পশ্চিমবঙ্গে তথা সমগ্র পূর্ব ভারতে ভূগর্ভস্থ জলের আর্সেনিকজনিত দূষণের জন্য কয়েকটি স্বাস্থ্যসমস্যা সম্বন্ধে তিন জন আর্সেনিক বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদন (১-১১) আপনাদের পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। যা প্রকৃত সময়োপযোগী। দীর্ঘ আটাশ বছর আর্সেনিকজনিত স্বাস্থ্যসমস্যার বিষয়ে গবেষণায় লিপ্ত থাকায় আরও যে সব অসুস্থতার কথা আমরা জেনেছি,আমাদের মধ্যে শ্বাসকষ্টজনিত ব্যাধি এবং লিভারের ফ্রাইবোসিস সমস্যাও প্রধান। তা ছাড়া রক্তচাপ বৃদ্ধি, করোনারি ধমনীর ব্যাধি, হাত-পা শক্ত হয়ে ফুলে যাওয়া, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, পায়ের আঙুলে গ্যাংগ্রিন হওয়াও লক্ষ করা যায়। সাধারণত গায়ে ছিটছিটে দাগ ও হাত ও পায়ের পাতা খসখসে হয়ে যাওয়া এই অসুখের প্রাথমিক লক্ষণ। |
সম্পূর্ণ জেলাভিত্তিক এপিডোমিওলজিক্যাল সমীক্ষা করে দেখা গেছে যে, চর্মরোগের প্রকোপ শতকরা ছিয়াশি ভাগ মানুষের মধ্যে স্পষ্টই প্রকাশ পায়। আর্সেনিক মুক্ত জল আর পর্যাপ্ত সুষম খাদ্য, আমিষজাতীয় খাদ্য গ্রহণ করলে এই আর্সেনিকজনিত অসুস্থতা সেরে যায়। তবে চর্মরোগ বেশি রকম দেখা দিলে অথবা শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি ব্যাধির প্রকোপ বেশি হলে নিরাময় করা কঠিন। চামড়া বা মূত্রথলিতে ক্যান্সার অল্প অবস্থায় ধরা পড়লে অপারেশন করে সারিয়ে ফেলা যায়। মালদা, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, হুগলি ও হাওড়ায় ভূগর্ভস্থ পানীয় জলে আর্সেনিকের দূষণ পাওয়া গেছে। এই সব জেলার মানুষের প্রত্যেকের উচিত, যে জল তাঁরা পান করছেন বা রান্নার কাজে ব্যবহার করছেন তা আর্সেনিকমুক্ত কি না পরীক্ষা করে নেওয়া। এর জন্য পঞ্চায়েত অফিসে যোগাযোগ করলে জলে আর্সেনিক পরীক্ষার জন্য পরীক্ষাগারের সন্ধান পাওয়া যাবে।
ডা. দেবেন্দ্রনাথ গুহমজুমদার। কলকাতা-৫৩
|
সম্পাদকীয় সমীপেষু কলমে ভবানীপ্রসাদ মোদক ‘পুডভাকিন, শিশিরকুমার’ (১৯-১০) শীর্ষক পত্রে সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখায়, ‘ষাটের দশকে’ কথাটারই কেবল তথ্য বিভ্রান্তির সাক্ষী হয়ে রইলেন। কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়নের পুডভাকিন এবং চেরকাশভ আদৌ শিশিরকুমারের অভিনয় দেখেছিলেন কি না, সে ব্যাপারে কিছুই বলেননি।
সোভিয়েত রাশিয়ার এই দুই বিশ্ববরেণ্য স্রষ্টা নাট্যাচার্য শিশিরকুমার ভাদুড়ীর ‘ষোড়শী’ মঞ্চায়ন তথা ‘জীবানন্দ’ ভূমিকায় তাঁর অভিনয় দেখে বড়ই প্রশংসামুখর হয়েছিলেন। কলকাতার ‘শ্রীরঙ্গম’ থিয়েটারে ১৯৫১-র ১৭ জানুয়ারির রজনীতে অর্থাৎ পঞ্চাশের দশকে, ষাটের দশকে নয়। ষাটের দশকে বা নিজের সত্তর বছর বয়সে তাঁর পা দেওয়ার আগেই নাট্যাচার্যের জীবন-মঞ্চের সব ফ্লাড লাইট, স্পট লাইট চিরতরে নিভে যায় ১৯৫৯-এর ৩০ জুন।
