টুকরো খবর
বিদেশিনির ডুয়ার্স-দর্শন
তাপসী ও মার্লিন। নিজস্ব চিত্র।
ডুয়ার্সের জঙ্গল, পাহাড় ও লোকসংস্কৃতির তথ্য ও ছবি বিদেশি পযর্টকদের কাছে তুলে ধরতে ডুয়ার্স ঘুরে গেলেন জার্মানির বার্লিন শহরের বেসরকারি পযর্টন সংস্থার কর্ণধার। প্রায় দেড় সপ্তাহ ধরে পশ্চিম সিকিম, দার্জিলিং, নেওড়াভ্যালি ঘুরে ডুয়ার্সের চিলাপাতা ও রায়মাটাং এলাকায় হোম ট্যুরিজমের প্রেমে পড়েছেন জার্মানির মার্লিন শেফার। দেশি-বিদেশি পযর্টকদের জন্য নিরাপত্তা-সহ ডিজিটাল ম্যাপিং ব্যবস্থার দরকার রয়েছে বলে তিনি জানান পযর্টন সংগঠক কর্তাদের। রাজ্যের পযর্টন দফতরের সচিব রাঘবেন্দ্র সিংহ জানান, পর্যটনের আলাদা নীতি তৈরির কাজ চলছে। আগামী দিনে আমরা রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটন সংস্থার সাথে বিশ্বের বিভিন্ন পর্যটন সংস্থার আলোচনার চিন্তাভাবনা চলছে। এতে ডুয়ার্স তথা সংলগ্ন অন্যান্য এলাকায় গড়ে ওঠা ভিলেজ ট্যুরিজম, হোম ট্যুরিজমগুলি উপকৃত হবে। পর্যটনের উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। মার্লিন শেফার বলেন, “পযর্টন ব্যবসার প্রসার ঘটাতে ভারতে এসেছি। পশ্চিমবঙ্গের ডুয়ার্স তথা পাহাড়ে ছুটি কাটাতে আসা বা রোমাঞ্চের খোঁজে আসা বিদেশি পযর্টকদের জন্য নতুন নতুন জিনিস রয়েছে জানার। এখানে পাহাড়ের ট্রেকিং রুট, হোম ট্যুরিজমে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে থেকে তাদের লোকসংস্কৃতি জানা, চা বাগান, জঙ্গলে ঘোরা-সহ নানা দিক রয়েছে। ডুয়ার্সের চিলাপাতা, রায়মাটং আমার ভালো লেগেছে। এই এলাকায় পর্যটন ব্যবসার প্রসারে কাজ করব।” ট্যুরিজমের ডুয়ার্সের কোঅর্ডিনেটর তাপসী ঘোষ জানান, ডুয়ার্সে ইকো ট্যুরিজম, ট্রেকিং, ভিলেজ ট্যুরিজম ও হোম টু্যরিজমে বিদেশি পযর্টক টানার জন্য বিদেশি পর্যটন সংস্থার সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। এতে বিশ্বব্যাপী পযর্টন মানচিত্রে ডুয়ার্সের প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে গড়ে ওঠা হোম ট্যুরিজমগুলির প্রচার হবে। ডুয়ার্স ট্রাভেল এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সম্পাদক বিপ্লব দে বলেন, “যে ভাবে বিদেশের পযর্টন সংস্থাগুলি ডুয়ার্সের পযর্টনে এগিয়ে আসছেন তাতে আমরা চাইছি পযর্টকদের ন্যূনতম কিছু সুবিধের দিকে সরকার নজর দিক। এলাকার রাস্তাঘাট মেরামতি, আধুনিক প্রযুক্তিতে দেশি বিদেশি পযর্টকদের জন্য ডিজিটাল ম্যাপিং সুবিধা ও প্রত্যন্ত এলাকায় মোবাইল পরিষেবা বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে।”

সাজ-শিল্পের বিকিকিনি শীতের শহরে
শীত মানেই ফের পার্টির মরসুম। সে উপলক্ষে নিজেকে এবং চারপাশটাকে নতুন করে সাজিয়ে তোলা যায় পছন্দসই ডিজাইনার জিনিসে। তার জন্য যদি হয় আরও এক দফা জমিয়ে কেনাকাটা, মন্দ কী! শীত শুরুর শহরে তাই হাজির ‘স্টাইলফাইল ২০১১’। আগামী ২৫ নভেম্বর বিকেল ৩টে থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এই প্রদর্শনী তথা বিকিকিনির হাট বসছে আলিপুরের ৭/৬ বর্ধমান রোডে। প্রতি বছরের মতো এ বারও ডিজাইনার পোশাক, ব্যাগ, জুতো, গয়নাগাঁটি থেকে শুরু করে পেন্টিং, ভাস্কর্য, হাতে বানানো কার্ড, ঘর সাজানোর জিনিস, উপহার সামগ্রী সবই থাকবে সেখানে। বুধবার দুপুরে এই উপলক্ষে একটি সাংবাদিক বৈঠকে উদ্যোক্তাদের তরফে প্রীতি গোয়েন্কা ও সুমেধা সারাওগী জানান, কলকাতা-সহ দেশের বিভিন্ন নামীদামি ডিজাইনার ও শিল্পীরা অংশগ্রহণ করছেন এই প্রদর্শনীতে। পাশাপাশি, ‘স্টাইলফাইল’ কলকাতা শাখার এ বছরের নাইট-বাজারে থাকছে বেশ কয়েক জন নতুন শিল্পীর কাজও। অনামিকা খন্না, অঞ্জু মোদী, গৌরভ গুপ্ত, অমিত অগ্রবাল, সিমর দুগল, সুনীতা শঙ্কর, উদিত ধনুকা, বিবেক নারঙ্গ, রোহিতা, পরেশ মাইতি, সমীর আইচ, সপ্তর্ষি নস্কর, অনুপ মণ্ডল, রাজেশ রাম, ললিতা জালান প্রমুখের কাজ দেখা যাবে এই ‘লাইফস্টাইল’ প্রদর্শনীতে।

