ঘোষপুর শ্মশানের আমূল সংস্কার প্রয়োজন। উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত চাতরা পঞ্চায়েতের গুরুত্বপূর্ণ ঘোষপুর শ্মশানটি যে উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছিল, সেটি সম্পূর্ণ ব্যর্থতায় পরিণত হয়েছে। মানুষ সৎকারের কাজে ব্যবহারের উপযোগিতাই এটি হারিয়ে ফেলেছে। যমুনা নদীর অববাহিকায় একটি অগভীর জলাশয়ের মধ্যে এই শ্মশানটির অবস্থান হওয়ায় বছরের অধিকাংশ সময়েই এটি জলে ডুবে থাকে। শ্মশানে যাওয়ার রাস্তাটিও দুর্গম। রাস্তার কিছুটা অংশ এক-গোড়ালি কাদা, বাকি অংশটা হাঁটু পর্যন্ত জলে ডোবা। |
জলের তলায় ঘোষপুর শ্মশান। ছবি: রাসমোহন দত্ত |
জলাভূমিকে নদীর তীর বরাবর মাটি দিয়ে ভর্তি না করে, শবদাহের চুল্লি ও শবযাত্রীদের জন্য যে বিশ্রামাগার তৈরি করা হয়েছিল ১,৯৭,৫৫০ টাকা খরচ করে, সেটি নির্মাণের কিছু দিন পরেই মাটিতে বসে গিয়ে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। এটি শবযাত্রীরা কোনও দিন ব্যবহারের সুযোগই পাননি। নদীর জলপ্রবেশ আটকানোর জন্য যমুনা নদীর তীর বরাবর ১০০ ফুট গার্ডওয়াল দেওয়ার কথা ছিল। গার্ডওয়ালের মাঝামাঝি জায়গায় নদীতে নামার জন্য একটি সিঁড়ি তৈরির প্রস্তাবও ছিল, যাতে সহজেই নদীর জল এনে চিতার আগুন নেভানো যায়। পরিকল্পনা-বহির্ভূত ভাবে সেই গার্ডওয়াল নদীর তীর বরাবর না করে রাস্তা বরাবর করা হল। ৩,৪১,৩৪৩ টাকা খরচ হল, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হল না। যার নিট ফল জলের তলায় শ্মশানের অবস্থান। গ্রামবাসীদের মৃতদেহ সৎকারের জন্য যেতে হয় ৭ কিমি দূরে গোবরডাঙায়।
চাতরা এলাকার মানুষের স্বার্থে শ্মশানটির আমূল সংস্কার প্রয়োজন। জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতির কাছে কয়েকটি প্রস্তাব দিচ্ছি:
১) বটতলা থেকে শ্মশান পর্যন্ত রাস্তাটি মাটি দিয়ে ড্রেজিং করে ভ্যাট দিয়ে তৈরি করতে হবে।
২) নদীর তীর সমান উঁচু করে জলা জমিতে মাটি দিতে হবে এবং তারপর চুল্লি ও শবযাত্রীদের বিশ্রামাগার নির্মাণ করতে হবে।
৩) নদীর তীর বরাবর একশো ফুট গার্ডওয়াল তৈরি করতে হবে, মাঝামাঝি জায়গায় সিঁড়ি রাখতে হবে, যাতে নদীর জল এনে চুল্লি নেভানো যায়। |
শব্দদূষণে গোটা খড়্গপুর একেবারে অতিষ্ঠ। বীভৎস শব্দে যে-কোনও সময়েই বিভিন্ন এলাকা কেঁপে ওঠে। পাড়ার অলি-গলিতে, চলার পথের ওপরই বিশাল বিশাল সাউন্ডবক্সের মিলিত আওয়াজ। রেলনগরী খড়্গপুর এক কথায় মিনি ভারতবর্ষ। বিভিন্ন ভাষাভাষীর বাস এখানে; ফলে উৎসবের যেন শেষ নেই। প্রতি ক্ষেত্রেই লাগামছাড়া শব্দদূষণ। এলাকাভিত্তিক দাদাগিরিতে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ হেলায় অগ্রাহ্য হয়। স্থানীয় প্রশাসন নির্বিকার। রাজনৈতিক সংগঠনগুলির মুখেও কুলুপ। এমন অরাজকতা কি চলতেই থাকবে? |
বসিরহাট মহকুমাশহর সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকায় একটি নিষিদ্ধ মাগুর মাছের চাষ হয়। স্থানীয় ভাষায় যাকে ‘হাইব্রিড মাগুর’ বলে। এর খাবার হিসেবে যা ব্যবহার হয়, তা অতি দুর্গন্ধযুক্ত বস্তু। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রাণীবর্জ্য দিয়ে প্রস্তুত করানো হয় দরিদ্র শ্রেণির মানুষদের দিয়ে। বিভিন্ন যানবাহন এবং আর এক নিষিদ্ধ বাহন ইঞ্জিন-ভ্যানেই উন্মুক্ত ভাবে জনবহুল এলাকায় স্কুল, কলেজ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, খাবারের দোকানের গা ঘেঁষে দুর্গন্ধের ঢেউ তুলে যথেচ্ছ ভাবে ওই মাছের খাবার বহন করা হয়। মাত্র কয়েকজনের স্বার্থে কেন অন্যদের এ যন্ত্রণা সইতে হবে? থানা থেকে একশো গজ ও মহকুমা প্রশাসন থেকে এক-দেড় কিলোমিটারের মধ্যে, যে জিনিস কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ, তা চলে কী করে? |
এই বিভাগে চিঠি পাঠান সম্পূর্ণ নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে।
আমাদের চিঠি,
সম্পাদকীয় বিভাগ,
আনন্দবাজার পত্রিকা প্রাঃ লিঃ,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১ |
|