টুকরো খবর
মহিলা পুলিশ নিগ্রহে স্বামীর পরে ধৃত স্ত্রী
চাঁদনি চক মেট্রো স্টেশনে মহিলা পুলিশকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় (ঘোষ)-কেও রবিবার গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার রাতে মহিলা পুলিশ নিগ্রহের ওই ঘটনার পরে ইন্দ্রাণীর স্বামী সুমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশের নিয়ম অনুযায়ী কোনও মহিলাকে সূর্যাস্তের পরে গ্রেফতার করা যায় না। পুলিশি সূত্রের খবর, ইন্দ্রাণীকে এ দিন সকালে গ্রেফতার করা হয়। পরে দু’জনকেই ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হলে বিচারক তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন। সুমন্ত ও ইন্দ্রাণী দু’জনেই ইঞ্জিনিয়ার। শনিবার রাতে সাড়ে ৭টা নাগাদ চাঁদনি চকের একটি চিনা রেস্তোরাঁ থেকে বেরিয়ে বন্দ্যোপাধ্যায় দম্পতি মেট্রো স্টেশনে যান। সেখানে টোকেন দিয়ে গেট খোলা নিয়ে মেট্রোকর্মীদের সঙ্গে তাঁদের বচসা হয়। সেই সময় রফিকা খাতুন নামে এক পুলিশকর্মী তাঁদের থামাতে গেলে ওই দু’জন তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। তার পরেই বৌবাজার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে চলে আসে। কর্তব্যরত সরকারি কর্মীকে মারধরের অভিযোগে রাতেই গ্রেফতার হন সুমন্ত। সূর্যাস্তের পরে মহিলাদের গ্রেফতার করা আইনবিরুদ্ধ বলে সে-রাতে ইন্দ্রাণীকে ধরা যায়নি। ইন্দ্রাণী পুলিশের কাছে পাল্টা অভিযোগ করেন, পুলিশকর্মীরা মেরে তাঁর চশমা ভেঙে দিয়েছেন। আক্রান্ত পুলিশকর্মী রফিকা এখনও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রবিবার তিনি জানান, তাঁর মাথায় প্রচণ্ড যন্ত্রণা হচ্ছে। চিকিৎসকেরা এ দিন তাঁর মাথায় স্ক্যান করেন। সোমবার তার রিপোর্ট পেলে বোঝা যাবে, মস্তিষ্কের ভিতরে কোনও রকম রক্তক্ষরণ হয়েছে কি না। এ দিন সকালে আমডাঙার বাড়ি থেকে রফিকাকে দেখতে আসেন তাঁর দাদা ও দিদি।

দ্রুত বিচারের দাবিতে অনশন ১১৫০ বন্দির
কোনও সুযোগ-সুবিধার দাবিতে নয়। তাঁদের বিরুদ্ধে আনা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির দাবিতে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের বিচারাধীন বন্দিরা তিন দিন ধরে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের সমর্থনে রবিবার সকাল থেকে অনশন শুরু করেছেন প্রেসিডেন্সি জেলের ২৫০ বিচারাধীন বন্দি। খাস কলকাতাতেই এক জেল থেকে অন্য জেলে ছড়িয়ে পড়ছে বন্দিদের অনশন। আলিপুরের অনশনরত বন্দিরা পাশে পেয়েছেন কিছু মাওবাদী বন্দি, অন্তত এক জন কাশ্মীরি জঙ্গি ও এক পাকিস্তানি জঙ্গিকেও। তাঁরাও খাবার খাচ্ছেন না। জেল সূত্রের খবর, আলিপুর জেলে ৯০০ এবং প্রেসিডেন্সি জেলে অন্তত ২৫০, মোট ১১৫০ জন বন্দি খাবার খাচ্ছেন না। একসঙ্গে এত বন্দির অনশনের নজির আর আছে কি না, নিশ্চিত নন জেলকর্তারাও। শুক্রবার জেলে বন্দিদের অনশন শুরু হয়। রাতে আইজি (কারা) রণবীর কুমার সেখানে গিয়ে বন্দিদের খেতে অনুরোধ করেন। রাজি হননি তাঁরা। অনশন ঘিরে গোলমালের আশঙ্কায় জেলে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ওই জেলে আফতাব আনসারি, জামিরুদ্দিন নাসির, সুশান্ত ঘোষের মতো ‘হাইপ্রোফাইল’ বন্দিরা রয়েছেন। আছেন তেলুগু দীপক-সহ ১০ জন মাওবাদীও। অনশনকারীদের সমর্থনে সেলে আটক তেলুগু দীপক-সহ ৮ মাওবাদী বন্দি রবিবার অনশন শুরু করেন। অনশনে বসেছেন কাশ্মীরি জঙ্গি ফারহাদ মামুদ ও পাকিস্তানি জঙ্গি ওয়াকার সালিমও। যাঁরা অনশন করছেন, তাঁদের কেউ দু’বছর, কেউ বা ১০ বছর জেলে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অনেক উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তিও রয়েছেন। অনেক বছর কেটে যাওয়া সত্ত্বেও তাঁদের বিরুদ্ধে আনা মামলা শেষ হচ্ছে না বলে অভিযোগ। তাঁদের দাবি, হয় দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি হোক অথবা তাঁদের জামিন দেওয়া হোক। আইজি (কারা)-র কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন বন্দিরা। আইজি (কারা) রণবীর কুমার বলেন, “সোমবার সরকারকে সব জানাব। সরকারই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।”

