|
|
|
|
শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ |
বৈঠক বয়কট করে বিতর্কে সভাধিপতি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
মহকুমার অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েতে দীর্ঘদিন ধরে নানা সরকারি প্রকল্পের ভাতা বিলি হয়নি। ইন্দিরা আবাস যোজনা থেকে সজলধারা প্রকল্পের কাজও থমকে রয়েছে। বর্ষায় যা বন্ধ ছিল, সেই একশো দিনের কাজ শুরুর দাবিও উঠেছে গ্রামে গ্রামে। এই অবস্থায় শুক্রবার সকালে উন্নয়ন সংক্রান্ত বৈঠক বয়কট করে ঘরে-বাইরে বিতর্কের মুখে পড়েছেন শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সিপিএমের সভাধিপতি পাসকেল মিন্জ-সহ ৪ নির্বাচিত সদস্য। সভাধিপতির অভিযোগ, “আমি যে দিন বৈঠক ডাকতে বলেছিলাম, সে দিন ডাকা হয়নি। উল্টে, যে দিন জেলাশাসক বৈঠক ডাকতে বলেছেন, সে দিন ডাকা হয়েছে।” ঘটনা হল, এ দিন তাঁর দলীয় সভা ছিল। তিনি সেখানেই ছিলেন।
দার্জিলিঙের জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন সভাধিপতির অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি শুধু বলেছেন, “পরিষদের সচিব সভাধিপতির সঙ্গে আলোচনা করেই বৈঠকের দিন ঠিক করেছেন।”
সভাধিপতি ও তাঁর ৩ অনুগামী বৈঠক বয়কট করলেও মহকুমার ২২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪ জন প্রধান বৈঠকে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে সিপিএম-সহ বামপন্থী দলের ৩ জন প্রধান ছিলেন। তাঁদের অনেকেই সভাধিপতি বৈঠক বয়কট করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কয়েকজন প্রধানবলেন, “শুনলাম, উনি শিলিগুড়িতেই দলের সভায় ব্যস্ত থাকায় আসতে পারেননি। তা হলে কি গ্রামোন্নয়নের চেয়ে দলের স্বার্থ বড় হয়ে গেল!” সভাধিপতি দলের সভায় ব্যস্ত থাকার কথা স্বীকারও করেছেন। পাশাপাশি এ-ও বলেছেন, “পঞ্চায়েতে আমলাতন্ত্রের অতি সক্রিয়তার প্রতিবাদেই বৈঠক বয়কট করেছি।” শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের মোট ৭ জন সদস্য। সভাধিপতি, সহকারী সভাধিপতি ছাড়াও সিপিএমের বাকি দুই সদস্যই কর্মাধ্যক্ষ পদে রয়েছেন। বাকি তিন জন কংগ্রেসের। এ দিন কাউকেই মহকুমা পরিষদে দেখতে পাওয়া যায়নি। বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের আইনুল হক সম্প্রতি অগ্নিকাণ্ডে জখম হয়ে বাড়িতে শয্যাশায়ী। তিনি বলেন, “আমাদের তিন সদস্য নানা সমস্যায় এ দিন যেতে পারেননি। উন্নয়ন সংক্রান্ত বৈঠকে সভাধিপতির অবশ্যই হাজির হওয়া উচিত ছিল। উন্নয়ন নিয়ে রাজনীতি কখনও কাম্য নয়।”
দলের সভাধিপতির ওই ভূমিকাকে অবশ্য সমর্থনই করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন পুরমন্ত্রী তথা সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অশোক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “২ নভেম্বর সমস্ত বামপন্থী পঞ্চায়েত সদস্যকে নিয়ে জেলাশাসককে স্মারকলিপি দিয়ে উন্নয়নের কাজে গতি আনার দাবি জানানো হবে। বিরোধী দলের পঞ্চায়েত সদস্যদেরও আমরা ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাব।” |
|
|
|
|
|