ক্রিকেটের প্যারাডাইস লস্ট! সেই অতি লোভে জ্ঞানবৃক্ষের ফল পেড়ে খেয়ে আদম-ইভের যা পরিণাম হয়েছিল। ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় পূজারি নিমেষে ধর্মচ্যুত হতেই ক্রিকেট যেন নিমেষে তাঁকে দেওয়া অভীষ্ট সিদ্ধির বরদান প্রত্যাহার করে নিল। জন মিল্টন বেঁচে থাকলে আবিষ্কার করতেন, ইন্টারনেটের গদ্যময় যুগেও বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে জীবন আর মহাকাব্যের সীমানা আজও অলৌকিক ভাবে খণ্ড খণ্ড হয়ে যায়।
কী এমন ক্ষণিকের পাপে আলিঙ্গনাবদ্ধ হয়েছিলেন সচিন তেন্ডুলকর যে, ব্যাটিংয়ের এমন ঐশ্বর্যশালী মেজাজেও শততম সেঞ্চুরির তাজ মাত্র ২৪ রানের জন্য অধরা থেকে গেল? আড়াআড়ি পুল মারতে গিয়ে মিস করা একটা বল তাঁর পিছনের পায়ের ভেতর দিকের গোছে লেগেছিল। অনিবার্য পরিণতি স্কোরকার্ডে থাকল। এলবিডব্লিউ বোল্ড দেবেন্দ্র বিশু ৭৬।
কিন্তু স্কোরবোর্ডের শুকনো হিসেব আর কবে বাঙ্ময় হয়ে অন্তর্লীন ব্যাপারস্যাপারকে বোঝাতে পেরেছে! দ্রুত বলে রাখা উচিত তেন্ডুলকর এমন কিছু করেননি যা সচরাচর হয় না। বরং এটাই স্বভাবসিদ্ধ যে, টিম নিশ্চিন্ত অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে এমন বেদি তৈরি হওয়ার সময় যদি পাশে নিজের ব্যক্তিগত মূর্তিপুজোর সুযোগ থাকে, সবাই সমান্তরাল ভাবে সে দিকে মনোযোগ দেয়। পরেরটাতে বেশি দেয়। বেঙ্গালুরুতে শ্রীলঙ্কাকে হারানোর সময় কপিল দেবের শেষ দু’টো উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড তৈরির সুযোগ ছিল। |
কপিল যতক্ষণ না উইকেট পাচ্ছেন, উল্টো দিক থেকে অনিল কুম্বলে টানা বাইরে বাইরে বল করে গিয়েছিলেন। কয়েক বছর বাদে কোটলায় একই ভাবে কুম্বলের পাশে দাঁড়ান জাভাগল শ্রীনাথ। কুম্বলের সেই ঐতিহাসিক দশ উইকেট পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত শ্রীনাথও বন্ধুর জন্য নাগাড়ে বাইরে বাইরে বল করেছিলেন। না কপিল। না কুম্বলে। এঁরা যতই বরাবরের আদর্শ টিমম্যান হোন না কেন, কখনও এসে ত্যাগী বোলারকে বলেননি এতটা মহানুভব হয়ো না। টিমের জেতা সবার আগে। সেটা হয়ে যদি পাশাপাশি আমারও ভাল কিছু হয় সেটা স্বাভাবিক ভাবে হতে দাও।
