টুকরো খবর |
মিসড্ কলের জেরে বোমা বৃষ্টি, আহত ৩
নিজস্ব সংবাদদাতা, রঘুনাথগঞ্জ |
মোবাইলে মিসড কল দেওয়া নিয়ে দুই পরিবারের বিবাদের জেরে বুধবার সকালে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল সুতির জগতাই গ্রাম। হাতাহাতি, ইট ছোড়াছুড়ি এবং ক্রমে বোমা বৃষ্টি শুরু হয় দু পক্ষের মধ্যে। তাতেই আহত হয়েছেন তিন জন গ্রামবাসী। পরে সুতি থানা থেকে বড়সড় পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আটক করা হয় এক জনকে। তবে পুলিশ জানায়, এ নিয়ে কোনও তরফেই লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জগতাই গ্রামেরই এখ যুবক তাঁর পড়শি এক তরুণীকে প্রায়ই মোবাইল থেকে ‘মিসড কল’ দিত। বিবাহিত ওই দু-জনের মধ্যে কি কোনও সম্পর্ক গনে উঠেছিল? স্পষ্ট উত্তর মেলেনি। তবে এ নিয়ে যে দুই পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমেই তিক্ত হচ্ছিল তা পড়শিরাই জানিয়েছেন। এ নিয়ে দু-একবার প্রতিবাদও কার হয়। কিন্তু ‘মিসড কল’ বন্ধ হয়নি। মঙ্গলবারও বার কয়েক ওই ঘটনার ঘটে বলে অভিযোগ। তরুণী বাড়ির লোকের কাছে ওই ঘটনা জানালে রাত্রে ওই যুবকের বাড়িতে যান তরুণীর বাবা। এ নিয়ে এক দফা হাতাহাতিও হয়। বিরোধ মেটাতে বুধবার সকালে সালিশি ডাকা হয়। কিন্তু সালিশি শুরুর আগেই দুই পরিবারের মধ্যে ফের হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। এই সময়ে বোমা পড়তে তাকে। সুতি থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। গ্রামেরই মোড়ল আজাহার হোসেন বলেন, “গ্রামেরই দুই পরিবারের মধ্যে সামান্য কারণে বিবাদ মেটাতে দু-পক্ষকেই এ দিন ডাকা হয়। কিন্তু সেই সালিশি শুরু আগেই শুরু হয়ে যায় অশান্তি। পরে পুলিশ এসে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনে।” ওই তরুণীর বাবা আফসার শেখ বলেন, “প্রতি নিয়ত মিসড কল করে মেয়েকে বিরক্ত করা হচ্ছিল। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলেও কথা শোনেনি ওই যুবক। তাই সালিশি সভা ডাকা হয়। কিন্তু সালিশি ভেস্তে দিতেই অশান্তি করে তারা।”
|
বিদ্যুৎ বিল বকেয়া, বন্ধ কল্যাণী, হাবরা স্পিনিং মিল
নিজস্ব সংবাদদাতা • কল্যাণী |
বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের জন্য কল্যাণী স্পিনিং মিলের বিদ্যুতের লাইন কেটে দিল রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা কারখানায় গিয়ে লাইন কেটে দেওয়ায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদ্যুতের বিল কয়েক লক্ষ টাকা বাকি রয়েছে। বারবার বলা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ বিল না মেটানোয় পদ্ধতি অনুযায়ী লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই একই কারণে উত্তর ২৪ পরগনার হাবরার স্পিনিং মিলেও উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