প্রসঙ্গত এটাও বলা জরুরি যে, ইতিহাসকারসুলভ সন, তারিখের নির্ভুলতা কোথাও কোথাও ক্ষুণ্ণ হলেও সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের স্মৃতিচারণায় জীবন ও ইতিহাসের এমন সব সোনালি সত্য চিকচিক করে ওঠে যে, আমরা শিহরন-স্পন্দিত না-হয়ে পারি না। এবং কৃতজ্ঞতায় মজে সাহিত্যিকের নিতটতর হয়ে যাই অন্তরে অন্তরে।
নির্মল সাহা। কলকাতা-২৬
|
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনে ডা. নীলরতন সরকারের অগ্রণী ভূমিকা ছিল ঠিকই, কিন্তু নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনে তাঁর কোনও ভূমিকা ছিল না। তাঁর সার্ধশতবর্ষে (১-১০) নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নীলরতন সরকারের জন্মদিন পালিত হয়নি, এ খবরও ঠিক নয়। (‘আমরা ভুলেই থাকলাম’, সম্পাদক সমীপেষু, ১৭-১০) ১ অক্টোবর ২০১১ নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে ডা. সরকারের সার্ধশতবর্ষ সমুচিত মর্যাদায় পালিত হয়। তবে ডা. বিধানচন্দ্র রায় ১৯৬১’র ১ অক্টোবর থেকে সাত দিনব্যাপী ডা. সরকারের জন্মশতবর্ষ পালনের যে আয়োজন করেন, সার্ধশতবর্ষে তার ছিটেফোঁটাও ছিল না।
ডা. অবিনাশচন্দ্র রায়। সাধারণ সম্পাদক,
নীলরতন সরকার মেডিক্যাল স্কুল ও কলেজ প্রাক্তন ছাত্র সংসদ
|
জগাছা এলাকায় গড়পা থেকে সুন্দরপাড়া হয়ে জগাছা ব্যায়াম সমিতির মাঠ পর্যন্ত কোনা এক্সপ্রেসওয়ের কিছুটা অংশ অস্থায়ী ভাবে ২০১১-তে চওড়া হয়েছে। আগের রাস্তাটিও ফ্লাই অ্যাশ ভরে তৈরি হয়েছিল। এ বছর অতিবৃষ্টির ফলে এবং অবিরত ভারী যানবাহন চলাচলের দরুন রাস্তাটির পিচ উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত ও খানা-খন্দ হয়েছে। বৃষ্টির পর চড়া রোদ হলেই দ্রুতগতি যানের চাকার অবিরাম ঘর্ষণের ফলে ছাই মিশ্রিত ধূলিকণায় সন্নিহিত বাড়ি ঘরদোর দোকানপাট ইত্যাদি ধূলিধূসরিত হয় এবং বাসিন্দা তথা পথচারীদের নাকে-মুখে এমনকী খাবার-দাবারেও সংক্রামিত হয়ে শ্বাসকষ্ট-সহ নানা রোগ তাঁদের গ্রাস করছে।
শত চেষ্টাতেও আইনি জটিলতায় সাঁত্রাগাছি স্টেশনমুখী আন্ডারপাস সংলগ্ন ১০/১৫ ফুট অংশ এখনও পাকা হয়নি। ফলে, স্টেশনযাত্রীরা জল-কাদায় পা ডুবিয়ে চলতে বাধ্য হচ্ছেন। এ ছাড়া উক্ত অঞ্চলটির কোনা রোড সংলগ্ন ব্যস্ততম স্বল্পপরিসর রাস্তাটির দু’পাশের যত্রতত্র অনিয়ন্ত্রিত দোকানপাট, খাবারের দোকান, গ্যারেজ ইত্যাদি গড়ে ওঠায় চলাচলের বিশেষ অসুবিধার সৃষ্টি করছে। ছোটখাটো দুর্ঘটনাও হচ্ছে।
মণীন্দ্রকুমার সরকার। জগাছা, হাওড়া
|
‘সিমা’ গ্যালারিতে পরেশ মাইতি ও প্রীতীশ নন্দীর ‘শেষ লেখা’ শীর্ষক প্রদর্শনীর সমালোচনা ‘কবিতা ও ছবির পারস্পরিক কথোপকথন’ (১২-১১)-এর সঙ্গে পরেশ মাইতির আঁকা যে জলরঙের ছবিটি মুদ্রিত হয়েছে, তা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘শেষ লেখা’ কাব্যগ্রন্থের দ্বাদশ কবিতা ‘তব জন্মদিবসের দানের উৎসবে’-র অনুষঙ্গে অঙ্কিত। |