ছাত্র-সংঘর্ষ রুখতে পরিচালন সমিতির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন অধ্যক্ষা। শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য ডাকা সেই বৈঠক ঘিরে শুক্রবার ফের অশান্তি ছড়াল বেলঘরিয়ার ভৈরব গাঙ্গুলি কলেজে। পুলিশ জানায়, ছাত্রদের হামলায় অধ্যক্ষা-সহ কয়েক জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী জখম হন। সংঘর্ষ ছড়ায় কলেজের বাইরেও। পথ-অবরোধ হয়।
কলেজের তৃণমূল ছাত্রনেতা চিরঞ্জীব বিশ্বাসের অভিযোগ, “পরিচালন সমিতির সভাপতির অনুপস্থিতিতে ওই সভা যে আইনসিদ্ধ নয়, তা জানাতেই অধ্যক্ষার ঘরে যাই। সেখানে সিপিএম সমর্থক বলে পরিচিত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের নিয়ে বৈঠক করছিলেন অধ্যক্ষা। উনি আমাদের কথা শোনেননি।” অধ্যক্ষা মীনাক্ষী রায় জানান, পারিবারিক অসুবিধার কারণে পরিচালন সমিতির সভাপতি বৈঠকে থাকতে পারেননি। আসেননি তৃণমূলের প্রতিনিধিরাও। বৈঠক শুরু হতেই কলেজেরই ছাত্র কয়েক জন তৃণমূল সমর্থক বৈঠকের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বেরিয়ে যান। তিনি বলেন, “এর পরেই একদল ছাত্রের মদতে বেশ কিছু বহিরাগত কলেজে ঢুকে হামলা চালায়। আমার ঘরে ভাঙচুর চালিয়েছে। এক শিক্ষাকর্মীকেও মাটিতে ফেলে মারা হয়। বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের হচ্ছে।” চিরঞ্জীব অবশ্য বলেন, “অধ্যক্ষার অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা।”
এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক, সিপিএম নেতা মানস মুখোপাধ্যায় বলেন, “এটাই ওঁদের কালচার। কলেজে ঢুকে অধ্যক্ষার সামনেই হামলা চালায়। আমাদের সমর্থক তিন জন ছাত্রীকে মারে। সিপিএমের পার্টি অফিসেও ভাঙচুর করে।” উল্লেখ্য, গত ১ নভেম্বর দু’দল ছাত্রের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলেজের পরিবেশ। বাড়তে থাকে ছাত্র বিক্ষোভ। অশান্তি ঠেকাতেই বৈঠক ডাকা হয়। অন্য দিকে, শুক্রবারই হাওড়ার রামকৃষ্ণপুরে ছাত্রীদের উত্যক্ত করার ঘটনাকে ঘিরে সংঘর্ষে জড়ালেন দু’দল ছাত্র। পুলিশ সূত্রে খবর, দীনবন্ধু কলেজের একদল ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা অম্বিকা হিন্দি হাইস্কুলের কিছু ছাত্রীকে উত্যক্ত করেন। এর পরে দু’দল ছাত্র পরস্পরকে লাঠি, রড নিয়ে আক্রমণ করে। আহত দুই ছাত্র অঞ্জন সিংহ ও রণজিৎ রায় হাসপাতালে ভর্তি। |