|
|
|
|
তালিকায় ১৫০ |
ছত্রধরদের রাজনৈতিক বন্দি করা যায় কি, দেখতে আর্জি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলে আটক ১৫০ জনকে ‘রাজনৈতিক বন্দি’র মর্যাদা দেওয়া যায় কি না, তা খতিয়ে দেখতে রাজ্য সরকারের কাছে আর্জি জানাল বন্দি মুক্তি কমিটি। আবেদনকারী ওই ১৫০ জন রাজনৈতিক বন্দির মর্যাদা চেয়ে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রাজা সরখেল, তেলুগু দীপকের মতো মাওবাদী বন্দিরা যেমন আছেন, তেমনই আছেন জঙ্গলমহলের পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী কমিটির নেতা ছত্রধর মাহাতোর মতো নেতারাও। শুক্রবার মহাকরণে বন্দি মুক্তি কমিটির সদস্যেরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন।
মহাকরণ সূত্রের খবর, বেশ কয়েকটি জেলে আটক প্রায় ১০০ জন বিভিন্ন সময়ে ‘রাজনৈতিক বন্দি’র মর্যাদা চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন জেলে কত বন্দি রাজনৈতিক বন্দির মর্যাদা পেতে পারেন, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন। গত ৯ জুলাই এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার।
এ দিনের বৈঠক সম্পর্কে মন্তব্য করতে চাননি কমিটির সদস্য-সচিব আইজি (কারা) রণবীর কুমার। তবে কমিটির অন্য এক সদস্য বলেন, “সরকারি বিজ্ঞপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে ১৫০ জন ‘রাজনৈতিক বন্দি’র মর্যাদা চেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৪৩ জন দণ্ডিত এবং ১০৭ জন বিচারাধীন। তাঁদের ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।” বৈঠকে বন্দি মুক্তি কমিটির চেয়ারম্যান মলয় সেনগুপ্ত, দুই সদস্য দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুজাত ভদ্র উপস্থিত ছিলেন।
রাজ্যের বিভিন্ন জেলে বিচারাধীন বন্দিদের অনশন আন্দোলন চলছে। মহাকরণ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পরিপ্রেক্ষিতে আবেদনকারীদের ‘রাজনৈতিক বন্দি’র স্বীকৃতির উপরে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে কারা দফতর আশ্বাস দিয়েছে। বন্দি মুক্তি কমিটির এক সদস্য বলেন, “আমরা প্রথমে ২৫০ জনকে মুক্তি দেওয়ার সুপারিশ করেছিলাম। সব বিষয় খতিয়ে সরকার ৭৮ জনকে বেছে নেয়। তার পরে মুখ্যমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জনের সঙ্গে কথা বলে ৫২ জনের নাম চূড়ান্ত করেন।”
বৈঠকের পরে মলয় সেনগুপ্ত বলেন, “সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রামে বিভিন্ন সময়ে অনেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকমের মামলা হয়েছে। তার মধ্যে বেশ কিছু মামলা আছে ফৌজদারি আদালতে, কিছু আছে অন্য আদালতে। এগুলি পর্যায়ক্রমে বিবেচনা করা হচ্ছে। এই নিয়ে ফের আমরা আলোচনায় বসব।”
|
বন্দিদের অনশনে সমর্থন এসইউসি-র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বিচারাধীন বন্দিদের দ্রুত বিচার বা জামিনে মুক্তি, জেলের ভিতরে সুস্থ মানবিক পরিবেশ গড়ে তোলা এবং রাজবন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সরব হল এসইউসি। তাদের সাংসদ তরুণ মণ্ডল, বিধায়ক তরুণ নস্কর এবং রাজ্য কমিটির সদস্য সদানন্দ বাগল মঙ্গলবার আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে গিয়ে ওই দাবিগুলিতে অনশনরত বন্দিদের দুই নেতার সঙ্গে দেখা করেন। এসইউসি বিধায়ক তরুণবাবু শুক্রবার বলেন, “বিচারে যে অপরাধীর পাঁচ বছর জেল হতে পারত, দেখা যাচ্ছে, বিচারাধীন অবস্থাতেই তাঁর সাত, আট বা দশ বছর জেল খাটা হয়ে যাচ্ছে। অনেকে দীর্ঘ দিন জামিন না পাওয়ায় আত্মপক্ষ সমর্থন করতে মামলা লড়তে পারছেন না। রাজবন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তির প্রক্রিয়াও থেমে আছে। জেলের ভিতরে বন্দিদের মানুষের মর্যাদাও দেওয়া হচ্ছে না। এই প্রেক্ষিতে বন্দিদের অনশন আন্দোলনকে সমর্থন করে আমরা ওই দাবিগুলি তুলছি।” |
|
|
|
|
|