রাত তখন প্রায় সাড়ে আটটা। দক্ষিণ-পশ্চিম ব্রিটেনের ব্যস্ত এম-ফাইভ মোটরওয়ে। ঘন কুয়াশা আর বৃষ্টিতে চার দিকে সবই ঝাপসা। দু’হাত দূরের কিছুও দেখা যাচ্ছে না। হঠাৎই প্রচণ্ড জোরে আসা দু’টো লরির মধ্যে ধাক্কা। মুহূর্তের মধ্যে পর পর ৩৪টি গাড়ি আর লরির মধ্যে সংঘর্ষ আর বিস্ফোরণ।
গত কাল সমারসেটের টনটনের কাছে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৭ জনের। আহত প্রায় ৫১।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কুয়াশা আর বৃষ্টির মধ্যে প্রচণ্ড গতিতে আসা গাড়ি ও লরিগুলির মধ্যে ধাক্কা লেগে একটার উপরে আর একটা উঠে যায়। দুমড়ে মুচড়ে লরির মধ্যে গাড়ি ঢুকে যায়। আর তার পরেই বিস্ফোরণ। দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে শুরু করে। ওই রাস্তার পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন বেভ ডেভিস। তাঁর কথায়, “প্রচণ্ড জোরে একটা শব্দ। তার পরেই দাউ দাউ করে আগুন। আগুনের গোলা জ্বলছিল যেন। আর একটার পর একটা বিস্ফোরণ। অনেকগুলো লরি জ্বলছিল। অন্তত ৮-৯টা লরি আর গোটা পনেরো গাড়ির ধাক্কা লেগেছিল। আগুন আর ধোঁয়ায় সামনের কিছুই দেখা যাচ্ছিল না।” |
পুলিশ জানিয়েছে, ইংল্যান্ডের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তের সংযোগকারী রাস্তা এম-ফাইভ মোটরওয়ের ওই অংশটি দুর্ঘটনার পরে বন্ধ করে দেওয়া হয়। যার জেরে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। অ্যাসিস্ট্যান্ট চিফ কনস্টেবল অ্যান্টনি বানঘাম বলেন, “ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল পৌছে যায়। তবে আক্ষরিক অর্থেই আগুনের গোলার সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়েছে তাঁদের। ফলে গাড়ির ভিতর থেকে আরোহীদের উদ্ধার করতে কিছুটা দেরি হয়।”
পুলিশ সূত্রে খবর, ছ’টি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। |
বেস ক্যাম্পে আটক
সংবাদসংস্থা • কাঠমান্ডু |
খারাপ আবহাওয়ায় এভারেস্টে ওঠার বেস ক্যাম্পে আটকে পড়েছেন প্রায় ২ হাজার পর্যটক। তাঁদের অধিকাংশই ব্রিটেন, আমেরিকা ও জার্মানির নাগরিক। ছ’দিন ধরে এই পরিস্থিতি চলায় খাদ্য ও ওষুধের অভাব দেখা দিয়েছে। নেপালে পযর্টকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ এভারেস্টে ওঠার মূল শিবির। লুকলা বিমানবন্দর থেকে প্রতিদিন যাতায়াত করেন প্রায় ৭০০ পর্যটক। নেপালি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র রামিন্দর ছেত্রী জানান, কুয়াশার ফলে ১২০ জন পর্যটককে উদ্ধার করা গিয়েছে। |