হরগোবিন্দ খুরানা প্রয়াত
সংহাদসংস্থা • ওয়াশিংটন |
নোবেলজয়ী ভারতীয় বংশোদ্ভুত বিজ্ঞানী হরগোবিন্দ খুরানা মারা গেলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। ১৯৬৮ সালে জেনেটিক কোডের সাহায্যে আরএনএ থেকে কী ভাবে প্রোটিন তৈরি হয় তা আবিষ্কারের জন্য আরও দুই বিজ্ঞানীর সঙ্গে চিকিৎসাবিদ্যায় নোবেল পান তিনি। ১৯২২ সালে পঞ্জাবের রায়পুর গ্রামে তাঁর জন্ম হয়। এখন ওই অঞ্চলটি পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত। মৃত্যুর সময়ে তিনি ম্যাসাচুসেটস ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (এমআইটি)-র জীববিজ্ঞান ও রসায়নবিদ্যার অধ্যাপক ছিলেন। ১৯৪৫ সালে পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করে লিভারপুলে পড়তে চলে যান খুরানা। পরে আমেরিকার নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন তিনি। আত্মজীবনীতে খুরানা লিখেছিলেন, তাঁরা ছোটবেলায় খুবই গরিব ছিলেন। কিন্তু ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনোর ব্যাপারে তাঁর বাবা কখনও কার্পণ্য করেননি। সে সময়ে গ্রামে তাঁরাই এক মাত্র শিক্ষিত পরিবার ছিলেন। তাঁর মেয়ে জানিয়েছেন, খুরানা প্রতিভাবান বিজ্ঞানীদের সব সময় উঠে আসতে সাহায্য করতেন।
|
ইরানের সামরিক বাহিনীর একটি অস্ত্রশস্ত্রের ঘাঁটিতে বিস্ফোরণে ২৭ জন সেনার মৃত্যু হয়েছে। অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে যাওয়ার সময়ে এই বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানিয়েছে সে দেশের নিরাপত্তা বাহিনী। তবে প্রাথমিক তদন্তের পরে তারা নাশকতার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে।
তেহরানের গভর্নরের দফতরে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন আলিরেজা জেনা। তিনি জানিয়েছেন, তেহরান থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে মালার্ড শহরের কাছে বিড গানেহ এলাকায় ইরানের বিশেষ বাহিনী রেভোলিউশনারি গার্ডসের একটি ঘাঁটিতে এই ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় তেহরানের পশ্চিম
শহরতলির বাড়িগুলির জানলা ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। এমনকী, শহরের প্রাণকেন্দ্রেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। ঘাঁটিতে বিস্ফোরণের কথা স্বীকার করেছে রেভোলিউশনারি গার্ডসও।
বাহিনীর কম্যান্ডার রামেজান শরিফ বলেছেন,“আজ আমাদের অস্ত্রশস্ত্রের ঘাঁটিতে বিস্ফোরণে ২৭ জন মারা গিয়েছেন। আহতদের অনেকের অবস্থা গুরুতর। অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে যাওয়ার সময়ে এই বিস্ফোরণ হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে।” ঘটনার পরেই ওই ঘাঁটিতে একটি অ্যাম্বুল্যান্স ও হেলিকপ্টার পাঠিয়েছে ইরান সরকার। উদ্ধারকর্মী মাজিদ খালেদ জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে আহত অবস্থায় অন্তত ২৩ জনকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে উদ্ধারকারী দল।
পশ্চিম তেহরান থেকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হোসেন গারৌসি জানিয়েছেন, সামরিক ঘাঁটির যে এলাকায় গোলাবারুদ সঞ্চয় করে রাখা ছিল বিস্ফোরণে তার অর্ধেক ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
ইরানের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে পশ্চিম এশিয়ায় কিছু দিন ধরে ফের চড়েছে উত্তেজনার পারদ। ওই প্রকল্পে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি হচ্ছে বলে দাবি আমেরিকা ও ইজরায়েলের। প্রয়োজনে ইরানে হামলা চালানোর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়নি ইজরায়েল। ফলে শনিবারের বিস্ফোরণের সামরিক হামলার ফল কি না তা নিয়ে প্রথমে জল্পনা দেখা দিয়েছিল। ২০১০ সালের অক্টোবর মাসে অবশ্য রেভোলিউশনারি গার্ডসের অন্য একটি ঘাঁটিতে বিস্ফোরণ ঘটেছিল। ওই ঘটনায় বেশ কয়েক জন সেনা হতাহত হয়েছিলেন।
|