টুকরো খবর |
সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষ হাসনাবাদে
নিজস্ব সংবাদদাতা • হাসনাবাদ |
সিপিএম ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে শনিবার সকালে তেতে ওঠে হাসনাবাদের বরুণহাটের সর্দারপাড়া এলাকা। জখম হন ৭ জন। অন্তত ১০টি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে থানায় হামলার অভিযোগ দায়ের করেছে। গত মঙ্গলবার সর্দারপাড়ায় একটি মেলা উপলক্ষে পুকুরে হাঁস ধরা এবং হাঁড়ি ভাঙা প্রতিযোগিতা হয়। সেই প্রতিযোগিতায় পাশের গাজিপাড়ার এক বাসিন্দাকে যোগ দিতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এ নিয়ে মেলা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে ওই ব্যক্তির বচসা হয়। পরে দুই পাড়ার যুবকদের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় এ নিয়ে সালিশি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাতে সমস্যা মেটেনি। অভিযোগ, মেলা কমিটির দুই সদস্য তথা তৃণমূল সমর্থককে বাড়িতে ঢুকতে না দিয়ে মারধর করে সিপিএম সমর্থকেরা। শনিবার সকালে শতাধিক তৃণমূল সমর্থক গিয়ে ওই এলাকায় হামলা চালায় বলে অভিযোগ। সংঘর্ষ বাধে সিপিএম সমর্থকদের সঙ্গে। লুঠপাটও হয়। সর্দারপাড়ার বাসিন্দা তথা বরুণহাট রামেশ্বরপুর পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্য এসাকুল সর্দার বলেন, “সালিশিতে সমস্যা না মেটায় তৃণমূলের ছেলেরা আমাদের লোকজনের উপরে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। আমাদের দলীয় সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুর ও লুঠপাট করে। জানানো সত্ত্বেও পুলিশ সময়মতো আসেনি।” সিপিএমের অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে স্থানীয় তৃণমূল নেতা মাদার আলি গাজি বলেন, “খেলায় অংশগ্রহণ নিয়ে দুই পাড়ার ছেলেদের মারামারি হয়েছে।” পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, খবর পাওয়ামাত্র তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। |
পার্কে গিয়ে প্রহৃত যুবক, জখম মেয়েও
নিজস্ব সংবাদদাতা • ব্যান্ডেল |
বেড়াতে যাওয়া এক যুবককে লাঠিপেটা করার অভিযোগে হুগলির ব্যান্ডেলের একটি বিনোদন পার্কের নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মারধরের সময় লাঠি ছিটকে গিয়ে ওই যুবকের মেয়ের কপালে লাগে। বাবা-মেয়ে দু’জনকেই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যেতে হয়। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দুপুরে। পুলিশ জানায়, চার বছরের মেয়ে শিঞ্জিনিকে এ দিন দুপুরে ব্যান্ডেলের ওই পার্কে আসেন সুতীর্থ এবং চন্দ্রাণী বসু। টিকিট কেটে তাঁরা জলক্রীড়ার জন্য ‘রাইড’-এ চড়তে যান। তাঁদের জানানো হয় লোডশেডিং চলছে বলে ‘রাইড’-এ চড়া যাবে না। লোডশেডিং-এর সময় টিকিট বিক্রি করা হল কেন, সেই নিয়ে এর পরেই নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন ওই দম্পতি।
অভিযোগ, প্রসেনজিৎ ধারা নামে এক নিরাপত্তারক্ষী সুতীর্থবাবুকে মারধর করেন। সেই সময়েই লাঠি ছিটকে গিয়ে শিঞ্জিনির কপালে লাগে। এর পরেই ঘটনার কথা ব্যান্ডেল পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত ভাবে জানান সুতীর্থবাবু। ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই ফাঁড়ির ইনচার্জ পার্থসারথি মজুমদার অভিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতার করেন। সুতীর্থবাবু ও তাঁর মেয়েকে এ দিন ব্যান্ডেল ইএসআই হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতকে রবিবার আদালতে হাজির করানো হবে। |
