টুকরো খবর
অণ্ণা-বিতর্ক উস্কে দিলেন মোহন ভাগবত
অণ্ণা হজারের আন্দোলনকে ফের সমর্থন জানাল আরএসএস। আজ কলকাতায় স্বয়ং আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত বলেছেন, “আমরা অণ্ণার সঙ্গে ছিলাম, আছি।” ভাগবতের এই মন্তব্যে ফের জোরদার হয়েছে অণ্ণা ও আরএসএসের যোগ নিয়ে বিতর্ক। ভাগবত বলেন, “অণ্ণার দুর্নীতি-বিরোধী আন্দোলনে আনুষ্ঠানিক ভাবে কেউ আরএসএসের সমর্থন চাননি। তবে কর্মীরা ব্যক্তিগত ভাবে অণ্ণার আন্দোলনে যোগ দিতে পারেন। এই বিষয়ে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই।” অণ্ণার আন্দোলনের পিছনে আরএসএসের উসকানি রয়েছে বলে বার বার দাবি করেছে কংগ্রেস। সম্প্রতি আবার এই অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ। অণ্ণা অবশ্য প্রথম থেকেই আরএসএসের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছেন। আজও তাঁর গ্রাম রালেগণ সিদ্ধিতে অণ্ণা বলেছেন,“আমার সঙ্গে আরএসএসের কোনও যোগ নেই। কংগ্রেস নেত্রী-সহ অনেকেই অনেক কথা বলেছেন। আমাকে নানা ভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে। মানুষ অণ্ণার প্রকৃত পরিচয় জানেন।”কিন্তু কংগ্রেস এই সুযোগ ছাড়তে রাজি নয়। মণীশ তিওয়ারির কথায়, “অণ্ণার সঙ্গে আরএসএসের যোগ নিয়ে সত্য প্রকাশিত হওয়া উচিত। এক পক্ষ বলছে তারা আন্দোলনকে সমর্থন করছে। অন্য পক্ষ বলছে সমর্থন নিচ্ছে না। এ যেন বেড়াল-ইঁদুর খেলা চলেছে। আরএসএস বলছে তারা অণ্ণার সমর্থক। অণ্ণা যদি মনে করেন তারা মিথ্যা বলছে তবে তা স্পষ্ট করে বলা উচিত।” এ দিকে বিহারের প্রস্তাবিত লোকায়ুক্ত বিল নিয়ে আজ সেবা যাত্রার ফাঁকে ‘টিম অণ্ণা’র মন্তব্য উড়িয়ে নীতীশ বলেন, “আমাকে কারওর কাছে সার্টিফিকেট নিতে হবে না।”

শীঘ্রই তিস্তা চুক্তি, আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর
তিস্তার জল বণ্টন নিয়ে শীঘ্রই একটি অর্ন্তবর্তী আন্তর্জাতিকই আশ্বাস দিয়েছেন মনমোহন সিংহ। মলদ্বীপের আড্ডু শহরে সার্ক সম্মেলনের পাশাপাশি হাসিনার সঙ্গে আজ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তিস্তার জলচুক্তি নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নের জবাবে মনমোহন বলেন, চুক্তির বিষয়টি সব পক্ষের কাছে সন্তোষজনক হওয়া দরকার। শুধু তিস্তা নয়, আরও যে সব নদী দু’দেশের মধ্যে বয়ে চলেছে, সেগুলির জল ভাগাভাগি নিয়েও মনোমালিন্য কাটাতে হবে। ভারত তাই সকলের সঙ্গে কথা বলেই বিষয়টি সমাধান করতে চাইছে। মনমোহন হাসিনাকে আশ্বাস দেন, যত শীঘ্র সম্ভব তিস্তার জল চুক্তি করতে তিনি বদ্ধপরিকর। আড্ডুতে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের এক অফিসার জানান, প্রায় আধ ঘণ্টা কথা বলেন মনমোহন ও হাসিনা। জল বণ্টন ছাড়া বাংলাদেশের আরও পণ্যকে শুল্ক ছাড়ের আওতায় নিয়ে আসা, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ সহযোগিতা, ঋণ সাহায্য-সহ নানা বিষয়ে কথা হয় দু’জনের। কথা হয়েছে ভারতকে ট্রানজিটের সম্মতিপত্র দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও। সেপ্টেম্বরে মনমোহনের ঢাকা সফরে তিস্তা চুক্তি না হওয়ায় বাংলাদেশও ট্রানজিটের বিষয়টি স্থগিত রাখে। তবে তার পরে বিষয়টি নিয়ে দু’দেশ কিছুটা এগিয়েছে। বাংলাদেশের আশুগঞ্জ বন্দর দিয়ে ত্রিপুরায় পালটানা বিদ্যুৎকেন্দ্রের কিছু বড় বড় সরঞ্জামও গিয়েছে।