কিন্তু সচিনের বেলা যে নিয়মটা বরাবর আলাদা। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি সে দিনও বলছিলেন, “ক্রিকেট যদি রাম হয়, সচিন হল হনুমান। রামের সবচেয়ে বড় ভক্ত।” ধোনি যেটা বলেননি, হনুমান অনন্ত ধর্মভীরু। জুয়াড়িদের নিজের জীবন থেকে দূরে রাখাটাখা তো তেন্ডুলকরদের পারিবারিক মূল্যবোধই নিশ্চিত করে দিয়েছে। কিন্তু প্রবল ব্যক্তিগত মূল্যবোধ হল, ক্রিকেটের সঙ্গে বাণিজ্যিক বা সামাজিক অন্য যে কোনও রকম দৃষ্টিকোণ মেশাতে গেলেই ক্রিকেট রুষ্ট হয়। সেই বোধ থেকে আজও সিরিজ চলাকালীন মডেলিং করেন না। বাণিজ্যিক চুক্তিটুক্তিতে সই করেন না। বিশ্বের আর কোনও ক্রিকেটার এ ভাবে ভাবেন না। সচিন ভাবেন। ধর্মবিশ্বাসে গোঁড়া বললে কম বলা হয়। বুধবার ধরে তিন ঘণ্টা একুশ মিনিটের যে চতুর্থ ইনিংসের ব্যাটিং করলেন, তা তাঁর ক্রিকেটজীবনের সিভি-তে খুব তাৎপর্যপূর্ণ। মাঝেমধ্যেই কথা ওঠে, সচিন রান করলে ভারত সেই ম্যাচ জেতে না। আর কখনও নাকি চাপের মুখে চতুর্থ ইনিংসে দাঁড়ান না। কোটলার অখাদ্য ট্র্যাকে ম্যাচ জেতানো ইনিংসের পরেও অভিযোগগুলো বিলুপ্ত হবে বলে মনে হয় না। অথচ পাঁচ উইকেটে রীতিমতো লড়ুয়ে জয় থেকেই পরিষ্কার সচিনের ইনিংসটা বাদ দিলে কী ভরাডুবি অপেক্ষা করে ছিল! টানা পাঁচ টেস্ট হেরে গেলে তখন তোলপাড়, জগঝম্প আর অভিযোগের আলকাতরা লেপা শুরু হয়ে যেত সিরিজের উদ্বোধনী টেস্ট থেকেই। ধোনির মতো আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখার সেরা শিক্ষক অবধি উচ্ছ্বসিত হয়ে টেস্টের পরে হাসছেন। এই হাসিটা টিম ইন্ডিয়ার নরকবাস থেকে উদ্ধার পাওয়ার শ্রেষ্ঠ প্রতীক! |
সমস্যা হল, ধোনি হাসছেন কিন্তু সেই হাসিতে দেশের মানুষের অংশগ্রহণ নেই। সচিন আউট হওয়া মাত্র দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যা প্রতিক্রিয়া উদ্ভূত হল! কোটলা যেমন শোকার্ত চাদরে নিজেকে ঘোর নিমজ্জিত করে ফেলল, তাতে মনে হল ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে এমন ক্ষণ প্রথম এল দীর্ঘ ঊনআশি বছরে।
ভারতের গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট জয় এবং সেই টেস্ট-কেন্দ্রিক রাষ্ট্রীয় শোক!
