|
|
|
|
নতুন সভাপতি কেশপুর কলেজে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
নতুন পরিচালন কমিটি গঠিত হল কেশপুর কলেজে। সভাপতি হয়েছেন শিক্ষক নেতা তথা তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি চিত্ত গড়াই। শনিবার এক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তাঁর নাম সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। নতুন দায়িত্ব পেয়ে চিত্তবাবু বলেন, “কলেজের উন্নয়নে যথাসাধ্য চেষ্টা করব।” এই প্রথম পূর্ণাঙ্গ পরিচালন সমিতি গঠিত হল কেশপুর কলেজে। এর আগে এখানে ‘অ্যাডহক’ কমিটি ছিল। যে কমিটির সভাপতি ছিলেন জেলা পরিষদের প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ তথা সিপিএম নেতা নুরুল ইসলাম।
৭ বছর আগে কেশপুর কলেজের উদ্বোধন করেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ২০০৫-’০৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে এখানে পঠনপাঠন শুরু হয়। এতদিন ‘অ্যাডহক’ কমিটিই কলেজের সব কাজকর্ম দেখভাল করেছে। ‘লালদুর্গ’ কেশপুরে এখন পরিবর্তনের হাওয়া। বিধানসভা ভোটে সিপিএম প্রার্থী রামেশ্বর দোলুই জিতলেও ক্রমে এলাকায় কোণঠাসা হয়ে পড়ে প্রাক্তন শাসকদল। কঙ্কাল-কাণ্ডে গ্রেফতারি এড়াতে গা- ঢাকা দিয়েছেন তরুণ রায়, ইন্তাজ আলি, তড়িৎ খাটুয়ার মতো সিপিএম নেতারা। এই পরিস্থিতিতে কলেজের নতুন পরিচালন সমিতিতে তৃণমূলেরই আধিপত্য। নতুন কমিটিতে মোট ১২ জন সদস্য রয়েছেন। পদাধিকার বলে কমিটির সম্পাদক হয়েছেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুশান্ত দোলুই। রাজ্য সরকার মনোনীত সদস্য হিসেবে কমিটিতে রয়েছেন চিত্ত গড়াই ও রজনীকান্ত দোলুই। রজনীকান্তবাবু এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক। এ বারও কেশপুর থেকে কংগ্রেসের প্রার্থী হন। এ ছাড়া, ৪ জন শিক্ষক প্রতিনিধি, এক জন শিক্ষাকর্মী প্রতিনিধি, এক জন ছাত্র প্রতিনিধি, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় মনোনীত দু’জন প্রতিনিধি ও কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কমিটিতে রয়েছে। পরিচালন কমিটির সভাপতির নাম চূড়ান্ত করতে শনিবার কলেজে এক বৈঠক হয়। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তড়িৎ খাটুয়া দীর্ঘদিন এলাকায় নেই। তাঁর বদলে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয় সমিতির সহ-সভাপতি নিবেদিতা মাইতিকে। তবে তিনি আসেননি। বাকিরা সকলেই চিত্তবাবুকে সভাপতি হিসেবে সমর্থন করেন। কেশপুর কলেজ চত্বরে তফসিলি জাতি-উপজাতি ছাত্রীদের জন্য একটি হস্টেল করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্য ১১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। কলেজের পরিকাঠামো উন্নয়নেও বেশ কিছু পরিকল্পনা করেছেন কর্তৃপক্ষ। এ বার ধীরে ধীরে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু হবে বলে জানান নতুন সভাপতি। |
|
|
|
|
|