ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সমস্ত পাঠ্যবই রাজ্য সরকার নিজেরাই ছেপে ছাত্রছাত্রীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কলকাতা এবং জেলার প্রকাশকেরাই এত দিন ওই বই প্রকাশ এবং সরাসরি বিক্রি করতেন। তাঁদের হাত থেকে ওই সব পাঠ্যবই প্রকাশের অধিকার কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজ্যের প্রকাশকেরা পথে নামছেন।
এই সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন মুদ্রণ ও বাঁধাইকর্মী এবং পুস্তক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কর্মচারীরাও। বঙ্গীয় প্রকাশক ও পুস্তক বিক্রেতা সভার সাধারণ সম্পাদক অশোক রায় মঙ্গলবার বলেন, “এই সিদ্ধান্ত রূপায়ণ করলে রাজ্যে পাঠ্যবই ছাপা-বাঁধাই, প্রকাশ এবং বিক্রির সঙ্গে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এটা চলতে পারে না। সরকার আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করতেও রাজি নয়।” প্রকাশক ও পুস্তক বিক্রেতারা মুদ্রণ শিল্প, বাঁধাই শিল্প ও পুস্তক কর্মচারীদের সংগঠনগুলিকে নিয়ে একটি ফোরাম গঠন করেছেন। অশোকবাবু জানান, এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তাঁরা সম্মিলিত আন্দোলনে নামবেন। প্রকাশকদের বক্তব্য, বেসরকারি প্রকাশকেরা বই বার করলেও ছাত্রছাত্রীরা পাঠ্যবই পেত বিনামূল্যেই। কারণ, সর্বশিক্ষা অভিযান খাতে পাঠ্যবই বাবদ ছাত্র-পিছু পাওয়া ২৫০ টাকা দিয়ে স্কুলই প্রকাশকদের কাছ থেকে সরাসরি বই কিনে নিয়ে ছাত্রদের মধ্যে বিনামূল্যে বিলি করত। এখন ওই টাকা স্কুলে না-পাঠিয়ে সরকারই সরাসরি স্কুলে বই পাঠাবে। কিন্তু প্রকাশক সভার বক্তব্য, গোটা রাজ্যে সব স্কুলে বই পৌঁছে দেওয়ার মতো এত বড় পরিকাঠামোই তো রাজ্য সরকারের নেই। ফলে শেষ পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদেরই ভুগতে হবে বলে আশঙ্কা করছে তারা। |