যশোরে সাংবাদিক হত্যার আসামি ধৃত বিধাননগরে
আদালতে সেলিম। নিজস্ব চিত্র
যশোরের সাংবাদিক শামসুর রহমান হত্যার প্রধান আসামি পাগলা সেলিম পশ্চিমবঙ্গে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। শনিবার রাতে পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ সল্ট লেকের সিটি সেন্টারের কাছ থেকে তাকে গ্রেফতার করে। রবিবার দুপুরে বিধাননগরের মহকুমা আদালতে তাকে হাজির করা হয়। বেআইনি ভাবে ভারতে বসবাসের অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। বিচারক সেলিমকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। যশোর পুলিশ জানিয়েছে, পাগলা সেলিম কলকাতায় ধরা পড়ার খবর তারাও পেয়েছে। ঢাকার একটি সংবাদপত্রের যশোর ব্যুরোর প্রধান শামসুর রহমানকে ২০০০ সালের ১৬ জুলাই যশোরে অফিসের মধ্যে গুলি করে খুন করা হয়। অভিযোগ পাগলা সেলিমই সে কাজ করেছিল। তার নামে এই মামলায় চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়াও বাংলাদেশে একাধিক খুন, ডাকাতি ও চুরির মামলা রয়েছে পাগলা সেলিমের নামে। ২০০৪ সালে তাকে ঢাকায় গ্রেফতার করা হলেও জামিনে ছাড়া পেয়ে সে ফেরার হয়ে যায়। বাবা প্রয়াত শামসুদ্দিন বিশ্বাস। বিধাননগর পুলিশ জানিয়েছে, শঙ্কর সেন নামে বনগাঁর গোপালনগরে বসবাস করছিল সেলিম। বাংলাদেশ থেকে জাল নোট এনে ভারতে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজে সে যুক্ত ছিল। দিল্লি, মুম্বই, অজমের, নাসিকের মতো বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত ছিল তার। মুম্বই পুলিশ এক বার সেলিমকে ধরেছিল। ছাড়া পেয়ে ফের গোপালনগরে এসে সেলিম বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে। যশোরে শামসুর রহমানের ভাই সাজেদ জানান, সেলিমের গ্রেফতারের খবরে তাঁরা স্বস্তিতে।

তৃণমূল অফিসে মারধরের অভিযোগ
বাঙুর অ্যাভিনিউয়ে রবিবার রাতে এক বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটের বিবাদকে কেন্দ্র করে মারধরের ফলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ভাড়াটের অভিযোগ, তাঁর ছেলেকে তৃণমূল অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে ওই দলের কাউন্সিলরের সামনে মারধর করা হয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাড়িওয়ালা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। স্থানীয় সূত্রের খবর, নীলরতন দত্ত নামে ওই এলাকার এক বাসিন্দার বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী শ্যামসুন্দর কুলটিয়া। শ্যামবাবুর অভিযোগ, “এ দিন নীলরতনবাবু এক দল ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে চড়াও হন। আমার ছেলে মনোজকে স্থানীয় তৃণমূল অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরের সামনেই মারধর করা হয়।” বাড়িওয়ালা, এলাকার দুই যুবক এবং কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শ্যামবাবু। স্থানীয় কাউন্সিলর মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য অবশ্য বলেন, “কাউকে মারধর করা হয়নি। বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটের বিবাদ মেটাতেই ওঁদের অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছিল।”পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্যামবাবু বাড়িটি ভাড়া নেন ২০০৫ সালে। নীলরতনবাবুর অভিযোগ, “এক বছর ভাড়া দেওয়ার পরে ভাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেন ওই ভাড়াটে। এই নিয়ে মামলাও করা হয়।” তাঁর দাবি, মামলায় জিতেই ভাড়াটেকে বাড়ি ছাড়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ছাড়েননি। নীলরতনবাবু ভাড়াটের বিরুদ্ধে জোর করে বাড়ি দখল করে থাকার অভিযোগ দায়ের করেন থানায়। যদিও মামলায় বাড়িওয়ালার জেতার কথা অস্বীকার করেছেন ভাড়াটে। তদন্ত চলছে।