বামনগাছিতে সংঘর্ষে ধৃত ১২
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
সালিশি সভাকে কেন্দ্র করে বারাসতের বামনগাছিতে সংঘর্ষের ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তাঁদের মধ্যে ছোট জাগুলিয়া পঞ্চয়েতের তৃণমূল সমর্থিত দুই নির্দল সদস্যও রয়েছেন।
বুধবার বামনগাছির কুলবেড়িয়ায় একটি জগদ্ধাত্রী প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় মোটরবাইক আরোহী দুই যুবকের সঙ্গে বচসা হয় পুজো কমিটির কয়েক জনের। বাইক আরোহীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এ নিয়ে ছোট জাগুলিয়া পঞ্চায়েতে শুক্রবার সালিশি সভা ডাকা হয়। উপস্থিত ছিলেন বারাসত-২ পঞ্চায়েতের তৃণমূল সভাপতি তরুণ চক্রবর্তী-সহ দু’পক্ষের লোকজনই। সভায় এক জন একটি রিভলবার বের করলে দু’পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। আহত হন চার জন। গ্রামবাসীরা রাতে বামনগাছি মোড়ে যশোহর রোড অবরোধ করেন।
রাতভর তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় ছোট জাগুলিয়া পঞ্চায়েতের তৃণমূল সমর্থিত নির্দল সদস্য চৈতন্য হালদার ও বিশু মজুমদার-সহ ১২ জনকে। চৈতন্যবাবু ও বিশুবাবু-সহ আহতেরা বর্তমানে বারাসত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার চম্পক ভট্টাচার্য বলেন, “এলাকায় পুলিশ পিকেট রয়েছে। পরিস্থিতিও আয়ত্তে।” তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “ওই ঘটনায় পুলিশ আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে।” |
‘কার্গিল দল’ থেকে ধৃত পান্ডা-সহ ৪, উদ্ধার গাঁজা
নিজস্ব সংবাদদাতা • ক্যানিং |
আগ্নেয়াস্ত্র এবং গাঁজা-সহ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ত্রাস ‘কার্গিল দল’-এর এক পান্ডা এবং তার তিন শাগরেদকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার তালদি রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে প্রথমে ওই দলের পান্ডা মাওলা শেখকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছে থেকে ৩ কেজি ৮০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। এর কিছু ক্ষণের মধ্যে ক্যানিংয়ের আমড়াবেড়িয়ায় নবনির্মিত প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় মাওলার শাগরেদ নুর ইসলাম গাইন, পালান মোল্লা এবং আজিবর গাজিকে। নুর ইসলামের কাছ থেকে ৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া, তাদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একটি নাইন এম এম পিস্তল, ওই পিস্তলের একটি ম্যাগাজিন, একটি পাইপগান এবং ৬ রাউন্ড গুলি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কার্গিল যুদ্ধের সময়ে মাওলার নেতৃত্বে এই দুষ্কৃতী দলটি তৈরি হয়। সেই কারণেই নাম ‘কার্গিল দল’। দুই ২৪ পরগনা তো বটেই, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকাতেও এই দলটির বিরুদ্ধে খুন, ছিনতাই, তোলাবাজি-সহ নানা অপরাধমূলক কাজকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। একা মাওলার বিরুদ্ধেই ২২টি মামলা রয়েছে। যার অধিকাংশই খুনের। মাওলার বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলার হোমরা গ্রামে। ধৃত বাকি তিন জন ক্যানিংয়ের খাসকুমড়োখালি গ্রামের বাসিন্দা। তবে কেউই দীর্ঘ দিন ধরে বাড়িতে থাকছিল না। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ক্যানিং থানার পুলিশের দু’টি দল শুক্রবার ওই অভিযান চালায়। পুলিশ জানায়, গাঁজা বিক্রির সময়ে মাওলাকে হাতেনাতে ধরা হয়। ধৃতদের শনিবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়। তাদের ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। এর আগেও এই দলের বেশ কিছু সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। |
