ইস্পাত কারখানার সম্প্রসারণের জন্য স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (সেল) ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে বলে দুর্গাপুরে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, তথ্যপ্রযুক্তি হাব ও পলিটেকনিক কলেজ গড়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার সকালে দুর্গাপুর হাউস থেকে বীরভূমের পথে রওনা হওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সেল-এর চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে। ইস্পাত কারখানার সম্প্রসারণে ওরা ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে।” তবে এই বিনিয়োগ শুধুই দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের (ডিএসপি) জন্য, না কি আসানসোলের ইস্কো কারখানাও এর ভাগ পাবে, তা তিনি বিশদে জানাননি। তবে দুর্গাপুরে রুগ্ণ এমএএমসি কারখানা খোলার বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকার দেখছে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।
এক সময়ে রুগ্ণ হয়ে পড়া ডিএসপি-র আধুনিকীকরণের জন্য নব্বই দশক থেকেই ধাপে-ধাপে মোট ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে সেল। ডিএসপি ঘুরে দাঁড়ানোয় চাঙ্গা হয়ে উঠেছে গোটা দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলই। বহু অনুসারী ও অন্য শিল্প গড়ে উঠেছে। মডেল স্কুল, ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যানেজমেন্ট কলেজ, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প, শপিং মল, মাল্টিপ্লেক্স, তারকা হোটেল মিলিয়ে দুর্গাপুর এখন রাজ্যের উন্নয়নের অন্যতম উজ্জ্বল মুখ।
সেই উন্নয়নের ধারাকেই যে তিনি কার্যত আরও সামনের দিকে ঠেলে দিতে চাইছেন, মুখ্যমন্ত্রীর কথায় তা পরিষ্কার। মমতা বলেন, “দুর্গাপুরে তথ্যপ্রযুক্তি হাব গড়ে তোলা হবে। একটি পলিটেকনিক কলেজ হবে। সার কারখানার কাজও এগোচ্ছে। আরও নতুন নতুন শিল্প গড়ে উঠবে। ল্যান্ড ব্যাঙ্কে আরও জমি যোগ করার কাজ চলছে।” অন্ডালে সেল ও রেলের যৌথ উদ্যোগে ওয়াগন তৈরির কারখানা গড়ার কাজও এগোচ্ছে বলেও তিনি জানান।
সেপ্টেম্বর শুরুতেই দুর্গাপুর ও আসানসোল মহকুমাকে বর্ধমান জেলা পুলিশের আওতা থেকে বের করে পৃথক ‘পুলিশ কমিশনারেট’ গড়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর (স্বরাষ্ট্র দফতরের দায়িত্ব তাঁর হাতেই) মতে, কমিশনারেট চালু হওয়ার পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। কয়লা মাফিয়াদের
দৌরাত্মও অনেকখানি নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে। তিনি বলেন, “এখনও কিছু এলাকায় সমস্যা আছে। সেটা আমরা দেখে নেব।” মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, আসানসোল ও দুর্গাপুর নিয়ে পৃথক জেলা গঠনের পরিকল্পনা এগোচ্ছে। খনি এলাকা নিয়েও সরকারের বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। তবে সে ব্যাপারে তিনি বিশদে কিছু বলেননি। |