তিস্তা চুক্তি নিয়ে জটিলতায় যাতে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতি শ্লথ না হয়, সে জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে কূটনৈতিক আদানপ্রদানে গতি আনা হচ্ছে। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী দীপু মণি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্প্রতি তিস্তার জল বণ্টন নিয়ে বৈঠক করে গিয়েছেন। আর তার ঠিক পরেই দু’দেশের স্বরাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ছিটমহল বিনিময়ের বিষয়টিতে।
আগামী কাল ভারত বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকের ঠিক আগে আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম এবং বিদেশসচিব রঞ্জন মাথাইয়ের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রসচিব মনজুর হুসেন। সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের সময়ে দু’দেশের মধ্যে সীমান্ত বিষয়ে যে সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হয়েছিল, সেগুলি যাতে দ্রুত রূপায়িত হয় সে বিষয়েও কথা হয়েছে। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, দীপু মণির সাম্প্রতিক সফরের প্রেক্ষাপটে তিস্তা চুক্তিরবাস্তবায়ন নিয়েও কথা বলেছেন মনজুর হুসেন।
আগামী কালের বৈঠকে মূলত যে বিষয়গুলি আলোচনা হবে, তার অন্যতম হল আলফা নেতা অনুপ চেটিয়াকে ভারতে নিয়ে আসা। পাশাপাশি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ছিটমহল হস্তান্তরের প্রক্রিয়াটিতেও। কয়েক মাস ধরেই বিষয়টি নিয়ে জটিলতা চলছে।
মনমোহনের ঢাকা সফরের পর দু’টি বড় ছিটমহল দহগ্রাম এবং আংরাপোতার সঙ্গে বাংলাদেশের মুল ভূখণ্ডের যোগাযোগকারী তিনবিঘা করিডর ২৪ ঘণ্টার জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে ঠিকই। কিন্তু বাকি ছিটমহলগুলির পরিস্থিতি সেই তিমিরেই। গোটা প্রক্রিয়াটি কী ভাবে ত্বরান্বিত করা যায়, তাই নিয়ে কাল আলোচনা হবে। ছিটমহলে জনগণনার পরে সেখানকার বাসিন্দাদের নাগরিক পরিচয়পত্র দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও কথা হবে। এ ছাড়া বৈঠকে অনুপ্রবেশ, মাদক চোরাচালানের মতো সমস্যাগুলি নিয়েও আলোচনা হবে। |