এ মাসের শেষে দিল্লিতে ভারত-চিন সীমান্ত আলোচনার
আগে মনমোহন সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে তুললেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
চিনা সরকারের আমন্ত্রণে শিল্পপ্রতিনিধিদের নিয়ে পাঁচ দিনের সফর শেষে সদ্য গতকালই দেশে ফিরেছেন মোদী। আজ গুজরাত সরকারের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়, অর্থনৈতিক বিষয় ছাড়াও নরেন্দ্র মোদী ভারতের দিক থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও উত্থাপন করেছেন। চিনের সরকার এবং কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভারতের ভুল মানচিত্রের বিষয়টি তুলেছেন। যে ভাবে চিন অরুণাচলকে তাদের অঙ্গ হিসাবে দেখায়, সেই সংক্রান্ত বিষয় উত্থাপন করেছেন। পাশাপাশি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে চিনের উপস্থিতির প্রসঙ্গও তোলেন তিনি। কারণ, নিরাপত্তার বিষয়টি সেখানে জড়িত। পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদীদের প্রশিক্ষণ দেয়।
চিনে গিয়ে মোদীর পক্ষে এ ধরনের মন্তব্যে একাধারে বিস্মিত ও অস্বস্তিতে মনমোহন সরকার। কিছু দিন আগে দিল্লিতেই ভারতের ভুল মানচিত্র দেখানো নিয়ে এক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটে যায়। ভারতের মানচিত্রে কাশ্মীরের কিছু অংশ এবং অরুণাচল প্রদেশ না-থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুললে ভারতে চিনের রাষ্ট্রদূত ঝাং ইয়াং প্রকাশ্যেই এক ভারতীয় সাংবাদিককে বলেন, ‘শাট আপ’। পরে চিনা দূতাবাসের তরফে সুর কিছুটা নরম করা হলেও ভারত এই ঘটনায় আনুষ্ঠানিক ভাবে খুব বেশি প্রতিবাদ জানায়নি। বিদেশ মন্ত্রকের এক কর্তার মতে, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সমস্যা থাকলেও চিন এ দেশের কাছে অনেক বড় উদ্বেগের বিষয়। আবার চিন পাকিস্তানের মিত্র। এই পরিস্থিতিতে চিনকে চটিয়ে পাকিস্তানকে খুব বেশি সুবিধা দেওয়ার পক্ষপাতী নয় নয়াদিল্লি। তার উপর নরেন্দ্র মোদী একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি নন। ফলে চিনা সরকারের আমন্ত্রণে গিয়ে এক জন মুখ্যমন্ত্রী এ সব বিষয়ে মন্তব্য করায় বিস্মিত সাউথ ব্লক।
বছর খানেক ভারত এবং চিন সীমান্ত আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু সেই বৈঠকেও সীমান্ত বিবাদ নিয়ে এক চুল অগ্রগতিও হয়নি। আবার সেই বৈঠক হচ্ছে এ মাসের শেষেই। এক কূটনীতিকের মতে, চিনের সঙ্গে বিবাদগুলি সরিয়ে রেখেই ভারত এখন দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চাইছে। চিনের সামগ্রীও যেমন এ দেশে আসছে। ভারতের রফতানিও বাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত-সন্ত্রাস নিয়ে ভারতের উদ্বেগ থাকলেও চিনের সীমান্ত আপাতভাবে শান্ত। ফলে সেই বৈঠকের আগে মোদীর এই মন্তব্য অস্বস্তিই বাড়িয়েছে সরকারের।
|
জামাত উদ দাওয়া নিয়ে নীরব ইমরান
সংবাদসংস্থা • ইসলামাবাদ |
ক্ষমতায় এলে সন্ত্রাসবাদীদের কড়া হাতে মোকাবিলা করার প্রতিশ্রুতি দিলেন ইমরান খান। তবে, ২০০৮-এর মুম্বই হামলার অন্যতম পাণ্ডা হাফিজ সইদ এবং তার গোষ্ঠী জামাত উদ দাওয়ার ব্যাপারে তিনি কার্যত নীরব। এদের বিরুদ্ধে কোনও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাওয়া হলে ইমরানের জবাব, “আমাকে তো পাকিস্তানে থাকতে হবে!” এক টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তেহরিক ই ইনসাফ দলের প্রধান ইমরান বলেন, “আমার দল ক্ষমতায় এলে পাকিস্তানের ভিতর থেকে কোনও জঙ্গি কার্যকলাপ বরদাস্ত করব না।” স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, মুম্বই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত হাফিজ সইদের কার্যকলাপও কি একই ভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে তাঁর সরকার? এ বারে কিছুটা সতর্ক ইমরান। তার জবাব, “এই মুহূর্তে পাকিস্তানের অবস্থা খুব খারাপ। দেশে কোনও আইনের শাসন নেই। গভর্নরকে খুন করেও আততায়ী নায়ক হয়ে ওঠে। এ অবস্থায় এমন কিছু করাটা ঠিক হবে না যাতে অস্থিরতা আরও বাড়ে। এখানে নায়ক হওয়ার কোনও জায়গা নেই।” |