রোহতাসে গুলির লড়াই, গ্রেফতার ছ’জন মাওবাদী
ঘণ্টাভর গুলির লড়াই চালিয়ে বিহারের রোহোতাস জেলার সুয়ারমানওয়ার জঙ্গল এলাকা থেকে ছ’জন কট্টর মাওবাদী জঙ্গিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে একজন মাওবাদী জোনাল কমিটির সদস্য। চন্দু বিশ্বকর্মা নামে ঝাড়খণ্ডের এক জঙ্গিও আছে। চন্দু অস্ত্র তৈরিতে দড় বলে রোহতাসের এসপি মনু মহারাজ জানিয়েছেন। গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে আজ পুলিশ ও সিআরপিএফের কোবরা বাহিনী এই যৌথ অভিযান চালায়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন মনু মহারাজ। জঙ্গিদের সঙ্গে প্রায় দু’ঘণ্টা গুলির লড়াই চলে। পুলিশ ১০০ রাউন্ডেরও বেশি গুলি চালিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই জঙ্গলে একটি অস্ত্র তৈরির কারখানাও তৈরি করেছিল। তার জন্য লেদ মেশিন পর্যন্ত বসানো হয়েছিল। ডিজিপি অভয়ানন্দ জানান, উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে একটি সেমি-অটোমেটিক রাইফেল, দু’টি লাইসেন্সড রাইফেল, ১৮ রাউন্ড কার্তুজ, একটি এস এল আর, কয়েকটি গুলিভর্তি ম্যাগাজিন, ২টি লেদ মেশিন, ডিটোনেটর, ২০টি ছেনি এবং প্রচুর পরিমাণে তরল বিস্ফোরক পাওয়া গিয়েছে।

বিচারব্যবস্থার সমালোচনা করুণানিধির
মেয়ে কানিমোঝির জামিন বারবার নাকচ হওয়ার পর, দেশের বিচারব্যবস্থা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন ডিএমকে প্রধান করুণানিধি। আগামী কাল টু জি মামলায় ধৃত প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী এ রাজা, কানিমোঝি-সহ ১৭ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হচ্ছে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে। তার আগে দলের মুখপত্রে করুণানিধি লিখেছেন, আদালত কাউকে তাঁর আইনসঙ্গত অধিকার থেকে বঞ্চিত করলে তা দেশের বিচার ব্যবস্থা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দেয়। তাঁর বক্তব্য, ‘আদালত বা বিচারব্যবস্থাকে দেশের গণতন্ত্রের স্তম্ভ হিসেবে ধরা হয়। আদালতই যদি কারও অধিকার দিতে ‘ইতস্তত’ করে, তবে তা দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন তোলে।’ দিল্লি হাইকোর্ট কানিমোঝির জামিনের আবেদনের শুনানি ডিসেম্বর পর্যন্ত পিছিয়েছে। তাই এই প্রবন্ধে ডিএমকে প্রধান লিখেছেন, তিনি ডিসেম্বর পর্যন্ত আশা জিইয়ে রাখছেন ‘ভাল খবরের’ জন্য।

চিন প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে বিঁধলেন যোশী
চিনের জুজু, চিদম্বরমের অপসারণ ও মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লড়াই চালাবে বিজেপি। সেই সঙ্গে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ বিলের বিরুদ্ধেও কড়া প্রতিবাদ জানানো হবে। আজ গুয়াহাটিতে এই কথা জানান বিজেপি নেতা তথা পিএসি চেয়ারম্যান, মুরলীমনোহর যোশী। তিনি বলেন, “চিন তিন দিক থেকে ভারতকে ঘিরে ফেলেছে। উত্তর-পূর্বের নিরাপত্তা ব্যাপক ভাবে বিপন্ন। চিন পরমাণু অস্ত্রও ব্যবহার করতে পারে। অথচ চিনের হামলা মোকাবিলা করার মতো পরিকাঠামো উত্তর-পূর্বে নেই।” যোশীর দাবি, চিন সিয়াচেনের অনেকটা দখল করে ফেলেছে। দখলদারি বাড়াচ্ছে লাদাখেও। দক্ষিণ শ্রীলঙ্কায় বন্দর গড়ে ভারত মহাসাগরকে কব্জা করতে চাইছে তারা। ভিয়েতনামে ভারতীয় জাহাজ পরিবহণেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে চিন। যোশির অভিযোগ, এরপরেও, ভারত কড়া মনোভাব নিচ্ছে না।

পুলিশের গুলিতে হত এক কার্বি জঙ্গি
যৌথবাহিনীর হানায় মারা গেল এক কার্বি জঙ্গি। পুলিশ জানায়, কেপিএলটি-র একটি ঘাঁটির খবর পেয়ে কাল রাতে অসম পুলিশ ও সেনা জওয়ানরা কার্বি আংলং জেলার মোহেন ইংতি গ্রামে হানা দেয়। প্রায় আধ ঘণ্টা দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ে মারা যায় এক জঙ্গি। উদ্ধার হয় একটি একে ৪৭, ও একটি .৩০৩ রাইফেল ও বেশ কিছু কার্তুজ।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.