সকাল থেকেই কোটলা দর্শকদের একটা অংশ চাপা কৌতুকে ব্যস্ত। আজ সচিনকে যত না স্যামিরা আউট করতে চাইবে, তার চেয়ে বেশি চাইবে কলকাতার লোক। শকুন হয়ে সব ক’টা উড়ছে যাতে সেঞ্চুরিটা ইডেনে হয়। প্রেসবক্সের নীচের এনক্লোজারে যাঁরা এ সব বলছেন, তাঁরা জানতেন না, কাছেপিঠে মুম্বইকররাও যে আছেন। আরও আশ্চর্য মুম্বইকরদের মধ্যে দুই সর্দারজি। এঁরা মুম্বইয়ে থাকেন। ঘোর ক্রিকেটভক্ত। সম্মিলিত আওয়াজ তুললেন, ইডেন কী করেছে সচিনের জন্য যে, এত বড় রেকর্ড ওরা পাবে? সচিনকে গড়েছে মুম্বই। মুম্বই বরং শেষ টেস্টে ঘরের ছেলের ইতিহাসে মিশে যাওয়া দেখুক। এটা যদি বিহ্বল করে দেওয়া হয়, তা হলে আউট-পরবর্তী কাতরতাকে কী বলব! অসম থেকে উৎসাহী ফোন করলেন, “ভূপেন হাজরিকার মারা যাওয়ার রেশ আজও গুয়াহাটি জুড়ে। দোকানপাট প্রায় বন্ধ। এর ওপর ডাবল শক সচিন। গুয়াহাটি তো স্তব্ধবাক হয়ে যাবে।” ইডেনে সচিনের মহাকীর্তি উদয় হওয়ার সম্ভাবনায় ঝকমক করবেন, তা নয়। সচিন-ভক্ত মহিলা ফিল্ম প্রযোজক টেক্সট করলেন, ‘ধুর, মনটাই খারাপ হয়ে গেল। কারও পৌষ মাস কারও সর্বনাশ।’ মুম্বই থেকে সচিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু পুণে এক্সপ্রেস ওয়েতে থাকার সময় রেডিওতে আউটের খবরটা পেয়েছেন। ফোনে গলা শুনে মনে হল পারিবারিক কোনও বন্ধু মারা গিয়েছে। “ছি ছি ছি, কেন তুমি অত কাছে গিয়ে ওই শটটা খেলবে সচিন! তোমার তো এমনিতেই রানটা এসে যেত,” বললেন তিনি। অতীতে এঁদের মুখেই কত শুনেছি, দিল্লি-মুম্বই ঘোর ক্রিকেটীয় সংঘাতের কথা। দিল্লি যে প্রথমে সচিনকে স্বীকৃতি দিতে চায়নি সেই সব। আজ দিল্লির মাঠ কীর্তিতে সম্মানিত হত, একই সঙ্গে সেই সব দৃষ্টিকোণ অদৃশ্য। একটাই পরিতাপ। আবার হল না। আজ নিয়ে ১৪টা ইনিংস তো এই ভাবে খরা গেল।
গোটা ব্যাপারটাই কেমন অস্বাভাবিক আর আবেগসর্বস্ব। টেস্ট সেঞ্চুরি কি বলে বলে করা যায় নাকি? বোলিং হলে তাও বোলার পাঁচ উইকেট নেওয়ার জন্য আড়াইশো বল পেতে পারে। হয়তো তার মধ্যে ২৪৫ ডেলিভারিতে কাজ হল না। কিন্তু বাকি ৫ ডেলিভারির সব ক’টায় সে উইকেট পেল। ব্যাটসম্যানের তো সেই সুযোগ নেই। তাঁর জন্য ক্রিকেট নিয়তি-সদৃশ। একটা বড় ভুল করেছ কী পরপারে।
