|
|
|
|
পূর্বে কর্মী-সঙ্কটে ধুঁকছে গ্রন্থাগার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
গ্রন্থাগারিক ও কর্মীর অভাবে ধুঁকছে পূর্ব মেদিনীপুরের গ্রন্থাগারগুলি।
জেলার ১২১টি গ্রন্থাগারে যেখানে অন্তত ২৫৪ জন কর্মী থাকার কথা, সেখানে বর্তমানে কর্মী সংখ্যা মাত্র ১৫৯। গোটা জেলায় ৯৮টি পদ দীর্ঘ দিন ধরেই শূন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বঙ্গীয় সাধারণ গ্রন্থাগার ও কর্মচারী কল্যাণ সমিতির জেলা সম্পাদক অসীম পণ্ডা জানান, পূর্ব মেদিনীপুরে একটি জেলা গ্রন্থাগার, ৪টি মহকুমা এবং ১১৬টি গ্রামীণ গ্রন্থাগার আছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী জেলা গ্রন্থাগারে ৬ জন, মহকুমা গ্রন্থাগারে ৪ জন এবং গ্রামীণ গ্রন্থাগারগুলিতে ২ জন করে কর্মী থাকার কথা। কিন্তু বর্তমানে জেলার অর্ধেক গ্রন্থাগারে পর্যাপ্ত কর্মী বা গ্রন্থাগারিক নেই। গ্রন্থাগারিক, সহকারী গ্রন্থাগারিক, গ্রন্থাগারিক-সহায়ক ও বই বাঁধাইকারী মিলিয়ে ৯৮টি পদ শূন্য।
অসীমবাবুর অভিযোগ, “জেলার মধ্যে এতগুলি গ্রন্থাগারে কর্মী-সঙ্কটের বিষয়টি জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক, জেলাশাসক, এমনকী উচ্চতর মহলে বার বার জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি।” তাঁর আরও বক্তব্য, জেলায় দীর্ঘ দিন ধরে লোকাল লাইব্রেরি অথরিটি কমিটির নির্বাচন হয়নি। সংগঠনের সহ-সম্পাদক ও কাঁথি মহকুমা গ্রন্থাগারের গ্রন্থাগারিক গৌতম পতি জানান, জেলার মধ্যে বর্তমানে তমলুক মহকুমায় ৫৯ জন, কাঁথি মহকুমায় ৪২ জন, হলদিয়ায় ৩২ জন এবং এগরা মহকুমায় মাত্র ২৬ জন কাজ করছেন। গৌতমবাবুর কথায়, “জেলার ১২১টি গ্রন্থাগারে রয়েছেন মাত্র ১৫৯ জন কর্মী। অর্থাৎ প্রতি গ্রন্থাগার-পিছু দেড় জন কর্মীও নেই। স্বভাবতই গ্রন্থাগারগুলি চালাতে নাভিশ্বাস উঠছে।”
জেলার গ্রন্থাগারগুলিতে কর্মী-সঙ্কটের কথা স্বীকার করে জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক তুষারকান্তি চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এটা বিরাট সমস্যা। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বার বার জানানো হয়েছে। কোনও লাভ হয়নি। সম্প্রতি কলকাতায় গ্রন্থাগার-মন্ত্রীর উপস্থিতিতে যে বৈঠক হয়েছে তাতেও এই সমস্যার কথা তোলা হয়েছে। আশা করি, চলতি বছরেই সমস্যার কিছুটা সুরাহা হবে।” তিনি জানান, পূর্ব মেদিনীপুরে ৯৮টি-সহ সারা রাজ্যে গ্রন্থাগারগুলিতে এই মুহূর্তে অন্তত দেড় হাজার কর্মী দরকার। গ্রন্থাগার-মন্ত্রী আব্দুল করিম চৌধুরীর বক্তব্য, “সবে আমরা ক্ষমতায় এসেছি। একটু সময় লাগবে সমস্যা সমাধানের জন্য।” |
|
|
|
|
|