রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল গড়ার দাবিতে কংগ্রেস মিটিং-মিছিল চলছেই। বৃহস্পতিবার বিকেলে এমনই মিছিলে ডালখোলায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে আটকে পড়ে রাজ্যের রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী আবদুল করিম চৌধুরীর কনভয়। সেই সময়ে মিছিলের নেতৃত্বে থাকা রায়গঞ্জের কংগ্রেস সাংসদ দীপা দাশমুন্সি এগিয়ে গিয়ে মন্ত্রীকে ওই আন্দোলনে সামিল হওয়ার অনুরোধ করেন। গ্রন্থাগার মন্ত্রী দীপা দেবীর ওই প্রস্তাবে সাড়া দেননি। এমনকী, রায়গঞ্জের সাংসদের সঙ্গে একটি কথাও বলেননি। মিছিল চলে যাওয়া পর্যন্ত কনভয় নিয়ে গাড়িতে বসে অপেক্ষা করেন। পরে ইসলামপুরে ফেরেন। পরে ইসলামপুরে গ্রন্থাগার মন্ত্রী বলেন, “এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল রায়গঞ্জেই হবে। দীপা দেবীরা আন্দোলনের নামে নাটক করছেন। তিনি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতেই তো পারেন। |
অহেতুক মিছিল করে যানজট সৃষ্টি করার মানে হয় না।” দীপা দেবী পাল্টা বলেন, “হাসপাতালের দাবিতে মিছিলকে রাজ্যের মন্ত্রীর নাটক বলে মনে হল? মন্ত্রী হিসাবে ওঁর এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করা উচিত নয়। আমাদের আন্দোলন ব্যর্থ করতেই উনি মিছিলের মধ্যে কনভয় নিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন বলে সন্দেহ হচ্ছে। জেলার মানুষ এর জবাব দেবেন।” রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরি নিয়ে রাজ্য সরকার টালবাহানা করছে অভিযোগ করে বুধবার থেকে জেলা জুড়ে আন্দোলনে নেমেছে কংগ্রেস। বুধবার কালিয়াগঞ্জ ও হেমতাবাদে মিছিল ও প্রতিবাদ সভার পরে এদিন ডালখোলায় ওই আন্দোলন হয়। পথসভায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতা এবং বৈষম্যের অভিযোগও তোলেন কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ। দীপা দেবী অভিযোগ করেন, “রাজ্য সরকার হাসপাতালটি রায়গঞ্জ থেকে অন্যত্র সরানোর ষড়যন্ত্রে নেমেছে। পূর্বতন রাজ্য সরকার জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করলেও নতুন রাজ্য সরকার অধিগ্রহণে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। অথচ হাসপাতাল তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ বরাদ্দও করেছে।” পথসভার পরে মিছিলে গ্রন্থাগার মন্ত্রীর কনভয় ঢুকে পড়াকে কেন্দ্র করে ‘চক্রান্ত’ বলে মনে করছেন জেলা কংগ্রেস নেতারা। জালখোলা পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুভাষ গোস্বামী বলেন, “করিম চৌধুরী ইচ্ছে করেই মিছিলের মধ্যে কনভয় নিয়ে ঢুকেছিলেন। কংগ্রেস কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে ভাঙচুর চালালেই ওঁর উদ্দেশ্য সফল হত। আমরা ওঁকে সেই সুযোগ দিইনি।” এদিন ডালখোলার জেলার সমস্ত স্তরের নেতৃত্ব হাজির থাকলেও গরহাজির ছিলেন কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক তথা রাজ্যের উন্নয়ন ও পরিকল্পনা দফতরের মন্ত্রী প্রমথনাথ রায়। তা নিয়ে কংগ্রেস কর্মী মহলেই জল্পনার সৃষ্টি হয়। জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ বলেন, “শুক্রবার গোয়ালপোখরে, ১২ নভেম্বর ইটাহারে, ১৩ নভেম্বর ইসলামপুর ও চোপড়ায় এবং ১৪ নভেম্বর রায়গঞ্জে মিছিল ও সভা হবে। জেলার সমস্ত নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত থাকায় কেউ কেউ আজ ডালখোলায় আসতে পারেননি।” |