আজকের চেয়ে বড় নমুনা আর কী হতে পারে। কাল সচিন আর দ্রাবিড়ের ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছিল, নিষ্ঠাবান ক্রিকেট-ছাত্র। পরিস্থিতি ও পরিবেশকে সম্মান দিয়ে বিনম্র পড়ে আছেন। আজ খুব দ্রুত সচিন আবিষ্কার করেন, ম্যাচের আগে কাটা ঘাসগুলো আবার গজিয়ে গিয়ে এবং রোদ্দুর পেয়ে পিচ সামান্য ভাল। বোঝা মাত্র ‘বিনম্র শিক্ষার্থী’ থেকে তিনি ‘সচিন তেন্ডুলকর’ হয়ে গেলেন। গুটিপোকা থেকে যেমন প্রজাপতি বার হয়ে আসে। আজও সেই সোজা সোজা। আড়াআড়ি নয়। কিন্তু এমন রাজসিকতার সঙ্গে ড্রাইভগুলো ঠিকরোচ্ছে যে, দ্রাবিড়কে দুর্দান্ত ইনসুইঙ্গারে বোল্ড করেও ফিডেল এডওয়ার্ডস মঞ্চে উঠতে পারছেন না। আজ ফিডেলরা নীচেই দাঁড়াবেন ভগ্ন হৃদয়ে। আর সেঞ্চুরিটা অব্যর্থ হচ্ছেই এমন বিশ্বাস তখন টিভি-র মাধ্যমে কোটলার বহিরঙ্গেও পৌঁছে গিয়েছে। দেশজোড়া লোক উত্তেজিত, উৎসাহী আর কেমন উৎকণ্ঠিত টুইটার-ফেসবুক খুললেই দেখা যাচ্ছে।
শুধু তো সমর্থকদের আবেগ নয়। কোটি কোটি টাকার বাণিজ্যিক লগ্নিও রেকর্ডারে ‘পজ’ বাটনের মতো স্রেফ এই মুহূর্তটার জন্য চেপে রাখা হয়েছে। ঠান্ডা পানীয় কোম্পানির তাঁকে ঘিরে শহরে শহরে বিশাল কাটআউট। সচিনের ওপর লেখা নতুন দু’টো বই। টিভি শো। বিজ্ঞাপন ক্রোড়পত্র সব থমকে আছে। সেঞ্চুরিটা শুধু হলেই ‘প্লে’ বাটনটা টিপে দিতে হবে। ২৭৬-র মতো কঠিন স্কোর কোটলার উইকেটে তাড়া করে ভারত ম্যাচ জেতার উপক্রম করছে। সচিন এত নৈপুণ্য দেখাচ্ছেন কিন্তু সে দিকে কারও হুঁশই নেই। যেন জেতাটা আসলের উপর সুদ। আসল সচিনের তিন অঙ্কে পৌঁছনো।
সমস্যা হয়ে দাঁড়াল, আজ টার্গেট যেহেতু মাত্র ১২৪। তার ভেতর বাকি ৬৭ সচিনকে তুলতে হবে। টিমের শতকরা ৫৬-৫৭ শতাংশ রান করতে হবে। একটা সময় দাঁড়াল, দলের চাই ৮৬। তার ভেতর সচিনকে একাই করতে হবে ৫০। ভিভিএস লক্ষ্মণ এক-একটা বাউন্ডারি মেরে দিচ্ছেন আর সচিনের জন্য সেই আস্কিং রেটটা বেড়ে চলে যাচ্ছে শতকরা ৬০-৬৫ শতাংশে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে তখন সচিনভক্তদের আক্রোশ আছড়ে পড়ছে লক্ষ্মণের ওপর। কেন তুমি ওকে রানগুলো করতে দিচ্ছ না? এটাও অদ্ভুত। লক্ষ্মণ ইংল্যান্ডে রান করেননি। এখানে প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ। তাঁকেও তো নিজের নিরাপত্তা, দলের স্বার্থ এ সব ভাবতে হবে। অগ্রাধিকার তালিকায় তিন নম্বরে আসে সচিনের সেঞ্চুরি। কিন্তু আজ কে শুনছে সে সব?
