লক্ষ্মণদের মেডিক্যাল নিয়ে নয়া নথি তলব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
হলদিয়ার বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ‘আইকেয়ার ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চ’ (আইআইএমএসআর)-এর ভবিষ্যৎ বুধবারেও নির্ধারিত হল না। মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া (এমসিআই) জানিয়ে দিয়েছে, তারা এ বার পশ্চিমবঙ্গ সরকার, রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় ও ডেন্টাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার কাছে হলদিয়ার মেডিক্যাল কলেজ সংক্রান্ত কাগজপত্র চেয়ে পাঠাবে। তার পরে, আগামী ১৪ নভেম্বর এমসিআইয়ের বৈঠকে ওই কলেজের ভাগ্য নির্ধারণ হতে পারে। হলদিয়ার প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ কলেজটির পরিচালন কমিটির সভাপতি। এমসিআইয়ের সচিব সঙ্গীতা শর্মা এ দিন জানান, কোনও মেডিক্যাল কলেজ চালু করার আগে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার একটি শংসাপত্র দিয়ে থাকে। তাতে বলা হয়, ওই কলেজ নিয়ে কোনও সমস্যা হলে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের দায়িত্ব নেবে রাজ্য সরকারই। এমসিআই পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দফতরের কাছে সেই সব নথিপত্র চেয়ে পাঠাচ্ছে। সঙ্গীতাদেবী বলেন, “কী কী দেখে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় ওই মেডিক্যাল কলেজকে ছাড়পত্র দিয়েছিল, আমরা তা-ও জানতে চেয়েছি। ডেন্টাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার কাছে ওই কলেজ কী কী তথ্য পাঠিয়েছিলেন, তা-ও চেয়ে পাঠানো হচ্ছে।”
|
শিশু-মৃত্যু, তৈরি হল তদন্ত কমিটি |
মহকুমা হাসপাতালে নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় মহকুমাশাসকের নির্দেশে তৈরি হয়েছে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি। সোমবার সকালে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে এগরা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন নমিতা দাস। তাঁর অভিযোগ, “যন্ত্রণা শুরু হওয়ায় নার্সদের ডাকা হয়েছিল। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্সরা বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি। ওয়ার্ডে থাকা চিকিৎসক ও জরুরি বিভাগে থাকা চিকিৎসক কেউই পরীক্ষা করতে আসেননি।” এরপরেই ওই রাতে দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই চিকিৎসক হিমাদ্রী নায়ক ও দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায় ও কর্তব্যরত দুই নার্স অঞ্জলি দাস ও শুভ্রা দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন নমিতাদেবী এবং তাঁর পরিবারের লোক। মহকুমাশাসক রত্নেশ্বর রায় বলেন, “সুপারকে বলা হয়েছে ১১ নভেম্বরের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ওই রিপোর্ট রোগী কল্যাণ সমিতিতে আলোচনা করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” সুপার প্রিয়তোষ জানা বলেন, “অভিযুক্ত দুই চিকিৎসক এবং নার্সের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে।” |