টুকরো খবর
টাস্ক ফোর্স মমতার, ২৪ ঘণ্টাই শিশুচিকিৎসক রাখতে হবে হাসপাতালে
রাজ্যের অনেক হাসপাতালেই রাতের দিকে শিশুচিকিৎসক থাকেন না। রবিবার এবং অন্যান্য ছুটির দিনেও চিকিৎসক আসেন না। অবিলম্বে এই অনিয়ম বন্ধ করে সব হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টাই শিশু রোগীর চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাস্থ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র বুধবার এ কথা জানিয়ে বলেন, ২৪ ঘণ্টাই শিশুরা যাতে চিকিৎসকের নজরদারিতে থাকার সুযোগ পায়, বিভিন্ন হাসপাতালকে তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে শিশুমৃত্যুর হার আরও কমিয়ে আনার জন্য এ দিন একটি টাস্ক ফোর্সও গঠন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মা ও শিশুদের চিকিৎসা সুনিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা আরও কিছু ব্যবস্থা নিয়েছেন। স্বাস্থ্যসচিব বলেন, “শুধু জুনিয়র ডাক্তার নয়, সিনিয়র চিকিৎসকদেরও যাতে হাসপাতালে নির্দিষ্ট সময়ে পাওয়া যায়, সেই বিষয়েও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ছাড়া হাসপাতালের মেঝেতে মা ও শিশুদের ভর্তি বন্ধ করতে বলা হয়েছে। যদি শয্যা না-থাকে, সে-ক্ষেত্রে পাশের কোনও হাসপাতালে শিশু ও মাকে ‘রেফার’ করতে (পাঠিয়ে দিতে) হবে।” কলকাতার বিধানচন্দ্র শিশু হাসপাতাল তো বটেই, বিভিন্ন জেলাতেও শিশুমৃত্যু নিয়ে ব্যাপক শোরগোল হয়েছে। রাজ্যে শিশুমৃত্যুর হার অন্তত কিছুটা কমেছে বলে সম্প্রতি দাবি করেছে নতুন সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্য, শিশুমৃত্যু আরও কমিয়ে আনা। সেই কারণেই শিশুচিকিৎসক ত্রিদিব বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেয়ারম্যান করে গড়া হয়েছে টাস্ক ফোর্স। চেয়ারম্যান রাজ্যের প্রতিমন্ত্রীর সমান মর্যাদা পাবেন বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। পরিবার কল্যাণ দফতরের সচিব এবং স্বাস্থ্য (শিক্ষা) অধিকর্তাও টাস্ক ফোর্সের সদস্য। ওই টাস্ক ফোর্স হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিকাঠামো যাচাই তো করবেই। রাজ্যে শিশুমৃত্যুর হার আরও কমিয়ে আনতে কী কী পদক্ষেপ করা প্রয়োজন, তা-ও স্থির করবে তারা।

সদ্যোজাতের মৃত্যুতে তদন্ত
কারও অভিযোগের ভিত্তিতে নয় বরং এখন থেকে স্বাস্থ্য দফতর নিজেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে কোনও সদ্যোজাতের মৃত্যু হলে তার তদন্ত করবে। দার্জিলিং জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবীর ভৌমিক তা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “যে কেউ অভিযোগ জানালেই যে স্বাস্থ্য বিভাগ সদ্যোজাতের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করবে তা নয়। সিদ্ধান্ত হয়েছে যে কোনও সদ্যোজাতের মৃত্যু হলেই স্বাস্থ্য দফতর নিজে থেকেই তা খতিয়ে দেখবে।” জেলা স্বাস্থ্য কর্তার ওই বক্তব্য নিয়ে বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযোগ তুলেছে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফ। গত ২ নভেম্বর শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে স্থানীয় মিলনপল্লীর বাসিন্দা মণি সরকারের সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়। শিশুটি অসুস্থ হলে কর্তব্যরত চিকিৎসককে জানানো হয়। অথচ তিনি দেখতে যাননি বলে অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে তদন্ত দাবি করে ডিওয়াইএফ। ডিওয়াইএফ-এর দার্জিলিং জেলা সম্পাদক শঙ্কর ঘোষের অভিযোগ, “ওই সদ্যোজাতের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কী হল জানতে পারলাম না। অথচ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলছেন যে কেউ অভিযোগ জানালেই তদন্ত হবে না। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যে কেউ অভিযোগ তুলতেই পারেন। তাই মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক যা বলছেন তা মেনে নেওয়া যায় না।’’ শঙ্করবাবু জানান, ওই ঘটনা নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়া হলে তাঁরা শীঘ্রই আন্দোলনে নামবেন। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবীর ভৌমিক বলেন, “গণতান্ত্রিক উপায়ে কেউ অভিযোগ করতে পারবেন না এমন কথা তিনি বলেননি। কোনও সদ্যোজাতের মৃত্যু এবং সে ব্যাপারে চিকিৎসার গাফিলতির রয়েছে মনে করলে কেউ অভিযোগ তুলতেই পারেন।