টিমের আর ৪৩ রান চাই। সচিনের চাই ২৪। এই অবস্থায় লক্ষ্মণ এগিয়ে গেলেন নন-স্ট্রাইকারের দিকে। নতুন করে কথা হল। কিছু আগেই অবশ্য স্বচ্ছ হয়ে গিয়েছে লক্ষ্মণ আর বাউন্ডারি মারবেন না। সিঙ্গলস নিয়ে স্ট্রাইক দেবেন। সমস্যা একটাই। লক্ষ্মণের টাইমিং এত ভাল, তিনি ডিফেন্স করলেও বল চার-এ চলে যাচ্ছে। সেঞ্চুরি চাইলে সচিনকে ঝুঁকি নিতেই হবে। আড়া খেলতে হবে। আর শুধু টিম ভাবলে, যেমন চলছে সেটাই উৎকৃষ্ট।
এই সচিন ইনিংসে প্রথম আড়া মারতে শুরু করলেন। শততম সেঞ্চুরির চাপ তাঁকেও কেমন কুণ্ঠিত আর অসহায় রেখেছে তার পরিষ্কার জলছবি এই সময় ফুটে ওঠা শুরু হল। এতক্ষণে সম্বিত হারিয়ে শুরু করলেন সেঞ্চুরির ব্যাকুল তাড়াহুড়ো। ভয় পাছে দল না সেঞ্চুরির আগে জিতে যায়। এর পর একটা সুইপ ঠিক মতো ব্যাটে না লাগায় বেঁচে গেলেন। কিন্তু সেই ওভারেই তো চালাতে গিয়ে আউট। এখানেই তাঁর স্বধর্ম-বিচ্যুতি ঘটল। নিজের স্বার্থ অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে কোথাও সার্বিক লক্ষ্যকে পিছনে ঠেলা। আবার লিখছি, অহরহ এ সব ঘটে। কিন্তু সেরা পুণ্যার্থীর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হল, তাঁর কাছ থেকে এমন কিছু এলে ক্রিকেটদেবতা বরদাস্ত করেন না। এটা লিখতেও কেমন অবাস্তব লাগছে। কিন্তু জীবনের মতো ক্রিকেটেরও বোধহয় কিছু কিছু ব্যাখ্যা অমীমাংসিতই থাকে। সচিনের বন্ধুদেরও বহু দিনের ধারণা, তেন্ডুলকর এমনই প্রিয় ভক্ত যে, তাঁর মহাকীর্তিতে সামান্যতম ডিজাইনার আঁচড়ও ক্রিকেট-ঈশ্বর মেনে নেন না। আধিদৈবিক এই সব কথাবার্তায় যদি কারও সামান্যতম আস্থাও থাকে, বলটা মিস করার ছোবল ক্রিকেট-ঈশ্বরের হস্তক্ষেপেই ঘটল!
ঘটনা-পরবর্তী গভীর জাতীয় শোক এবং তাৎপর্যপূর্ণ জয়েও সম্পূর্ণ অনীহা প্রকাশকারী জনগণ। বিরল এই সামাজিক দিকচিহ্ন মহাকাব্য না হোক, ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে তো লিপিবদ্ধ হয়ে গেল। কখনও দ্বিতীয় বার ঘটবে বলে মনে হয় না।
আর পরের অংশটা তো এমনিতেও ‘প্যারাডাইস লস্ট’-কে ধাওয়া করার কথা নয়। আদম-ইভ চিরবিতাড়িত হয়েছিল ঈশ্বরের উদ্যান থেকে। তিনিতেন্ডুলকর তো আবার নতুন করে সাজাবেন তাঁর অঞ্জলির ডালা।
ইডেন না হোক... ওয়াংখেড়ে... ওয়াংখেড়ে না হোক এমসিজি... এমসিজি না হোক অ্যাডিলেড। যেমন ফিট এবং ক্ষুধার্ত দেখাচ্ছে নতুন মরসুমে, ক্রিকেটদেবতাও কি পারবেন মুখ ফিরিয়ে থাকতে... তাঁর সেরা পুণ্যার্থী বলে কথা...!
|
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস: ৩০৪ ভারত প্রথম ইনিংস: ২০৯
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংস: ১৮০
ভারত দ্বিতীয় ইনিংস (আগের দিন ১৫২-২)
|
দ্রাবিড় বো ফিডেল এডোয়ার্ডস ৩১
সচিন এলবি ডব্লিউ বিশু ৭৬
লক্ষ্মণ নঃআঃ ৫৮
যুবরাজ বো স্যামি ১৮
ধোনি নঃআঃ ০
অতিরিক্ত ১৬ মোট ২৭৬-৫ পতন: ৫১, ৯৫, ১৬২, ২৩৩, ২৭৫
বোলিং: ফিডেল এডোয়ার্ডস ১৫-৩-৫১-১, রামপল ১০-০-৩৪-০, স্যামি ১৬-০-৫৬-২, স্যামুয়েলস ১৬-০-৫৭-১, বিশু ২২-২-৫৬-১, ব্রাথওয়েট ১.৪-০-৭-০। |
|