এ দিকে বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়ায় রুগ্ণ হিসাবে চিহ্নিত এই সরকারি কারখানাটি কার্যত বন্ধই হয়ে গেল। কারখানা সূত্রের খবর, এর জেরে কারখানাটিতে বর্তমানে কর্মরত সাড়ে পাঁচশ শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়লেন। এ ব্যাপারে কারখানা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে ওই কারখানায় রাজ্য সরকার নিযুক্ত মনিটারিং কমিটির চেয়ারম্যান ও শান্তিপুরের বিধায়ক অজয় দে বলেন, “কল্যাণী এবং হাবরা এই দু’টি স্পিনিং মিলে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়ার ব্যাপারে বিদ্যুৎমন্ত্রী মণীশ গুপ্তর সঙ্গে কথা হয়েছে। সমস্যা মিটিয়ে যাতে কারখানা শীঘ্র চালু করা যায় সে ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে।
|
‘প্রত্যাহারের’ হুমকি নিছকই ‘হুমকি’, বলছেন অধীর
নিজস্ব সংবাদদাতা • কান্দি |
হুমকির বদলা পাল্টা হুমকি। পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির পরে ডিজেল, রান্নার গ্যাস কিংবা কেরোসিনের দাম বাড়ানো হলে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার থেকে তাঁরা যে বেরিয়ে আসতে ‘বাধ্য’ হবেন বলে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বুধবার দুপুরে, মমতার সেই ‘হুঁশিয়ারি’-কে পাল্টা কটাক্ষ করেন মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস সভাপতি ও বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী। এ দিন মুর্শিদাবাদের কান্দিতে ‘কৃষি আন্দোলনে’র সূচনা করে অধীর বলেন, “ও সব হুমকির দৌড় জানা আছে। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল সমর্থন প্রত্যাহার করলেই বা কী, না করলেই বা কী!” মুখ্যমন্ত্রীর এই অবস্থানকে (সমর্থন প্রত্যাহার) দলের একাংশ ‘চরম হুঁশিয়ারি’ বলে ব্যাখ্যা করলেও, তাঁরা যে সরকার ছেড়ে বেরোবেন না তা মমতা জানিয়ে রেখেছেন। দিল্লিতে, মঙ্গলবার তৃণমূলের সাংসদেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ তৃণমূলের মন্ত্রী-সাংসদদের জোট ছেড়ে না যাওয়ার জন্য আন্তরিক আবেদন জানান। এ দিন কান্দিতে অধীরবাবু তৃণমূলের ‘হুমকিকে’ গুরুত্ব দেননি। কটাক্ষের পাশাপাশি ধান-পাট চাষিদের ‘স্বার্থ’ দেখা হচ্ছে না বলে রাজ্যের সমালোচনা করেন তিনি। বলেন, “কেন্দ্র ধানের নির্ধারিত মূল্য কুইন্ট্যাল প্রতি ১০৮০ টাকা বেঁধে দিলেও এ রাজ্যে চাষিরা সেই দাম পাচ্ছে না। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী তাদের কাছে স্বল্প মূল্যে চাল কিনে চলেছে। অথচ রাজ্য সে দিকে নজর নেই।’’ সারের কালো বাজারি কিংবা কৃষি ক্ষেত্রে বিদ্যুতের দুরবস্থা নিয়েও রাজ্যকে বিঁধতে ছাড়েননি তিনি। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান। মান্নানও প্রায় একই সুরে তৃণমূলের সমালোচনা করেন। মান্নান বলেন, ‘‘আমরা কলকাতাকে লন্ডন কিংবা উত্তরবঙ্গকে সুইৎজারল্যান্ড করতে চাই না। আমরা চাই রাজ্যের কৃষকেরা ভাল থাকুক। ধানের ন্যায্য মূল্য পান।”
|
নির্বিঘ্ন বন্ধ, ঘুরে গেলেন মুকুল
নিজস্ব সংবাদদাতা • রানাঘাট |
