে লেখা সম্পাদকীয় প্রতিবেদন লোকাল কমিটির সদস্য এবং সাতটি শাখার সম্পাদকের মধ্যে বিলি করা হয়। ভেটাগুড়ি নিগমনগর লোকাল কমিটির সম্মেলনের প্রতিবেদন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় অস্বস্তি এড়াতেই বড় আটিয়াবাড়িতে স্থানীয় নেতারা আর ঝুঁকি নিতে চাননি। প্রসঙ্গত, ওই দুটি প্রতিবেদনেই বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকের তুলোধনা করা হয়। তৃণমূলের সঙ্গে ফরওয়ার্ড ব্লকের আঁতাতের আশঙ্কা, বিধানসভায় জেলায় সিপিএম একটি আসন না জেতায় ফরওয়ার্ড ব্লকের কর্মীদের উল্লাস করার মত মন্তব্য করা হয় নিগমনগরের প্রতিবেদনে। বিষয়টি নিয়ে শরিকি চাপান-উতোর শুরু হয়। এর পরেই সম্মেলনে সম্পাদকীয় প্রতিবেদন দেদার বিলির উপর রাশ টানার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বড় আটিয়াবাড়ি লোকাল কমিটির সম্পাদক অনুকূল সাহা অবশ্য বলেন, “লোকাল কমিটির সদস্য এবং শাখা সম্পাদকদের জন্য ১২ পাতার মোট ২৪টি হাতে লেখা প্রতিবেদন জেরক্স করে তৈরি করা হয়। সময়ের অভাবে প্রতিবেদন ছাপানো যায়নি। অন্য কোনও ব্যাপার নেই।” |
|
|
|
|
|