টানা পাঁচ দিন পড়ল সূচক
এই নিয়ে টানা পাঁচ দিন পড়ল শেয়ার বাজার। বুধবার সেনসেক্স নেমেছে ১০৬.৮০ পয়েন্ট। এ দিনও পতনের কারণ ছিল দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে সংস্থাগুলির হতাশাজনক ফলাফল ও ইউরোপের আর্থিক সঙ্কট। আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি, বাড়তে থাকা সুদ এবং তার জেরে আর্থিক বৃদ্ধি শ্লথ হওয়ার সম্ভাবনায় আয় কমবে বলে গতকালই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল গাড়ি ও নির্মাণ সংস্থাগুলি। আজ ফের এই একই আশঙ্কার কথা বলেছে বিদ্যুৎ ও মূলধনী পণ্য তৈরির সংস্থাগুলি। ফলে এ দিন বিশেষত পড়েছে এই সব সংস্থার দর। পাশাপাশি ইউরোপীয় দেশগুলির আর্থিক সঙ্কট নিয়ে দুশ্চিন্তাও ছিল তীব্র। চিন, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান-সহ বিভিন্ন এশীয় দেশের প্রধান সূচকগুলিও যে কারণে অনেকটাই পড়েছে। ভারতের বাজারে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই লগ্নিকারীরা কম বেশি শেয়ার বেচে দেওয়ার দিকে ঝুঁকেছেন। এমনকী এ দিন সেনসেক্স এক সময় ১৬,৬৪১.৬৫ অঙ্কে নামে। পরে পেনশন তহবিল পরিচালনাকারী সংস্থায় ২৬% পর্যন্ত বিদেশি লগ্নিতে মন্ত্রিসভার সায় দেওয়ার খবর আসায় কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায়। দিনের শেষে সূচক ছিল ১৬,৭৭৫.৮৭ অঙ্কে। তবে বুধবার কিংফিশারের শেয়ার কেনার চাহিদা ছিল প্রবল। কারণ মঙ্গলবারই বিজয় মাল্য তাঁর সংস্থা বন্ধের সম্ভাবনা নেই বলে আশ্বস্ত করেন লগ্নিকারীদের। বুধবার ডলারে টাকার দাম আরও পড়ে ৫০.৭৪/৭৫ টাকায় থামে। অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় জানান, বিদেশি মুদ্রার বাজারে নজর রাখছে আরবিআই। দরকারে তারা হস্তক্ষেপ করবে।

সুন্দরবনে স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রতিনিধিরা
সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় পর্যটন ব্যবস্থার উন্নতির দিকগুলি খতিয়ে দেখতে বুধবার থেকে তিন দিনের সফর শুরু করল বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতোর নেতৃত্বে দলটি এ দিন প্রথমে গোসাবায় আসে। ব্লকের জনপ্রতিনিধি, বন দফতরের আধিকারিক, পর্যটন দফতরের আধিকারিক এবং বিডিও-র সঙ্গে দলটি বৈঠক করে। তার পরে তাঁরা যান সজনেখালিতে। সেখান থেকে দয়াপুর এবং পাখিরালয় ঘুরে দেখেন। আজ, বৃহস্পতিবার দলটির বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে দেখার কথা। শ্রীকান্তবাবু বলেন, “সুন্দরবনের মানুষের সমস্যাগুলি বোঝার চেষ্টা করছি আমরা। মাছ ধরতে বা মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে এখানকার অনেকে বাঘের আক্রমণে প্রাণ দিলেও ঠিকমতো ক্ষতিপূরণ পান না বলে অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি, এখানে ইকো-ট্যুরিজমের উন্নয়ন কী ভাবে ঘটানো যায়, তা-ও খতিয়ে দেখব আমরা। তার পরে বিধানসভায় রিপোর্ট দেব।” এ দিন গোসাবায় ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারমেন অ্যাসোসিয়েশন’-এর পক্ষ থেকে দলটির হাতে বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। শ্রীকান্তবাবু ছাড়া ওই দলে রয়েছেন গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক চূড়ামণি মাহাতো, পাণ্ডুয়ার বিধায়ক আমজাদ আলি, বিনপুরের বিধায়ক দিবাকর হাঁসদা এবং গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.