ওভার ১২, রান ২২, উইকেট ৮।
স্কোরবোর্ডে বোলারের নামের পাশে লেখা তেন্ডুলকর!
কলকাতা টেস্টে সচিন আবার কখন বল করলেন ভেবে অনেকেই চিন্তায় পড়ে যেতে পারেন। ম্যাচটা অবশ্য কলকাতা নয়, হয়েছে মুম্বইয়ে। হ্যারিস শিল্ডে। যেখানে ধীরুভাই অম্বানী স্কুলের হয়ে অভিষেকেই আট উইকেট নিয়ে জয়ের নায়ক সচিন-পুত্র অর্জুন তেন্ডুলকর।
বাইশ বছর আগে, ১৯৮৯-এর ১৫ নভেম্বর করাচিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল সচিনের। ২০১১-য় ঠিক একই তারিখে মুম্বই স্কুল ক্রিকেটের সেরা টুর্নামেন্ট হ্যারিস শিল্ডে সাড়া ফেলা আত্মপ্রকাশ ঘটল সচিনের ছেলের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাইশ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাবাকে এর থেকে ভাল উপহার বোধহয় আর দিতে পারত না অর্জুন। |
হ্যারিস শিল্ড থেকেই একটা সময় উঠে এসেছিলেন সচিন-বিনোদ কাম্বলিরা। গতকাল যমুনাবাঈ নারসি স্কুলের বিরুদ্ধে বারো বছরের অর্জুনের ম্যাচ জেতানো আট উইকেট দখলের পরে বারবার তুলনা উঠছে তেইশ বছর আগের একটা ম্যাচের সঙ্গে। সে বার সারদাশ্রম বিদ্যামন্দিরের দুই খুদে ব্যাটসম্যান ৬৬৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে স্কুলের জয় নিশ্চিত করেছিল। স্কোরবোর্ডে লেখা ছিল, সচিন তেন্ডুলকর ৩২৬ নঃআঃ, বিনোদ কাম্বলি ৩৪৯ নঃআঃ।
সে বার ব্যাট হাতে সচিন যা করেছিলেন, গতকাল নিজের স্কুলের হয়ে বোলিং ওপেন করে সেটাই করে দেখিয়েছেন বাঁ-হাতি পেসার অর্জুন। যাঁর সম্পর্কে উচ্ছ্বসিত ধীরুভাই অম্বানী স্কুলের কোচ হরিওম ফুল। কোচ বলেছেন, “অর্জুন নতুন বলটা দারুণ জায়গায় রাখে। সুইংয়ের উপরে ওর নিয়ন্ত্রণ খুব। এই গরমে যে ভাবে টানা বারো ওভার বল করে গেল, সেটা খুব ভাল লক্ষণ।” অর্জুনের বিধ্বংসী স্পেলের সামনে ২৫ ওভারে ১০৫ রানে শেষ হয়ে যায় প্রতিপক্ষ। ব্যাট করতে নেমে অবশ্য মাত্র তৃতীয় বলেই ফিরে যায় ছোট তেন্ডুলকর। কিন্তু তার বোলিংয়ের দৌলতে হেসেখেলে পাঁচ উইকেটে ম্যাচ জেতে অর্জুনের টিম। |