নিহত তৃণমূল সমর্থক দেবব্রত ভদ্র খুনে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মকুল রায়। বুধবার দুপুরে চাকদহের জগন্নাথপুর গ্রামে গিয়ে জাহাজ প্রতিমন্ত্রী স্পষ্টই বলেন, “পুলিশ সতর্ক থাকলে হয়ত ওই তৃণমূল কর্মীকে প্রাণ হারাতে হত না। এ ব্যাপারে পুলিশ-প্রশাসনের উপরে স্থানীয় মানুষের ক্ষোভ রয়েছে। তবুও মানুষকে বলব প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করুন। আইন হাতে তুলে নেবেন না।” দলের অন্যান্য নেতাদের মতো মুকুলবাবুও দেবব্রত ভদ্র খুনের পিছনে সিপিএমকেই দুষলেন। তাঁর মন্তব্য, “তাঁকে বাইরের লোক দিয়ে খুন করিয়েছে সিপিএমই। ওরা খুন করে, বিশৃঙ্খলা তৈরি করে উন্নয়ন আটকাতে চাইছে।” দেবব্রতবাবু খুনের প্রতিবাদে বুধবার দুবরা পঞ্চায়েত এলাকায় ১২ ঘণ্টার বন্ধের ডাক দিয়েছিল তৃণমূল। এলাকায় দোকানপাট বন্ধ থাকলেও সামান্য কয়েকটি গাড়ি চোখে পড়েছে। তবে নির্বিঘ্নে পেরিয়ে আসা বন্ধ নিয়ে কোনও অভিযোগ তোলেনি বিরোধীরাও। তৃণমূল বিধায়ক নরেশ চাকী বলেন, “এলাকার মানুষ স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে বন্ধে সামিল হয়ে সিপিএমের সন্ত্রাসের প্রতিবাদ করেছেন।” পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। জেলার পুলিশ সুপার সব্যসাচী রমণ মিশ্র বলেন, “আরও দু’জনের খোঁজ চলছে।”
|
রাসে এক টুকরো মিশর
নিজস্ব সংবাদদাতা • করিমপুর |
|
ছবি: কল্লোল প্রামাণিক। |
শীতের সন্ধ্যায় একটুকরো মিশর দেখতে চান? তাহলে আপনাকে স্বাগত করিমপুরের মানিকপুরের রাসের মেলায়। ১৭ বছর আগে শুরু এই মেলায় এ বারের থিম মিশর। মূল মণ্ডপ তৈরি হয়েছে পিরামিডের আদলে। মণ্ডপের ভিতরে ও বাইরে থাকছে মমি, ফ্যারাওদের মডেল। মানিকপুর রাস উৎসব কমিটির উদ্যোক্তাদের কথায়, “প্রতিবছরই রাস উপলক্ষে এখানে বিরাট মেলা বসে। মেলা দেখতে অনেক দুর থেকে মানুষ আসেন। টানা ১৩ দিন ধরে এই মেলা চলে। প্রায় শ’দেড়েক দোকান বসে এই মেলায়। রাস উৎসব কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা লক্ষ্মণ মণ্ডল ও সাধন সাহা বলেন, ‘‘প্রতি বছরই এই মেলায় দর্শকদের জন্য কিছু না কিছু চমক থাকে। এবারে থাকছে পিরামিড ও ভৌতিক কাণ্ডকারখানা। মানিকপুরের শশ্মানের কাছেই থাকছে বেশ কিছু কঙ্কালের মডেল। আলো ও শব্দের ব্যবহারে সেই কঙ্কালদের কাণ্ডকারখানা দেখলে রীতিমত গা ছমছম করবে। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি কমিটির নিজস্ব প্রায় ৩০০ জন স্বেচ্ছাসেবী এখানে উপস্থিত থাকেন। মেলাতে এসে দর্শনার্থীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সে দিকেও বিশেষ খেয়াল রাখা হয়।’’
|
সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষ বড়ঞায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • কান্দি |
গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে বুধবার বড়ঞার খরজুনা বাসস্ট্যান্ডে সিপিএম ও তৃণমূল সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ জানায় মানিক শেখ নামে এক সিপিএম সমর্থক পূর্ত দফতরের জায়গায় থাকা একটি গাছ কাটছিলেন। স্থানীয় তৃণমূল সমর্থক সাবের আলি তাঁকে বাধা দিতে গেলে বচসা শুরু হয়। সেখান থেকে হাতাহাতি ও বোমাবাজিও হয়। সাবের আলি বলেন, ‘‘সরকারি জায়গার গাছ কাটছিল সিপিএমের লোক জন। বাধা দিতে গেলে বোমাবাজি শুরু করে।’’ সিপিএম নেতা আব্দুল বারি শেখ বলেন, ‘‘আমাদের এক সমর্থকের বাড়ির সামনের গাছ কাটার ক্ষেত্রে স্থানীয় মানুষদের কোনও আপত্তিও ছিল না। তার পরেও কেন এত অশান্তি বুঝতে পারছি না। বোমাবাজিতে রয়েছে দুই তরফই।” |
|