আগামী পঞ্চায়েত নিবার্চনে মালদহের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবে বলে দাবি করলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী মুকুল রায়। শুক্রবার সকালে মালদহে রেলের অতিথি আবাস কালিন্দ্রি ভবনে এক সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানান মুকুলবাবু। তিনি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের উন্নয়নের গতি বাড়ছে। তাতে বহু মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের শক্তি বৃদ্ধিতে কেউ কেউ ঈর্ষাণ্বিত হচ্ছে। সেই আক্রোশে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-নেতাদের উপর হামলা হচ্ছে মালদহে মানুষের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসে যুক্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। গাজল সহ মালদহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তেও বহু মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন। তাতে কেউ ভাবছেন, তাদের সংগঠন দুর্বল হয়ে পড়ছে।” পাশাপাশি, তাঁর অভিযোগ, “দলের পুরানো কর্মী প্রেমচাঁদ বলকে কংগ্রেসিরা খুন করেছে। তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর আমাদের ৫০ জন সহকর্মী খুন হয়েছে। এভাবে আমাদের রোখা যাবে না” |
তার পরেই তিনি আগামী পঞ্চায়েত ভোটে মালদহের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হবে বলে মুকুলবাবু মন্তব্য করেন। বুধবার বিকেলে গাজলে খুন হন তৃণমূল যুব নেতা প্রেমচাঁদ। এদিন পূবর্নিধারিত কমর্সূচী অনুযায়ী গঙ্গারামপুরে যাওয়ার পথে গাজলে প্রেমচাঁদের বাড়িতে যান মুকুলবাবু। এ দিন সকালে গঙ্গারামপুরে যাওয়ার আগে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুলবাবু কংগ্রেসিদের হামলায় জখম দলীয় কর্মী মাঝি মুর্মু ও অনিল মন্ডলকে দেখতে মালদহ সদর হাসপাতালে গিয়েছিলেন। জখম দলের দুই কর্মীর পরিবারে হাতে চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা তুলে দেন তিনি। এর পর মুকুল রায় রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রকে নিয়ে গাজলের কংগ্রেসিদের হাতে খুন হওয়া প্রেমচাঁদ বলের বাড়িতে যান। মৃত দলীয় কর্মীর বিধবা স্ত্রী ঝর্ণা বলের হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দিয়ে মুকুল রায় বলেন, “এই এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের শক্তি বৃদ্ধি দেখে যারা প্রেমচাঁদ বলকে খুন করেছে তাদের বিরুদ্ধে নিন্দা করার ভাষা নেই। দলীয় নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নিদের্শে নিহত দলীয় কর্মীর পরিবারের হাতে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হল। আগামী দিনে ওই নিহত পরিবারের সব রকম অসুবিধা দল ও সরকার দেখবে। যারা প্রেমচাঁদকে খুন করেছে, তাদের কাউকে ছাড়া হবে না।” মালদহে পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “মূল অভিযুক্ত হরিপদ সরকার-সহ কুড়ি জনকে ধরা হয়েছে। পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।” |