|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
জনতার ‘বই’ লইয়া বই কই |
বইপোকা |
জনতা সিনেমাকে বই বলিয়া থাকে। ব্যতিক্রম শিরোধার্য, কিন্তু আম জনতার মুখে চলচ্চিত্র অর্থে ‘বই’ শব্দটির ব্যবহার এখনও বহুলপ্রচলিত। ইহাতে দোষের কিছু নাই। আম জনতাকে মূর্খ ভাবিবারও কোনও কারণ নাই। কারণ যে খাস ‘শিক্ষিত’ জনতা চলচ্চিত্রকে ছবি বা সিনেমা বলিয়া থাকেন তাঁহারা ভাবিয়া দেখিবেন, এক্ষণে ওই দুই কথাও নানার্থ। সুতরাং মুখের ভাষায় পরিভাষাগত কূট ধরিয়া লাভ নাই। একদা বাংলা সাহিত্যের বই হইতেই অধিকাংশত সিনেমা তৈরি হইত, এখনও হইয়া থাকে। কিন্তু তাহা লইয়া অদ্য আমি বলিতে বসি নাই। ইংরাজি এবং বাংলা দুই ভাষাতেই সিনেমা লইয়া বই প্রকাশ করিবার যে ধারাটি সুপ্রবল হইয়া উঠিয়াছে তাহার কথাই কথঞ্চিৎ বলিব বলিয়া এই শিবের গীত। গত এক বৎসরের মধ্যে ইংরাজি ভাষায় সুবিখ্যাত বলিউডি চলচ্চিত্রসকল লইয়া বেশ কয়েকটি গ্রন্থ প্রকাশিত হইয়াছে। তাহাদের উপজীব্য ছবিগুলির নির্মাণপর্ব এবং আনুষঙ্গিক লইয়া চিত্তাকর্ষক বিবরণ। তাহাদের জৌলুস এবং চাকচিক্য দুইই দেখিবার মতো। কিন্তু আমাদের বঙ্গভাষায় ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘কোমল গান্ধার’ বা ‘পথের পাঁচালী’র ন্যায় গুটিকয়েক ‘আর্ট ফিল্ম’ ব্যতীত স্বর্ণযুগের বাংলা সিনেমাগুলি লইয়া গ্রন্থ বিশেষ প্রকাশিত হয় নাই। অথচ চলচ্চিত্রগুলির নির্মাণকাহিনি যথেষ্ট চিত্তাকর্ষক। বাংলা সিনেমার ইতিহাসের উপাদান সংরক্ষিত নহে জানি, কিন্তু এখনও যাহা আছে তাহা প্রকাশের আয়োজন করা উচিত। আম জনতার ‘বই’ বইয়ের জগতে ব্রাত্য হইবে কেন? |
|
|
|
|
|