অভিন্ন ডাক্তারি এন্ট্রান্সে বাংলায় প্রশ্ন চেয়ে চিঠি
মেডিক্যালে অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষায় বাংলায় প্রশ্নপত্র চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি লিখছে রাজ্য। বুধবার মহাকরণে অভিন্ন প্রবেশিকা বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও স্বাস্থ্য (শিক্ষা) অধিকর্তা সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে শিক্ষামন্ত্রী জানান, রাজ্যের তরফে বাংলায়, নিদেনপক্ষে বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই প্রশ্নপত্র চাওয়া হয়েছে। চিঠির উত্তরের জন্য ৭ দিন অপেক্ষা করা হবে। তার পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিত নিয়ম খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, “যদি কেন্দ্র জানায় অভিন্ন প্রবেশিকা বাধ্যতামূলক নয়, তা হলে রাজ্যই আগের মতো পরীক্ষা নেবে। কিন্তু যদি বলা হয় এই পরীক্ষা বাধ্যতামূলক, তা হলে মুখ্যমন্ত্রী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।” ব্রাত্যবাবুর কথায়, “অন্ধ্রপ্রদেশ ও গুজরাতের মতো রাজ্য মেডিক্যালের অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষার ব্যাপারে আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নিয়েছে। বাংলায় প্রশ্নের দাবি মানা হলে ভাল। নইলে হয়তো পশ্চিমবঙ্গও অন্য কিছু ভাববে। আমরা অবশ্যই চাইব, ইংরেজি প্রশ্নের জন্য গ্রামবাংলার ছেলেমেয়েদের যেন অসুবিধা না-হয়। তাঁরা যেন মাতৃভাষার সুবিধা পান।”

মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ শহরবাসী
মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন শহরের বাসিন্দারা। সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত সর্বত্রই মশার উপদ্রব। জেরবার শহরের পুরপ্রধান, উপপুরপ্রধান বা কাউন্সিলরেরাও। তা সত্ত্বেও মশা মারতে ‘কামান দাগা’ তো দূরের কথা, ন্যুনতম ব্যবস্থাও নিচ্ছে না কেউ। যদিও পুরসভার উপপুরপ্রধান এরশাদ আলি বলেন, “মশা মারতে স্প্রে শুরু হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডেই যাতে স্প্রে করা হয় তা-ও বলা হয়েছে।” বাস্তবে অবশ্য সেই কাজ হচ্ছে না বলেই অভিযোগ শহরবাসীর। উপপুরপ্রধান অবশ্য জানিয়েছেন, যদি কোনও ওয়ার্ডে স্প্রে না হয়, তা হলে দ্রুত সেই কাজ করা হবে হবে। তারই সঙ্গে নালা সংস্কারের জন্যও উদ্যোগী হবে পুরসভা। শহরে মশার উপদ্রব বাড়ার পিছনে প্রধান কারণ নিকাশি নালার বেহাল দশা। শহরের বেশিরভাগ নালাই সময়ে পরিষ্কার করা হয় না। সংস্কার তো অনেক দূরের কথা। বদ্ধ নালায় জমা জলে মশা জন্ম নেয়। সন্ধের পর মশার উপদ্রবে এক জায়গায় স্থির হয়ে দাঁড়ানোই মুশকিল হয়ে পড়ে। শহরের বাসিন্দা গোপাল দাসের কথায়, “সন্ধের পর কোথাও এক দণ্ডও দাঁড়িয়ে থাকার উপায় নেই। মশা যেন ঘিরে থাকে। এক কথায় বাঁদর নাচ নাচিয়ে দেয় মশা। অবশ্যই এ বিষয়ে পুরসভার ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।” এ ছাড়া, মশা থেকে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, এনসেফেলাইটিস, চিকুনগুনিয়া, ফাইলেরিয়া প্রভৃতি রোগ ছড়ারও আশঙ্কা থাকে। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সবিতেন্দ্র পাত্র বলেন, “মশার উপদ্রব বাড়লেই এ ধরনের রোগের সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। মশার হাত থেকে বাঁচতে সব সময় মশারি খাটিয়ে শোওয়া প্রয়োজন।”

সংক্রমণে ওটি বন্ধ বারাসত হাসপাতালে
জীবাণু সংক্রমণের জন্য বুধবার সন্ধ্যা থেকে বারাসত জেলা হাসপাতালের চারটি অপারেশন থিয়েটারেই অস্ত্রোপচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, এ দিন বিকেলে এক রোগীর অস্ত্রোপচার হয়। সেখান থেকেই চারটি ওটি-তে সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে মনে করছেন হাসপাতাল-কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তাকেও জানানো হয়েছে।

জটিল অস্ত্রোপচার
মেয়েটির বয়স ২২ বছর। ওজন মাত্র ৩৭ কিলোগ্রাম। সব সময়ে শ্বাসকষ্ট হয় তাঁর। শরীর এতই দুর্বল যে, কথা বলতে গেলেও হাঁফিয়ে ওঠেন। বিহার থেকে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে আসা ববিতা কুমারীর আসল সমস্যাটাই ধরা পড়ছিল না। বাইপাসের এক বেসরকারি হাসপাতালে নানা পরীক্ষার পরে ধরা পড়ল, তাঁর ফুসফুস ও হৃৎপিণ্ডে বাধা তৈরি করছে একটি টিউমার। সেটাই তাঁর স্বাভাবিক বৃদ্ধির পথে প্রতিবন্ধক। ওই হাসপাতালে চিকিৎসক মৃণালবন্ধু দাস ও দীনবন্ধু চট্টোপাধ্যায় পাঁচ ঘণ্টার দীর্ঘ অস্ত্রোপচার করে বুক থেকে সাত কিলোগ্রাম ওজনের একটি টিউমার বার করেন। হাসপাতালের সিইও স্বরাজব্রত পুরকায়স্থ বলেন, “বুকে এত বড় টিউমার সাধারণত পাওয়া যায় না। মেয়েটির যাবতীয় সমস্যার উৎস ছিল ওটাই। ধরা না পড়লে মারাত্মক পরিণতি হতে পারত।”

স্বাস্থ্যশিবির
সম্প্রতি খড়্গপুরের উত্তর ভবানীপুরে স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করেছিল শ্রী শ্রী হরিচাঁদ মন্দির কমিটি। মন্দির প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই শিবিরে প্রবীণ ৬০ জনের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করেন চিকিৎসক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায়, বিনয়ভূষণ মণ্ডল। বিনামূল্যে ওষুধও দেওয়া হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.