নেতাজি-প্রশ্নে গণ কনভেনশন
নেতাজি-প্রশ্নে এ বার গণ কনভেনশনের মাধ্যমে দলের বাইরেও মতামত সংগ্রহে নামল বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক। সংসদ প্রকাশিত পুস্তিকায় নেতাজির মৃত্যুদিন উল্লেখ করার প্রতিবাদে এবং ২৩ জানুয়ারিকে ‘দেশপ্রেম দিবস’ হিসাবে ঘোষণার দাবিতে ২১ নভেম্বর কলকাতায় আইন অমান্য করবে তারা। তার আগে রবিবার উত্তর কলকাতায় দর্জিপাড়া গণভবনে ‘অরাজনৈতিক কনভেনশন’ করে ওই দাবিগুলির পক্ষে জনমত সংগ্রহ করেছে তারা। প্রাক্তন রাজ্যপাল শ্যামল সেন এবং দলের প্রাক্তন সাংসদ সুব্রত বসু কনভেনশনে বক্তা ছিলেন। ফ ব-র প্রাক্তন বিধায়ক জীবন সাহা জানান, নিজে আসতে না-পারলেও দাবিগুলির প্রতি তাঁর ‘সহমত’ জানিয়েছেন বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার হাসিম আব্দুল হালিম।

নয়া বাস প্রকল্পের অনুমোদন
গড়িয়া থেকে উল্টোডাঙা পর্যন্ত প্রস্তাবিত ‘বাস র্যাপিড ট্রানজিট সিস্টেম’ বা বিআরটিএস (দ্রুত গতির বাস পরিষেবা) প্রকল্পের কেন্দ্রীয় অনুমোদন মিলেছে। তাই শহরের গণ পরিবহণের অঙ্গ হিসেবে এই প্রকল্পটি জেএনএনইউআরএম-এর তহবিল থেকে অর্থ সাহায্য পাবে বলে জানান কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সৌগত রায়। শুক্রবার ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্সের উদ্যোগে এক আলোচনাসভায় সৌগতবাবু জানান, বিআরটিএস প্রকল্পের জন্য ২৫০ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে। যার ৩৫% দেবে কেন্দ্র। বাম সরকারের আমলেই বাইপাস দিয়ে এই পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা হয়। প্রস্তাবিত নকশা অনুযায়ী, আট লেনের বাইপাসের মাঝে বাস চলাচলের আলাদা দু’টি লেন হবে। গড়িয়া থেকে উল্টোডাঙা যেতে সময় নেবে ২৫ মিনিটের মতো।

গাড়িতে আগুন
মহানগরীর রাজপথে দাউদাউ করে জ্বলছে একটি গাড়ি। ওই অবস্থায় কিছু দূর এগিয়ে রাস্তার ‘ডিভাইডার’ বা বিভাজিকায় ধাক্কা মেরে সেটি থমকে গেল। কোনও মতে দরজা খুলে গাড়ি থেকে ছিটকে বেরোলেন চালক। রবিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে ভবানীপুরের আশুতোষ মুখার্জি রোডে। তখন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা। চলতে চলতে একটি গাড়িতে আচমকা এ ভাবে আগুন লেগে যাওয়ায় রাস্তার দু’দিকেই যান চলাচল থমকে যায়। দাঁড়িয়ে যায় পথচলতি জনতা। দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে পরিস্থিতি সামলায়। তবে ওই গাড়িতে চালক ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। গাড়িতে আগুন লাগল কেন? পুলিশ জানায়, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের ফলে আগুন লেগেই গাড়িটি পুড়ে গিয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।

দুই দুষ্কৃতী গ্রেফতার
অস্ত্র ও নিষিদ্ধ মাদক-সহ গ্রেফতার হল দুই দুষ্কৃতী। শনিবার, চেতলা থেকে। ধৃতদের নাম বাপ্পাদিত্য দাস ওরফে পায়রা বাপ্পা ও জয় রবিদাস। পুলিশ জানায়, বাপ্পার কাছে প্রায় ৬ কিলোগ্রাম গাঁজা ও জয়ের কাছে পিস্তল মিলেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতদের বিরুদ্ধে তোলাবাজি, মারপিট, বোমাবাজির একাধিক অভিযোগ আছে। অভিযোগ, সম্প্রতি ঠাকুরপুকুরের এক ব্যবসায়ীর কাছে কয়েক হাজার টাকা চায় বাপ্পা। তিনি টাকা দিতে রাজি না-হলে তাঁর বাড়ির সামনে বোমাবাজি করে সে।

ব্যবসায়ী খুনে ধৃত
বসিরহাটের ব্যবসায়ী অরবিন্দ স্বর্ণকারের খুনের ঘটনায় এক ‘সুপারি কিলার’কে ধরল পুলিশ। রবিবার, নিউ টাউন থেকে। ধৃতের নাম অলিঅল মণ্ডল ওরফে রাহুল। গত ১৮ আগস্ট ওই ব্যবসায়ীর দেহ মেলে নিউ টাউনের কোচপুকুরের কাছে। পুলিশ জানতে পারে, এই খুনে যুক্ত ছিল অরবিন্দবাবুর বাবা বিষ্ণুপদ স্বর্ণকার ও ভগ্নীপতি রঞ্জিত সরকার। তারা আগেই গ্রেফতার হয়। বিষ্ণুপদ পুলিশকে জানায়, সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদের জেরেই এই খুনের পরিকল্পনা করে তারা। পুলিশ জেনেছে, ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে অরবিন্দকে খুন করেছিল অলিঅল।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.