কলকাতার ৮ জনের রক্তের নমুনায় চিকুনগুনিয়া পেলেন পুণের ‘ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি’ (এনআইভি)-র বিজ্ঞানীরা। কলকাতাতে ওই নমুনা পরীক্ষা করে চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গি বা ম্যালেরিয়া কিছুই মিলছিল না। তাই সেগুলি ‘এনআইভি’-তে পাঠানো হয়। দিন দশেক আগে কলকাতা থেকেই সংগ্রহ করা হয় ওই নমুনাগুলি। সম্প্রতি এনআইভি-র এক বিশেষজ্ঞ বাবাসাহেব তাণ্ডলে এই জ্বর নির্য়ে তথ্য সংগ্রহ করতে কলকাতায় আসেন। শহরের কিছু হাসপাতালে জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের তিনি পরীক্ষা করেন। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর ব্লকের নীলকণ্ঠপুর গ্রামে কিছু মানুষ ওই ধরনের জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁদের ২৫ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে তিনি পুণেতে নিয়ে গিয়েছেন। নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। নীলকণ্ঠপুর থেকে জ্বরে আক্রান্ত এক জনকে ‘কলকাতায় স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন’ রাখা হয়েছে। ট্রপিক্যালের অধিকর্তা কৃষ্ণাংশু রায় জানান, ওই ব্যক্তির উপরে নজর রাখা হচ্ছে।
|
শিলিগুড়ির মেয়র গঙ্গোত্রী দত্তের সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণের অভিযোগ অস্বীকার করলেন চিকিৎসক শীর্ষেন্দু পাল। শনিবার শিলিগুড়ির জার্নালিস্ট ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে ওই দাবি করেন তিনি। সম্প্রতি মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত শিলিগুড়ি হাসপাতালের চিকিৎসক শীর্ষেন্দুবাবুর বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তোলেন। এক ম্যালেরিয়া আক্রান্ত চিকিৎসকের ঠিকঠাক চিকিৎসা না করেই তাঁকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে মেয়র চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি কথা বলেননি অভিযোগ করেন। পরে ওই রোগীকে বাইরে থেকে রক্ত পরীক্ষা করানোর পর ম্যালেরিয়া ধরা পড়লে ফের তাঁকে শিলিগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শীর্ষেন্দুবাবু বলেন, “কোথাও ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। মেয়র আমাকে ফোন করেননি। হাসপাতালের চিকিৎসকের মাধ্যমে তিনি হাসপাতালে আসার জন্য আমাকে বলেছিলেন। আমি আধ ঘন্টা সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি দেরি করতে রাজি হননি।” আর ম্যালেরিয়া আক্রান্ত যুবক প্রথমে যে উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন তা ঠিক হওয়ার পরে তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়। পরে সে ম্যালেরিয়ার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়।” এ দিনও অবশ্য মেয়র বলেন, “ওই চিকিৎসক সঠিক চিকিৎসা করেননি। আমার সঙ্গে কথা বলতেও রাজি হননি তিনি।”
|
উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে সদ্যোজাত’র মৃত্যুর ঘটনার তদন্তের দাবি জানাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন। শনিবার ওই সংস্থার তরফে ৭ দফা দাবি জানিয়ে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের সুপারকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। গত ১ নভেম্বর ওই হাসপাতালে এক সদ্যোজাত’র মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। সংস্থার সম্পাদক রূপক সরকার বলেন, “উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে ঘটনার তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। তদন্তে কোনও চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীর গাফিলতি প্রমাণিত হলে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।” সংস্থার অভিযোগ, জেলা হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবার মান তলানিতে ঠেকেছে। অস্থি, চোখ, শল্য এবং মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসকের পদ শূন্য। প্রসূতি বিভাগের অবস্থাও খারাপ। স্মারকলিপিতে শূন্যপদ পূরণ, প্যাথলজি বিভাগে অতিরিক্ত মেডিক্যাল অফিসার, রেডিওলজি বিভাগে টেকনিশিয়ান নিয়োগ এবং প্রসূতি বিভাগের উন্নতির দাবি জানানো হয়েছে।
|
সময়মত কাজে যোগ না দেওয়ার অভিযোগ ওঠায় স্বাস্থ্যকর্মীদের হাজিরা খাতা নিজের হেফাজতে নিলেন হাসপাতাল সুপার। প্রতিবাদে গত শুক্রবার প্রায় আড়াই ঘন্টা সুপারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের কর্মীরা। এতে পরিষেবা ব্যহত হয়। সুপার সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় অবশ্য পরে কাজে ফিরে যান আন্দোলনকারীরা। সুপার বুদ্ধদেব মণ্ডল বলেন, “সকাল ৯টার মধ্যে নন মেডিক্যাল টেকনিক্যাল স্টাফদের বর্হিবিভাগে আসার কথা। অথচ অধিকাংশ কর্মী তা মানছেন না। তাই হাজিরা খাতা নিয়ে তাঁদের অনুপস্থিত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” যদিও আন্দোলনকারীদের দাবি, সকাল ৯টার আগেই সুপার খাতা নিয়ে চলে গিয়েছিলেন। চক্ষু, এক্স-রে, আলট্রাসোনোগ্রাফি, রক্ত বিভাগ-সহ সমস্ত বিভাগ মিলিয়ে ৩৮ জন নন মেডিক্যাল টেকনিক্যাল স্টাফ আছেন। |