পুরসভার গাড়িকে জাতীয় সড়কের পাশে আবর্জনা ফেলতে বাধা দিলেন এলাকার বাসিন্দারা। মঙ্গলবার সকালে আসানসোলের কালিপাহাড়ির কাছে এই ঘটনা ঘটে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, আবর্জনা ফেলার জেরে এলাকায় দূষণ ছড়াচ্ছে। বেশ কয়েক ঘণ্টা বিক্ষোভ চলার পরে মেয়র প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার আশ্বাস দিলে বসিন্দারা ফিরে যান।
আসানসোল পুরসভার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে কালিপাহাড়ির কাছে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে পুরসভার একটি জঞ্জাল ফেলার জায়গা আছে। পুর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে জড়ো করে আনা জঞ্জাল নিয়মিত সেখানে ফেলা হয়। মঙ্গলবারও সে ভাবেই সকাল থেকে সেখানে ময়লা ফেলার গাড়ি পৌঁছতে শুরু করে। কিন্তু এলাকার বাসিন্দারা জড়ো হয়ে আবর্জনা ফেলতে বাধা দেন। তাঁদের বিক্ষোভের মুখে গাড়িগুলি সার দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। |
এলাকার বাসিন্দা রাজকিশোর যাদবের অভিযোগ, “এখানে ময়লা ফেলা হোক আপত্তি নেই। কিন্তু সেই জঞ্জাল থেকে যে দূষণ ছড়াচ্ছে, তা রোধ করতে ব্যবস্থা নিক পুরসভা। তা না হলে ময়লা ফেলতে দেব না।” বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, মৃত গবাদি পশু, পচে যাওয়া ডিম ভর্তি বাক্স, পচা সব্জি সব কিছুই নিয়মিত ফেলা হয় এখানে। ফলে গোটা এলাকা দুর্গন্ধে ভরে যায়। মশা-মাছির উপদ্রব বেড়ে গিয়েছে কালিপাহাড়ির বসতি অঞ্চলে। এর ফলে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তাঁদের আরও অভিযোগ, বহু দিন থেকেই এমন অবস্থা চলছে। তাঁরা বিষয়টি এলাকার কাউন্সিলর ও আসানসোলের মেয়রকে জানিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু পুর কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই।
বাসিন্দারা যে তাঁকে বিষয়টি বহু বার জানিয়েছেন, সে কথা স্বীকার করেছেন স্থানীয় সিপিএম কাউন্সিলর সতীশ ডোম। তাঁর দাবি, “আমি মেয়রকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। বোর্ডসভাতেও বিষয়টি তুলেছি। কিন্তু মেয়র আমার কথা গুরুত্ব দিচ্ছেন না।” সতীশবাবু জানান, পুরসভাকে তাঁরা প্রস্তাব দিয়েছেন, মৃত গবাদি পশু গর্ত করে পুঁতে দেওয়া হোক। প্রচুর পরিমাণে ব্লিচিং পাউডার ও কীটনাশক ছড়ানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
এ দিন সকালে বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। তাতেও পরিস্থিতি না পাল্টানোয় হস্তক্ষেপ করেন মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লোকজন পাঠিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে সমস্যা মেটে। মেয়র বলেন, “আমরা উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছি। আপাতত দূষণ বন্ধ করার জন্য ব্লিচিং পাউডার ও কীটনাশক ছড়ানোর ব্যবস্থা করছি।”
|
কুকুরের উপদ্রবে রাস্তায় বেরোতে ভয় পাচ্ছেন মিজোরামে লুংলেই শহরের বাসিন্দারা। রাতে তো বটেই, দিনের বেলাতেও পথেঘাটে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শয়ে শয়ে কুকুর। শুধু অক্টোবর মাসেই অন্তত ৩০ জনকে কামড়েছে সারমেয় বাহিনী। কামড় খেয়ে হাসপাতালে ইঞ্জেকশন নিতে দৌড়নোর পাশাপাশি আতঙ্কিত মানুষজন যাচ্ছেন পুলিশের কাছেও। তাঁদের আর্জি, রাস্তার কুকুরের অত্যাচার ঠেকাতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিক পুলিশ। এক পুলিশকর্তা জানান, গত মাসে অন্তত ৩০ জন কুকুরের কামড় খেয়েছেন বলে তাঁরা খবর পেয়েছেন। তবে কুকুরের কামড় খাওয়া মানুষের সংখ্যা আদতে অনেক বেশি বলেই তাঁদের ধারণা। সকলেই তো আর হাসপাতালে যাননি। |