খেলা
উত্তেজনায় ভরপুর
নৈশ ফুটবল। পর পর দু’টি ফাইনাল। একটি ছোটদের। অন্যটি বড়দের। খেলা শুরুর আগে পুড়ল আতসবাজি, উড়ল ফানুস। সম্প্রতি দুইল্যা অ্যাথলেটিক ক্লাব আয়োজিত এই ফুটবল প্রতিযোগিতার আঁচ নিতে মাঠে ভালই ভিড় হয়েছিল।
আন্দুল স্টেশন রোড ধরে কিছুটা এগোলেই ডান দিকে আয়োজক ক্লাবের খেলার মাঠ। সপ্তম বারের এই গোল্ড কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছিল বেশ কয়েক মাস আগে। জুনিয়র এবং সিনিয়র বিভাগে হাওড়ার আটটি করে দলকে নিয়ে শুরু হয়েছিল এই সেভেন সাইড ফুটবল প্রতিযোগিতা। খুদেদের ফাইনাল তেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ হয়ে না উঠলেও বেশ কয়েক জন ফুটবলার নজর কেড়ে নেয়। সিনিয়দের ফাইনাল ছিল ভরপুর উত্তেজনায় ঠাসা।
জুনিয়র বিভাগে একতরফা খেলে বালটিকুরির সজীব সঙ্ঘকে ৬-২ গোলে হারিয়ে জুনিয়র গোল্ড কাপ জিতে নেয় দাশনগর যুব সঙ্ঘ। বিজয়ী দলের পক্ষে দু’টি করে গোল করে শান্তনু সিংহ, অভিষেক কাঁঠাল ও দেবাশিস চট্টোপাধ্যায়। ফাইনালে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হওয়া ছাড়াও ম্যান অব দ্য সিরিজ এবং সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পায় শান্তনু সিংহ। সেরা গোলরক্ষকের ট্রফি তুলে দেওয়া হয় দাশনগরের ফুটবলার সৌম্য মেউরের হাতে।
শুরু থেকেই সিনিয়র বিভাগের ফাইনাল জমে উঠেছিল। ডোমজুড়ের খাটোরা নেতাজি সঙ্ঘ বনাম সাঁতরাগাছি নেক্সজেন ক্লাবের লড়াইয়ে প্রথমার্ধে ২-১ গোলে এগিয়ে ছিল নেতাজি সঙ্ঘ। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচ আরও জমে ওঠে। শেষ পযর্ন্ত খাটোরের দলটি ৪-৩ গোলে ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়। বিজয়ী দলের পক্ষে রাহুল জয়সোয়াল এবং রাজা দাস দু’টি করে গোল করেন। ম্যান অফ দ্য ম্যাচ, ম্যান অফ দ্য সিরিজ এবং সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পান রাহুল। রানার্স দলের গোলকিপার দীপঙ্কর হাজরা প্রতিযোগিতার সেরা গোলরক্ষক নির্বাচিত হন।ফাইনালের আগে মাঠে পাশে ছোট ক্লাব তাঁবুর উদ্বোধন করেন কৃষি বিপণনমন্ত্রী অরূপ রায়। ছিলেন বিধায়ক ব্রজমোহন মজুমদার। ক্লাবের বেশ কয়েক জন প্রাক্তন খেলোয়াড়কে সম্মান জানানো হয়। ২০০৮ থেকে এই ক্লাবের উদ্যোগে চলছে ছোটদের প্রশিক্ষণ শিবির। ক্লাব সদস্য সজল মিত্র জানালেন, এই ফুটবল ক্যাম্প থেকে উঠে এসেছে মোহনবাগান জুনিয়র দলের হয়ে প্যারিসে খেলে আসা সুমন সাঁতরা।
গত বছর ক্লাবের ছেলেরা জুনিয়র গোল্ড কাপে চ্যাম্পিয়ন হলেও এ বার সেমিফাইনালে হেরে যায়। ক্লাবের ছোটদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মুখ্য কোচ শেখ সিকান্দরের কথায়: “গরিব ঘরের ফুটবলাররা পরিকাঠামোর অভাবে উঠে আসতে পারছে না।” ক্লাব সম্পাদক আশিস খামরায় বললেন, “মাঠ দূরে। তাই খেলোয়াড়দের সুবিধের জন্য মাঠের পাশে একটি ছোট তাঁবু তৈরি করা হয়েছে। অনেকে সাহায্য করেছেন। তবে অর্থের অভাবে অনেক কাজ আটকে আছে।” ফাইনালের শেষে প্রাক্তন ফুটবলার সুকান্ত লাহা ও শেখ সিকান্দর চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

ছবি: রণজিৎ নন্দী




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.