অ্যাসিড-কাণ্ডে স্বাস্থ্য দফতরের সবুজ সঙ্কেত পেলে অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ ফৌজদারি মামলাও করতে তৈরি। শনিবার এ কথাই স্পষ্ট করে দিলেন মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার মদনলাল মিনা।
মা ও ছেলে, দু’জনের শরীরে ক্ষতের কারণ অ্যাসিড জাতীয় কোনও রাসায়নিক। শুক্রবার, লালবাগ মহকুমা হাসপাতালের প্রসূতি সদনে অ্যাসিড-কাণ্ডের শিকার শিখা বিবির সদ্যোজাত শিশুটির দেহ কবর থেকে তুলে ময়না-তদন্তের পরে সে ব্যাপারে ধোঁয়াশা কেটে গিয়েছিল।
এ দিন মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ সুপার ভরতলাল মিনাও জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যসচিবের গড়া দুই সদস্যের তদন্ত-কমিটির রিপোর্ট হাতে পেলে এ ব্যাপারে ‘এগোতে’ পারে পুলিশ। তিনি বলেন, “ময়না-তদন্তের রিপোর্টে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে, অ্যাসিড ব্যবহারের ফলেই ওই প্রসূতির দেহের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গিয়েছিল। বাচ্চাটির শরীরেও পোড়া দাগের চিহ্ন রয়েছে।
এখন স্বাস্থ্য দফতরের নতুন তদন্ত কমিটির রিপোর্টেও এ ব্যাপারে ‘নেগলিজেন্স’ বা দায়সারা চিকিৎসার উল্লেখ থাকলে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭৯ ধারায় পুলিশ গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করতে পারে।” এ দিন সন্ধেয় নতুন কমিটির দুই সদস্য বহরমপুরে পৌঁছন। সম্ভবত আজ, রবিবারই তদন্তের জন্য তাঁরা লালবাগে যাবেন।
পুলিশ অবশ্য ইতিমধ্যেই ওই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত প্রসূতি সদনের আয়া ঊষা হাজরার খোঁজ শুরু করেছে। কিন্তু শনিবার পর্যন্ত তাঁকে পাওয়া যায়নি। মুর্শিদাবাদ থানার আইসি ইন্দ্রজিৎ কুণ্ডু এ দিন বলেন, “সে দিন লেবার রুমে ঊষা হাজরা নামে ওই মহিলা শিখা বিবিকে সাফসুতরো করার সময়ে যে তরল ব্যবহার করেছিলেন তাতেই পুড়ে গিয়েছিলেন ওই প্রসূতি। এমনই অভিযোগ করেছেন শিখা বিবির পরিবার। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঊষা হাজরার তাই খোঁজ চলেছে।”
এ দিকে, মুর্শিদাবাদ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক কংগ্রেসের শাঁওনি সিংহরায় এ দিন অভিযোগ করেছেন, ওই মহিলাকে প্রায় বিনা চিকিৎসায় লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে ফেলে রাখা হয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, “ওই হাসপাতালে কোনও বার্ন ইউনিট নেই। নেই কোনও বিশেষজ্ঞও। তবু ওই প্রসূতিকে জেলা হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে না কেন?” |