সংরক্ষিত কামরার যাত্রীদের মার
নিজস্ব সংবাদদাতা • ব্যান্ডেল |
|
প্রহৃত যাত্রীরা ব্যান্ডেল স্টেশনে। নিজস্ব চিত্র |
ট্রেনের সংরক্ষিত কামরায় জোর করে উঠে জায়গা না পাওয়ায় একদল যুবক যাত্রীদের উপর তান্ডব চালালো। তাদের মারধর থেকে মহিলারাও বাদ যাননি। আক্রান্তরা নৈনিতাল থেকে বেড়িয়ে ফিরছিলেন। বেধড়ক মারে এক পুরুষ যাত্রীর হাত ভাঙে। অন্য এক মহিলা যাত্রীর কপালে ক্ষত হয়। তাণ্ডব চালিয়ে চেন টেনে অবাধে নেমে যায় তান্ডবকারীরা। যাত্রীদের অভিযোগ, আক্রান্ত যাত্রীরা বার বার আবেদন করেও পুলিশের সাহায্য পাননি। ঘটনাটি ঘটেছে বাঘ এক্সপ্রেসে শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের কাছে। শনিবার ব্যান্ডেল জিআরপি থানায় ওই যাত্রীরা অভিযোগ দায়ের করেন। উত্তরপাড়ার মাখলা এলাকা থেকে ৬২ জনের একটি দল নৈনিতাল বেড়াতে গিয়েছিল। বাড়ি ফেরার পথে বাঘ এক্সপ্রেসে এস ৭ কামরায় একদল যুবক ট্রেনে উঠে পড়ে সংরক্ষিত কামরায়। যাত্রীদের অভিযোগ, ট্রেনে উঠে তারা বসার জায়গা দাবি করতে থাকে। তাদের আপত্তি করলে মারমুখী হয়ে ওঠে তাঁরা। যাত্রীদের মারধর করা হয়। মহিলা যাত্রীদের অভিযোগ, তারা শ্লীলতাহানিরও চেষ্টা করে। বেধড়ক মারে অমিত তা নামে এক যাত্রীর হাত ভাঙে। মনীষা ঘোষ নামে এক যাত্রীর কপাল কেটে যায়। যাত্রীদের অভিযোগ, ঘটনার সময় কামরায় কোনও পুলিশ ছিল না। আক্রমণকারীরা গোরক্ষপুর এবং বারোডা স্টেশনের মাঝে ট্রেন থেকে নেমে পালিয়ে যায়। এমনকী মারধর খেয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য তাঁরা চিকিৎসকও পাননি। |
মহিলার হার ছিনতাই
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ভরদুপুরে এক মহিলার হার নিয়ে পালাল ছিনতাইবাজরা। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে সোদপুরে। পুলিশ জানায়, মনীষা সরকার নামে ওই মহিলা সোদপুরের নাটাগড়ের বাসিন্দা। এ দিন মেয়েকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যান তিনি। বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ বাড়ি ফেরার সময় মোটরবাইক আরোহী দুই যুবক তাঁর হার ছিনতাই করে পালায়। তদন্তে নেমেছে খড়দহ থানার পুলিশ। গত কয়েক মাসে খড়দহ, সোদপুর ও ঘোলা অঞ্চলে মোটরবাইকে চেপে ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে। ছিনতাইবাজদের নাগাল পাচ্ছে না পুলিশও। |
পিটিয়ে খুন রিষড়ায় |
ডেকে নিয়ে গিয়ে রড দিয়ে পিটিয়ে এক প্রৌঢ়কে খুন করল দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটে রিষড়ার বন্ধ কারখানা জে কে স্টিলে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহতের নাম কৃষ্ণা দাস (৫৩)। ওই প্রৌঢ়ের বাড়ি স্থানীয় এন কে ব্যানার্জি স্ট্রিটে। ওই প্রৌঢ় ও তার ভাই ছোটেলালের নামে পুলিশের খাতায় সমাজবিরোধীমূলক কাজের অভিযোগ রয়েছে। দু’জনকেই ওই রাতে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় ছোটেলালকে কলকাতার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশের দাবি, ইদানীং সমাজের মূল স্রোতে ফেরার চেষ্টা করছিলেন ওই দুই ভাই। |
|