|
|
|
|
আফস্পা তুলতে পারে রাজ্যই, বললেন ওমর |
সংবাদসংস্থা • জম্মু |
জম্মু-কাশ্মীরের কিছু এলাকা থেকে সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন (আফস্পা) প্রত্যাহার করার জন্য চাপ বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। গত কাল এক বৈঠকে সেনা-কর্তাদের এ ব্যাপারে চাপ দেওয়ার পরে আজ তিনি বলেন, আফস্পা তুলে নেওয়ার ক্ষমতা রাজ্য সরকারেরই রয়েছে।
তাঁর যুক্তি, “আফস্পার মতো আইন প্রত্যাহারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে রাজ্যপালকে। এ ক্ষেত্রে তিনি রাজ্য সরকারের পরামর্শ অনুযায়ীই তা প্রত্যাহার করে নিতে পারেন।” পাশাপাশি, এই বিতর্কিত আইন তুলে নেওয়ার ব্যাপারে সেনাবাহিনীর কাছ থেকে ‘সম্ভাব্য সমাধানসূত্র’ জানতে চেয়েছেন তিনি।
আফস্পা তোলার জন্য সম্প্রতি কেন্দ্রকে নানা ভাবে চাপ দিচ্ছেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী। তা নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর টানাপোড়েনও চলছে। রাজ্য কংগ্রেসের বক্তব্য, রাজ্যে তারা সরকারে শরিক হওয়া সত্ত্বেও তাদের সঙ্গে কোনও কথা না বলেই ওমর এক তরফা এ সব মত জানিয়ে চলেছেন। রাহুল গাঁধী রাজ্য সরকারের কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট নন, রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি সইফুদ্দিন সোজের এই মন্তব্য নিয়েও ওমরের সঙ্গে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এ দিন কংগ্রেস মুখপাত্র মণীশ তিওয়ারি বলেন, “আফস্পা তোলার ব্যাপারে রাজ্য সরকারের মত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর আগে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের ঐকমত্যে পৌঁছনো জরুরি।”
কালই রাজ্যের সংযুক্ত কম্যান্ডের সঙ্গে বৈঠকের পরে আফস্পা প্রত্যাহার নিয়ে সেনাকে কড়া বার্তা দেন ওমর। আর সেনার বক্তব্য, জম্মু-কাশ্মীরের কোনও কোনও এলাকা থেকে আফস্পা তুলে নিলে গোটা রাজ্যের পক্ষে তা ক্ষতিকর হতে পারে। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এর সুযোগ নিয়ে ফের মাথা চাড়া দিতে পারে। কিন্তু ওমর তাঁর অবস্থানে অনড়। তাঁর কথায়, “এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়, এমনটা হতে পারে না। তাই সেনা এ ব্যাপারে আমাদের সম্ভাব্য সমাধানসূত্র জানাক। এ ব্যাপারে গঠিত কমিটি তা বিবেচনা করবে।” ওমরের দাবি, দিন কয়েক আগে এক সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমও জম্মু-কাশ্মীরের কিছু এলাকা থেকে আফস্পা প্রত্যাহারের পক্ষেই সওয়াল করেন। |
|
|
|
|
|