এ কেরল সমুদ্রে ঘেরা কেরল নয়। এখানে পাওয়া যাবে না হাউসবোটের মতো প্রমোদতরী। নেই কোনও ব্যাক ওয়াটার।
কিন্তু মুন্নার যেন মর্ত্যে থেকেও স্বর্গের হাতছানি।
কাশ্মীরের তুষারপাত বা আপলর বাগান নেই। নাশকতার আশঙ্কাও নেই। তবু ‘দক্ষিণের কাশ্মীর’ মুন্নার।
এ হেন স্বর্গে যেতে হলে হাওড়া থেকে চেপে বসতে হবে এর্নাকুলামের ট্রেনে। সময় লাগবে মোটামুটি ৩৬ ঘণ্টা। তা ছাড়া, চেন্নাই থেকেও এর্নাকুলামের অহরহ ট্রেন রয়েছে। এর্নাকুলাম কেটিসি বাসস্ট্যান্ড থেকেও সরকারি বাসে চার-পাঁচ ঘণ্টায় পৌঁছে যাওয়া যায় মুন্নার। সমুদ্রতল থেকে উচ্চতা প্রায় ১৭০০ মিটার। যাত্রাপথে মাঝে-মাঝেই ‘হেয়ারপিন বেন্ড’ শিরদাঁড়ায় শিহরণ জাগানো চুলের মতো সরু বাঁক। একের পর এক। কুণ্ডলা, নাল্লাথানি ও মুদ্রাপূজা নদী গিয়েছে মুন্নারের বুক চিরে। চারদিকে মনোরম অফুরন্ত চা বাগান। মাঝে-মাঝে লাফিয়ে নামছে পাহাড়ি ঝরনা। অভ্যর্থনা জানাচ্ছে হরেক রকম ফুল।
পৌঁছে একটু জিরিয়ে নেওয়া। তার পরে বেরিয়ে পড়া। বাসে তিনশো টাকা, সাতশো থেকে হাজার টাকায় অটো বা ট্যাক্সি ভাড়া করেও দেখে নেওয়া যায় দর্শনীয় স্থানগুলি। প্রধান আকর্ষণ মাডুপেট্টি হ্রদ। এক দিকে বাঁধ, অন্য দিকে বোটিংয়ের ব্যবস্থা। বোট পিছু খরচ ঘণ্টায় দেড়শো টাকা। কুণ্ডলা নদীর পাড়ে রয়েছে ‘ইকো পয়েন্ট’, তার রোমাঞ্চই আলাদা। জোরে কথা বললেই নদীর অপর পার থেকে ফিরে আসে প্রতিধ্বনি। আর, রসনার আকর্ষণ কমলা গাজর বা নুন লঙ্কা সহযোগে টক আনারস। সব মিলিয়ে চেনা জীবন হঠাৎই অচেনা। |
লিখুন অনধিক ৩০০ শব্দে। খামে ‘পুজো এক্সপ্রেস’ লিখে পাঠিয়ে দিন
আনন্দবাজার পত্রিকা,
এ ১০, ডক্টরস কলোনি, সিটি সেন্টার,
দুর্গাপুর - ৭১৩২১৬।
অবশ্যই দেবেন ছবি (নিজেদের বাদে)। ছবি মেল করতে চাইলে: durgapuredit@abp.in
(লেখা নির্বাচনে সম্পাদকীয় বিভাগের বিবেচনাই চূড়ান্ত) |
|