|
|
|
|
কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব |
কাউন্টারে বিক্ষোভ, টিকিট না
পেয়ে
হতাশ শাহরুখ-ভক্তেরা
গৌতম চক্রবর্তী • কলকাতা |
|
|
সকালবেলায় খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দেখে তড়িঘড়ি কাউন্টারে গিয়ে লাইন গিয়েছিলেন ওঁরা। সকাল আটটাতেই কাউন্টারের ঝাঁপ খুলবে যে!
কিন্তু দেড় ঘণ্টার মধ্যে সমস্ত টিকিট নিঃশেষ। তখনও লাইনে দাঁড়িয়ে ষাট-সত্তর জন। ইতিউতি আসছেন আরও অনেকে। ১০ টাকার টিকিটে শাহরুখ খানকে দেখার মোক্ষম সুযোগ ছাড়ে কে!
শেষ পর্যন্ত যা হওয়ার তাই হল। টিকিটের অভাবে বিক্ষোভ, হইচই। পরিস্থিতি সামাল দিতে ডাকতে হল পুলিশ। চলচ্চিত্র উৎসব শুরুর আগের দিন, বুধবার সকালে নন্দন-রবীন্দ্রসদনের টিকিট কাউন্টারেএমনই উত্তপ্ত পরিস্থিতি।
শাহরুখ-ভক্তদের রাগের কারণ একটাই। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ১২ হাজার দর্শকের বসার ব্যবস্থা আছে। তার টিকিট এত তাড়াতাড়ি ফুরোয় কী ভাবে? কিন্তু শাহরুখ খান তো আসছেন চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনে। ভক্তদের জানা ছিল না, ইন্ডোর স্টেডিয়ামকে সেই চলচ্চিত্র প্রদর্শনের উপযোগী করতে গিয়ে অর্ধেকেরও বেশি আসন ছেড়ে রাখতে হয়েছে। প্রোজেকশন সিস্টেম, সাউন্ড সিস্টেম বসানোর ব্যবস্থা করতে হবে যে! সুতরাং “বারো হাজার নয়, সাড়ে চার হাজার লোক বসতে পারবে ইন্ডোরে,” উৎসব কমিটির তরফে বললেন হরনাথ চক্রবর্তী। |
|
চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধনের আগের দিন নেতাজি ইন্ডোরে ‘থালি গার্ল’ কোয়েল মল্লিকের
সঙ্গে দুই সংযোজক যিশু সেনগুপ্ত ও জুন মালিয়া। ছবি: অশোক মজুমদার |
নন্দন-অধিকর্তা যাদব মণ্ডল জানাচ্ছেন, সেই সাড়ে চার হাজার আসনের মধ্যে দু’হাজার আসনের টিকিট বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। “আমরা সে কারণেই জানিয়েছিলাম, সীমিত সংখ্যক টিকিট কাউন্টারে পাওয়া যাবে।” কিন্তু ভক্তদের মন মানবে কেন? এক ভক্ত ক্ষুব্ধ গলায় বলেই ফেললেন, ‘‘সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই তো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নন্দন থেকে ইন্ডোরে সরেছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ তো সেই বাদই পড়ল!”
কান, বার্লিন বা ভেনিসের মতো উৎসব সব সময় সিনেমার জন্য নির্দিষ্ট প্রেক্ষাগৃহে শুরু হয়। কলকাতায় অন্য গল্প। খেলা এবং জলসার জন্য নির্দিষ্ট ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তাই বসছে চলচ্চিত্র উৎসবের আসর। গত জমানায় খেলাধুলোর উদ্দেশ্যে নিবেদিত সল্টলেক স্টেডিয়ামে ‘হোপ ৮৬’-এর মতো জলসাও হত। জমানা বদলে গিয়েছে, কিন্তু সেই ট্র্যাডিশন আজও চলেছে। নেতাজি ইন্ডোরে সিনেমা দেখানোর ব্যবস্থা করার জন্য গড়া হয়েছে একটি কমিটি। শব্দযন্ত্রী অনুপ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ওই কমিটির মূল দায়িত্বে রয়েছেন পরিচালক গৌতম ঘোষ। তিনি বললেন, “১৯৮৯ সালে নজরুল মঞ্চে এক বার ছবি দেখানো হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই এই দায়িত্ব পালন করতে চলেছি।” এ বারের উদ্বোধনী ছবি ‘দ্য ম্যাজিশিয়ানস’ আনুষ্ঠানিক ভাবে নিবেদন করার দায়িত্বও তাঁর। আর, সামগ্রিক অনুষ্ঠানটি নিবেদন করবেন কলকাতার ‘মনের মানুষ’ প্রসেনজিৎ। |
|
|
|
|
|