চা বাগানে ‘আটক’ হস্তিযূথ
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
চা বাগান থেকে জঙ্গলে পা বাড়ানোর আগেই রাত কেটে ফুটে উঠল আলো। আর তাই শনিবার দিনভর ডুয়ার্সের মিনগ্লাস চা বাগানে আটকে পড়ল তিনটি শাবক-সহ ১২টি হাতির দলটি। আটকে পড়ে রীতিমতো তেতে ওঠা হাতির দলটি তাণ্ডবও চালিয়েছে। চা বাগানের একটি ছোট ট্রাক উল্টে দিয়েছে তারা। ডালিমকোট এলাকার কিছু অংশের চা গাছও উপড়ে ফেলে। শ্রমিক আবাসনেও অল্পবিস্তর ভাঙচুর চালিয়েছে হাতির লদলটি। তবে জখম বা হতাহতের কোনও খবর নেই। বন দফতর সুত্রে জানা গিয়েছে, চা বাগানে আটকে পড়ে হাতির দলটি প্রথমে কিছুটা ‘ঘাবড়ে’ যায়। ভাঙচুর সেই কারনেই। এ দিন দুপুরে জলপাইগুড়ি বন্যপ্রানী বিভাগের ডিএফও সুমিতা ঘটক বলেন, “চা বাগানের একটি গাড়িতে হাতিরা হামলা চালায়। সারাদিনই চা বাগানে ছিল তারা। ঘটনাস্থলে প্রশিক্ষিত বনকর্মীরা রয়েছেন। হাতি তাড়ানোর স্কোয়াডও রয়েছে।” ডুয়ার্সের মিনগ্লাস চা বাগান হাতির ‘করিডর’ বলেই পরিচিত। এক দিকে কালিম্পঙের ভুট্টাবাড়ি অন্যদিকে কাঠামবাড়ি। এই দুই জঙ্গলে হাতির দল নিয়মিত যাতায়াত করে।
|
সিমলিপালে বিষে মৃত্যু হল তিন হাতির
নিজস্ব সংবাদদাতা • ভুবনেশ্বর |
আবার মানুষের লোভের বলি হয়ে প্রাণ গেল বনের হাতির। ওড়িশায় ময়ূরভঞ্জ জেলার সিমলিপাল অভয়ারণ্যে মিলল তিনটি হাতির মৃতদেহ। তার মধ্যে একটি হাতির দাঁত কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে বনকর্তাদের সন্দেহ, চোরাশিকারিরা হাতির দাঁতের লোভেই বিষ খাইয়ে মেরেছে হাতিগুলিকে। দলে থাকায় রেহাই পায়নি একটি শিশু হাতিও। বছরখানেকের মধ্যে সিমলিপালে বেশ কয়েকটি হাতির অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটল এ ভাবে। করঞ্জিয়া ডিভিশনের রেঞ্জ অফিসার সূর্যমণি বারিক জানান, কাল করঞ্জিয়া ডিভিশনের কন্টিককানা এলাকায় ঘন জঙ্গলের মধ্যে নিষ্প্রাণ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় দু’টি বড় ও একটি অল্পবয়স্ক হাতিকে। বড় হাতি দু’টির মধ্যে একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ। তার দাঁতটি ধারালো করাত দিয়ে কেউ কেটে নিয়ে গিয়েছে। হাতির দাঁত কেটে নিয়ে যাওয়াতেই সন্দেহ করা হচ্ছে, এর পিছনে আছে চোরাশিকারিদের হাত। তারাই বিষ দিয়ে মেরেছে হাতিগুলিকে। ঘটনার পিছনে কাদের হাত আছে তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ-সহ বন দফতরের পদস্থ কর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। |